Risingbd:
2025-07-05@09:21:02 GMT

নো টি-টোয়েন্টি, নো প্রবলেম!

Published: 5th, July 2025 GMT

নো টি-টোয়েন্টি, নো প্রবলেম!

দুই দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর ২০১৬ সালে আবারও তারা চ্যাম্পিয়ন। ২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ চালুর পর ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যে দামামা বাজতে শুরু করে সেখানে ক্যারিবীয়ান ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণই সবচেয়ে বেশি।

অথচ স্রোতে গা না ভাসিয়ে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ক্রিকেটের আভিজাত্যের ফরম্যাটে নিজের মনোযোগ স্থির রেখেছেন। গর্ব নিয়ে কেবল টেস্ট ক্রিকেটই খেলে গেছেন। ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ড, সুনীল নারাইনরা যখন ব্যাংক অ্যাকাউন্ডটে ডলারের পাহাড় গড়েছেন সেখানে ব্র্যাথওয়েটের ভরসা কেবল লাল বলের ক্রিকেটে।

সাদা বলের ক্রিকেটে পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে খেলেছেন। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে মুখ ফিরিয়েই রেখেছেন তিনি। তাই তো অন্যরকম এক রেকর্ডে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন ব্র্যাথওয়েট।

আরো পড়ুন:

৮০ বলের সেঞ্চুরিতে জেমির রেকর্ড, শতকের দেখা পেলেন ব্রুকও

সাইফউদ্দিন-নাঈম শেখকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা

ক্রিকেট বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলেছেন কোনো টি-টোয়েন্টি ছাড়া। এমন না যে, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্র্যাথওয়েট অনুপস্থিত। ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে পাওয়া যায়নি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান গ্রেনাডা টেস্টে নিজের শততম টেস্ট খেলছেন ব্র্যাথওয়েট। লাল বলের বিশেষজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ১৯১ ইনিংসে ৫ হাজার ৯৪৩ রান, ১২ সেঞ্চুরি ও ৩১ ফিফটি করেছেন। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ২১২ রান সর্বোচ্চ। 

টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে নিজের ভাবনা জানাতে গিয়ে ব্র্যাথওয়েট বলেছেন, ‘‘আমি যখন ১৪ বছর বয়সী ছিলাম তখনই লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম, আমি ১০০ টেস্ট খেলবো। ১৮ বছর পর আমি এই অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি। নিজের শততম টেস্ট খেলছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে ধন্যবাদ। আমি তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে চাই। সাধারণ মানের কেউ হতে চাই না। আমি চাই আমার প্রভাব থাকুক।’’

অন্যরকম এক রেকর্ডও তার নামের সঙ্গে যুক্ত আছে। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসের একমাত্র ওপেনার হিসেবে এক টেস্টে দুই ইনিংসেই অপরাজিত থাকার রেকর্ড আছে তার। ২০১৬ সালে শারজাহতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪২ রান করার পর ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

২০১১ সালে তার অভিষেক হয়েছিল। ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দায়িত্ব পান। সব মিলিয়ে ৩৯ টেস্টে ক্যারিবীয়ানদের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। 

ব্যাটসম্যান হিসেবে তার রেকর্ড তার সামর্থ্যের পক্ষে কথা বলছে না। তবে ২২ গজে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় ব্যাটিং করতে পারতেন। কমপক্ষে ৪০০ বল খেলেছেন এমন পাঁচটি ইনিংস রয়েছে তার। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ইনিংসেই ৬৭৩ বল খেলেছিলেন। যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। 

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক, ভালোবাসা, ভালোলাগা, অর্থের ঝনঝনানির সময়ে শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেটের দিকে মনোযোগ দেওয়া রীতিমত বিস্ময়কর, অভাবনীয়, গর্বের মতো। ব্র্যাথওয়েট সেই কাজটাই করে আসছেন লম্বা সময় ধরে। 
 

ঢাকা/ইয়াসিন 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র য থওয় ট র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইর সিটিও পদে যোগ দিলেন আসিফুর রহমান

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) হিসেবে যোগ দিয়েছেন ড. মো.  আসিফুর রহমান। বুধবার (২ জুলাই) তিনি ডিএসইতে কাজে যোগ দেন।

ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ড. রহমান বিভিন্ন দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে দীর্ঘদিন সফলতার সাথে কাজ করেছেন। তিনি ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আশা ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ পিএলসির সিটিও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত স্মার্ট সার্ভিস টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডের ওভারসিজ অপারেশন্সের হেড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি আটটি কোম্পানি এবং অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্ব তৈরি করেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কিউশ্যু বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের সিস্টেম এলএসআই রিসার্স সেন্টার-এর রিসার্স ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৈচিত্র্যময় কর্মজীবনে তিনি আশা এবং আশা ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর আইটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের সহযোগী অধ্যাপক, অ্যানজেলনেট টেকনোলজিস আইএনসি, (ইউএসএ) এর ঢাকা অফিসের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া তিনি ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ইটিএসি ডেটা কম্পিউটারাইজেশন প্রজেক্টের অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রামার ও এফএও আন্দ্রে মেয়ার ফেলোশিপ প্রজেক্টোর কম্পিউটার কনসালটেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে ১৯৯৪ সালে বিএসসি, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি বুয়েট গ্রাজুয়েট ক্লাব লিমিটেড ও বুয়েট এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য। 

তার ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটের ব্লক চেইন, এআই ও মেশিন লার্নিং এপ্লিকেশন্স এবং ফাইন্যান্সিং মডেলিং-এর জন্য হাই পারফরমেন্স কম্পিউটিং আর্কিটেকচার ও স্কেলেবল সিস্টেম দক্ষতা রয়েছে।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এক্সচেঞ্জকরি: যেখানে ১০ হাজার টাকায় ল্যাপটপ পাওয়া যায়
  • ডিএসইর সিটিও পদে যোগ দিলেন আসিফুর রহমান