Risingbd:
2025-09-18@03:27:09 GMT

নো টি-টোয়েন্টি, নো প্রবলেম!

Published: 5th, July 2025 GMT

নো টি-টোয়েন্টি, নো প্রবলেম!

দুই দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর ২০১৬ সালে আবারও তারা চ্যাম্পিয়ন। ২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ চালুর পর ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যে দামামা বাজতে শুরু করে সেখানে ক্যারিবীয়ান ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণই সবচেয়ে বেশি।

অথচ স্রোতে গা না ভাসিয়ে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ক্রিকেটের আভিজাত্যের ফরম্যাটে নিজের মনোযোগ স্থির রেখেছেন। গর্ব নিয়ে কেবল টেস্ট ক্রিকেটই খেলে গেছেন। ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ড, সুনীল নারাইনরা যখন ব্যাংক অ্যাকাউন্ডটে ডলারের পাহাড় গড়েছেন সেখানে ব্র্যাথওয়েটের ভরসা কেবল লাল বলের ক্রিকেটে।

সাদা বলের ক্রিকেটে পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে খেলেছেন। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে মুখ ফিরিয়েই রেখেছেন তিনি। তাই তো অন্যরকম এক রেকর্ডে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন ব্র্যাথওয়েট।

আরো পড়ুন:

৮০ বলের সেঞ্চুরিতে জেমির রেকর্ড, শতকের দেখা পেলেন ব্রুকও

সাইফউদ্দিন-নাঈম শেখকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা

ক্রিকেট বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলেছেন কোনো টি-টোয়েন্টি ছাড়া। এমন না যে, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্র্যাথওয়েট অনুপস্থিত। ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে পাওয়া যায়নি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান গ্রেনাডা টেস্টে নিজের শততম টেস্ট খেলছেন ব্র্যাথওয়েট। লাল বলের বিশেষজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ১৯১ ইনিংসে ৫ হাজার ৯৪৩ রান, ১২ সেঞ্চুরি ও ৩১ ফিফটি করেছেন। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ২১২ রান সর্বোচ্চ। 

টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে নিজের ভাবনা জানাতে গিয়ে ব্র্যাথওয়েট বলেছেন, ‘‘আমি যখন ১৪ বছর বয়সী ছিলাম তখনই লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম, আমি ১০০ টেস্ট খেলবো। ১৮ বছর পর আমি এই অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি। নিজের শততম টেস্ট খেলছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে ধন্যবাদ। আমি তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে চাই। সাধারণ মানের কেউ হতে চাই না। আমি চাই আমার প্রভাব থাকুক।’’

অন্যরকম এক রেকর্ডও তার নামের সঙ্গে যুক্ত আছে। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসের একমাত্র ওপেনার হিসেবে এক টেস্টে দুই ইনিংসেই অপরাজিত থাকার রেকর্ড আছে তার। ২০১৬ সালে শারজাহতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪২ রান করার পর ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

২০১১ সালে তার অভিষেক হয়েছিল। ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দায়িত্ব পান। সব মিলিয়ে ৩৯ টেস্টে ক্যারিবীয়ানদের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। 

ব্যাটসম্যান হিসেবে তার রেকর্ড তার সামর্থ্যের পক্ষে কথা বলছে না। তবে ২২ গজে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় ব্যাটিং করতে পারতেন। কমপক্ষে ৪০০ বল খেলেছেন এমন পাঁচটি ইনিংস রয়েছে তার। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ইনিংসেই ৬৭৩ বল খেলেছিলেন। যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। 

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক, ভালোবাসা, ভালোলাগা, অর্থের ঝনঝনানির সময়ে শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেটের দিকে মনোযোগ দেওয়া রীতিমত বিস্ময়কর, অভাবনীয়, গর্বের মতো। ব্র্যাথওয়েট সেই কাজটাই করে আসছেন লম্বা সময় ধরে। 
 

ঢাকা/ইয়াসিন 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র য থওয় ট র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’

সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি‌ বরাবর অভিযোগ করেন।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ