ব্যক্তি পর্যায়ে মুঠোফোন সিমের ব্যবহার আরও কমিয়ে ১০টি থেকে ৫টি করতে যাচ্ছে সরকার। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের দশম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠকে এক বছর পরপর সিম নবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ব্যক্তি পর্যায়ে সিমের ব্যবহার কমানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়। এতে বলা হয়, এক ব্যক্তির নামে বেশি সিম নিবন্ধনের সুযোগ থাকায় ওই সিম দিয়ে নানা ধরনের অনিয়ম হচ্ছে। চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে।

বৈঠকে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগের সময় উপদেষ্টাদের নাম ব্যবহার করে তদবির করা হচ্ছে, অথচ উপদেষ্টারা তা জানেন না। আবার দেশের বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সরকারি চাকরিজীবীদের মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। সে কারণে একজন গ্রাহকের নামে সিম নিবন্ধন ১০টি থেকে পাঁচটি করার সিদ্ধান্ত হয়। বিটিআরসিকে এটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

এখন একজন গ্রাহক নিজের নামে সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিতে পারেন। এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে সব অপারেটর মিলিয়ে ১৫টি সিম নেওয়া যেত। বিটিআরসি গত মাসে এই সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

বিটিআরসির হিসাবে, দেশে সিমের নিবন্ধিত প্রকৃত গ্রাহকের সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৫। এর মধ্যে ৮০ দশমিক ৩২ শতাংশ গ্রাহকের নামে পাঁচটি বা তার কম সিম রয়েছে। ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ গ্রাহকের কাছে। ১১ থেকে ১৫টি সিম ব্যবহারকারী গ্রাহক মাত্র ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

সিম নবায়নের বিষয়ে বৈঠকে বলা হয়, প্রতিবছর সিম নবায়ন করলে অনিয়মের মাত্রা অনেক কমে যাবে। কারণ, অনেকে মারা গেলে তাঁর সিম অন্য কেউ ব্যবহার করেন। অনলাইন জুয়া নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ২৬টি জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্য ওয়েবসাইটও বন্ধ করা হবে।

বৈঠকে একজন উপদেষ্টা বলেন, সাইবার বুলিংয়ের শিকার নারীরা থানায় গেলে অনেক ক্ষেত্রে মামলা নিতে চায় না। এ ধরনের ঘটনায় কেউ থানায় মামলার জন্য গেলে যাতে হয়রানি না করা হয় এবং মামলা নেওয়া হয়, সে বিষয়ে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনএক ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি মুঠােফোন সিম দেওয়া হবে না২৫ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র হক র উপদ ষ ট ব ট আরস ব যবহ র ন বন ধ

এছাড়াও পড়ুন:

আমি শালিনিকে অনেক কষ্ট দিয়েছি: অজিত

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অজিত কুমার। অভিনয় গুণে যশ-খ্যাতি সবই কুড়িয়েছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছরে ‘পদ্মভূষণ’ পুরস্কার পেয়েছেন। গত ২৮ এপ্রিল ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন ৫৩ বছরের অজিত।

এদিকে, সিনেমার পাশাপাশি মোটরসাইকেলের ব্যাপারে শখ রয়েছে অজিতের। তিনি একজন পেশাদার রেসারও। মোটরসাইকেল নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। দ্য হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার, সংগ্রাম ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন অজিত।

আরো পড়ুন:

‘কেজিএফ’ অভিনেতা মারা গেছেন

উদয়পুরে বসবে বিজয়-রাশমিকার বিয়ের আসর?

সিনেমা ও মোটরস্পোর্ট—দুই ক্ষেত্রেই অজিতের পথচলা চ্যালেঞ্জে ভরা ছিল। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “আমি যা করি, তাতে মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েই করি। অনেক বাধা এসেছে। কিন্তু আমি সবকিছু অতিক্রম করেছি। রেসিংয়ের ক্ষেত্রেও আমি হয়তো এমনই কঠোর পরিশ্রম করি, যেমন ১৯ বছরের একজন তরুণ করে থাকে; যে রেসিংকে পেশা হিসেবে নিতে চায়।”

অজিতের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি ভালো টিম ও তাদের সহযোগিতা। এ তথ্য স্মরণ করে অজিত বলেন, “আপনার ভালো একটি টিম থাকা দরকার। আমি খুব ভাগ্যবান। কারণ যেসব পরিচালক, প্রযোজক, টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।”

অভিনেত্রী শালিনির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন অজিত। তার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু তার স্ত্রী শালিনি। জীবনের উত্থান-পতনের প্রতিটি মুহূর্তে পাশে থেকেছেন। অভিনেতার সরল স্বীকারোক্তি, “আমি মনে করি না, আমার সঙ্গে বসবাস করা খুব সহজ বিষয়। আমি ওকে অনেক কষ্ট দিয়েছি, তবু ও সবসময় আমাকে সমর্থন করেছে। সন্তানদের জন্ম হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ও আমার সঙ্গে রেসে যেত। ওর সহায়তা না থাকলে কিছুই সম্ভব হতো না।”

খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়েছেন অজিত। তা ব্যাখ্যা করে এই অভিনেতা বলেন, “আমি প্রায় সব সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকি। ভক্তদের ভালোবাসার জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু সেই ভালোবাসার কারণেই পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিক সময় কাটানো প্রায় অসম্ভব। আমি ছেলেকে স্কুলে নামিয়ে দিতে পারি না।”  

খ্যাতি জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নেয়। এ বিষয়ে অজিত বলেন, “খ্যাতি আপনাকে আরামদায়ক জীবন দেয়। কিন্তু জীবনের আসল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোই কেড়ে নেয়।”

১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় অজিত অভিনীত ‘অমরকালাম’ সিনেমা। এর শুটিং করতে গিয়ে অভিনেত্রী শালিনির রূপে চোখ আটকে যায় তার। পরে এ অভিনেত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন অজিত। ২০০০ সালের ২৪ এপ্রিল সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই তারকা যুগল। কয়েক মাস আগে বিবাহিত জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন এই জুটি।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে রানিকে ‘জীবন্ত দেবী’ হিসেবে গণ্য করা হতো
  • সরকার, রাজনৈতিক দল সবার জন্য সতর্কবার্তা
  • আমি শালিনিকে অনেক কষ্ট দিয়েছি: অজিত
  • যৌথ বাহিনীর অভিযান সারা দেশে গ্রেপ্তার ১৯৪
  • নির্বাচন হলে দেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে: সেনাসদর
  • সাংবাদিকেরা সত্য তুলে ধরায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গুজব অনেকটা কমেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • নিষিদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব থেকে সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে
  • শাহজালাল বিমানবন্দরে আবারও ই-গেট চালু
  • ‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’