ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সম্মত হওয়া যুদ্ধবিরতিকে বিশ্ব স্বাগত জানালেও আঞ্চলিক এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে সম্ভাব্য শান্তি কতটা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) ভোরে ইসরায়েল ও ইরান ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত একটি যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় সম্মত হয়। তবে উভয় পক্ষই হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি অন্য পক্ষ চুক্তি ভঙ্গ করে, তাহলে দ্রুত প্রতিশোধ নেওয়া হবে। ফলে উত্তেজনা এখনো তুঙ্গে।

ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরপরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ঘোষণা দেন, তিনি তেহরানকে লক্ষ্য করে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। তার দাবি, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

আরো পড়ুন:

আলজাজিরার বিশ্লেষণ
২২ বছর আগের শোনা কথার প্রতিধ্বনি হচ্ছে ২০২৫ সালে ইরানেও

প্রতিশোধ: ইসরায়েলে নতুন করে জোরদার হামলা শুরু করেছে ইরান

এরপর ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলকে উদ্দেশ করে বলেন, “সেই বোমাগুলো ফেলো না!”

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দ্রুত ট্রাম্পের অনুরোধ মেনে নেন।

এই ঘটনাগুলো যুদ্ধবিরতির জটিল সময়সূচি ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

এদিকে, ইরান ইতোমধ্যে জানিয়েছে যে, তারা দ্রুত তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করবে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, ১৩ জুন তারা ইরানে প্রথম হামলা চালায় কারণ তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রও একই যুক্তিতে শনিবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়।

তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এবং জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা এর আগে কোনো প্রমাণ পায়নি যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে।

এই অনিশ্চয়তার মধ্যেও বিশ্ব সম্প্রদায় যুদ্ধবিরতিকে আশার আলো হিসেবে দেখলেও সতর্ক রয়েছে; কারণ এই যুদ্ধবিরতি যে নাজুক, তা স্পষ্ট। একইসঙ্গে গাজা যুদ্ধের অবসানের জন্য নতুন করে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জোরালোভাবে ওঠছে।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপে বসছে ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপে সংলাপে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানান ইসির জনসংযোগ পরিচালক রুহুল আমিন মল্লিক।

তিনি বলেন, “কমিশনের সম্মতি পাওয়ার পর আমন্ত্রিতদের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। বর্তমানে সংলাপ আয়োজনের অনুমোদনের জন্য কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সম্ভাব্য ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু হবে এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে অন্য অংশীজনদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।”

ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ, নারী প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এ সংলাপ চলবে এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। আলোচনার সূচি নির্ধারণের এক সপ্তাহ বা দশ দিন আগে দলগুলোর কাছে চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে প্রতিনিধি সংখ্যা ও মতামত পাঠানোর সুযোগ থাকে। অক্টোবরজুড়ে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এটি হবে এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের প্রথম সংলাপ আয়োজন। আলোচনায় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পোস্টাল ব্যালটসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উঠে আসবে।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান মাসউদ জানিয়েছেন, রোডম্যাপ অনুযায়ী এ মাসের শেষ দিকে সংলাপ শুরু হবে এবং সেই অনুযায়ী ইসি সচিবালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কয়েক দিনের তারিখ পরিবর্তন হলেও রোডম্যাপই অনুসরণ করা হবে।

ঢাকা/এএএম/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ