গিনেস বুকে জায়গা পাওয়া ১০ ক্রীড়াবিদ
Published: 5th, July 2025 GMT
১৭৫৯ সালে আয়ারল্যান্ডের উদ্যোক্তা ও জনহিতৈষী আর্থার গিনেস ডাবলিনে গিনেস ব্রিউরি নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। পরবর্তী সময়ে গিনেস ব্রিউরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন স্যার হিউ বিভার।
গিনেস বুকের ধারণাটা প্রথম বিভারের মাথা থেকেই আসে। তাঁর সঙ্গে যমজ ভাই নরিস ম্যাকহোয়ারটার ও রস ম্যাক ম্যাকহোয়ারটার মিলে ১৯৫৫ সালের আগস্টে লন্ডনে বুকের শুরুটা করেন। তখন থেকেই পৃথিবীর অদ্ভুত, চমকপ্রদ, অনন্য, চূড়ান্ত বা অভাবনীয় অর্জন গিনেস বুকে সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে। বিশ্ব রেকর্ডধারীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে সনদও।
২০০০ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নাম বদলে রাখা হয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। বিশ্বের সব বয়সের, সব অঙ্গনের মানুষই এই বইয়ে নাম তুলেছেন। ক্রীড়াবিদেরাও গড়েছেন অনেক অনন্য কীর্তি। তাই নাম উঠেছে তাঁদেরও।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা পেয়েছেন, এমন ১০ ক্রীড়াবিদকে নিয়েই এ আয়োজন—
শচীন টেন্ডুলকারনিজেদের হীরকজয়ন্তীতে শচীন টেন্ডুলকারকে এভাবেই সম্মানিত করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশির তদন্তে সহযোগিতার করবে সরকার
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া ৩৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ সরকার। আটককৃতদের ৫ জনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা সাম্প্রতিক নিরাপত্তা অভিযানে উগ্র বা জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেই সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আটককৃত ব্যক্তিদের পরিচয় এবং তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কিত তথ্য জানাতে অনুরোধ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মালয়েশিয়ার আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে হয় তদন্ত করবে অথবা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। বাংলাদেশ সরকার ঘটনাটির অগ্রগতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করছে। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হাইকমিশন প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ, সহিংস উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে। একইসঙ্গে এটি তদন্তে মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত শুক্রবার কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করার কথা জানান মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান খালিদ ইসমাইল। তিনি দাবি করেন, গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি শ্রমিকরা সিরিয়া ও বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর কাছে অর্থ পাঠাতেন। গত এপ্রিল থেকে পরিচালিত একাধিক অভিযানে ৩৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। তারা মালয়েশিয়ায় কারখানা, নির্মাণ ও সেবা খাতে কাজ করতেন।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আটককৃতদের বেশ কয়েকজনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। ফেরত পাঠালে সরকারও যাচাই করবে, তাদের সম্পৃক্ততা নিয়ে।