মাছ নাকি মুরগি: ওজন কমাতে কোনটি উপকারী?
Published: 5th, July 2025 GMT
মাছ এবং মুরগি দুটিই শরীরের জন্য উপকারী। তবে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য কোনটি উপকারী জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
পুষ্টিবিদদের মতে, যারা ওজন কমাতে চান তাদের নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি ভালো প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় খুব কম পরিমাণে চর্বিযুক্ত খাবার রাখা উচিত। প্রোটিন দীর্ঘস্থায়ী শক্তি যোগায়। এটি পেশিকে শক্তিশালী করে। মাছ এবং মুরগি দুই খাবারেই প্রোটিন পাওয়া যায়।
ওজন কমাতে চাইলে মাছ না মুরগি
কিছু গবেষণা অনুসারে, মাছ খেলে পেট ভরা অনুভূতি হয়। মাছে ক্যালোরি কম থাকে। এটি খেলে পেশি শক্তিশালী হয় এবং তুলনামুলকভাবে শরীরে বেশি শক্তি পাওয়া যায়।
‘নিউট্রিশন’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, হৃদ্রোগীদের সুস্থ থাকতে মাছ খাওয়া খুব জরুরি। এ ক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছ খুব উপকারী। এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো। চাইলে ছোট মাছও খেতে পারেন। যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন তারাও বেশি করে মাছ খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমাতে মুরগিও দারুণ উপকারী। মুরগির মাংসে থাকা নানা রকম স্বাস্থ্যগুণ দ্রুত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। তবে মুরগির মাংস কী ভাবে খাচ্ছেন সেটা জরুরি। ডোবা তেলে ভেজে খাওয়া ঠিক নয়। শরীরের যত্ন নিতে চাইলে চিকেন দিয়ে বানাতে হবে স্টু, স্যুপ জাতীয় খাবার। অনেকে আবার গ্রিলড চিকেনও খান। সিদ্ধ মুরগির মাংস খেতে পারলে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, আট সপ্তাহ ধরে অন্য কোন মাংস না খেয়ে শুধু মাছ খাওয়া ব্যক্তিরা, মাছ না খাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় অনেক বেশি ওজন কমিয়েছেন। তবে শুকনো মাছে বেশি ক্যালোরি থাকে। যারা ওজন বাড়াতে চান তারা শুকনো মাছ খেতে পারেন।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমাতে মাছ এবং মুরগির মাংস দুটি জরুরি। তবে মাছ কিংবা মাংস যাই খান, কী ভাবে খাচ্ছেন খেয়াল রাখুন। বেশি বেশি তেল-মসলা দিয়ে রান্না করে খেলে কোনও ফল পাওয়া যাবে না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ওজন কম ন ওজন কম ত ম রগ র ম উপক র
এছাড়াও পড়ুন:
সনদে সই করব কি না অনুষ্ঠানে গেলে দেখতে পারবেন: তাহের
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আগামী শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তাঁরা দাওয়াত পেয়েছেন এবং আশা করছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন। সনদে সই করবেন কি না, সেটা অনুষ্ঠানের দিন সবাই দেখতে পারবেন।
আজ বুধবার রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অতি জরুরি বৈঠক শেষে বের হয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
সনদে স্বাক্ষর করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘১৭ তারিখে (শুক্রবার) আমরা আশা করি, যাব। মাত্র এক দিন বাকি আছে, ওই দিন গেলেই ইনশা আল্লাহ দেখে ফেলবেন।’ কোনো অনিশ্চয়তা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সে রকম অনিশ্চয়তা আমরা দেখি না।’
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, গণভোট আগে হতে হবে। তারা নভেম্বর মাসে গণভোটের প্রস্তাব করেছে। নভেম্বরে গণভোট হলে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন, এটা তারা চায়।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হলে তাতে ভোট পড়ার হার কম হবে। কারণ, রাজনৈতিক দলের কর্মী–সমর্থকরা তাঁদের পছন্দের মার্কায় ভোট দিতে বেশি আগ্রহী থাকবেন। তখন গণভোটের গুরুত্বই থাকবে না। সে জন্য তাঁরা গণভোট নভেম্বরে করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ঐকমত্য কমিশনকে তাঁরা বলেছেন, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেগুলো একটি প্যাকেজ করে একটি প্যাকেজেই গণভোট হতে হবে।
গণভোটের জন্য রাজি হওয়ায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান জামায়াতে ইসলামীর ওই নেতা। তবে গণভোটের সময় নিয়ে ভিন্নতা থেকে গেছে উল্লেখ করে তাহের বলেন, গণভোট হবে সংস্কার কমিশনের জন্য। জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয়। গণভোটের এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলো নির্বাচনী আচরণে কিছু পরিবর্তন আনবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, উচ্চকক্ষ এবং ‘পিআর সিস্টেম বাই ভোটার নট বাই দি এমপিস’ এ ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন। সুতরাং নির্বাচনের আগেই এই সিদ্ধান্ত জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে এবং সেই অনুযায়ী উচ্চকক্ষের ভোট হবে। যদি এটা নির্বাচনের দিনই হয়, তাহলে উচ্চকক্ষ তো পাস হলো না। তাহলে কি আবার একটা নির্বাচন হবে?