ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো পাঁচ ভাইয়ের বাড়ি শেখবাড়িকে কেন্দ্র করে একসময় খুলনা অঞ্চলের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আবর্তিত হতো। দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পর ‘সব ক্ষমতার কেন্দ্র’ সেই শেখবাড়ি এখন কেবলই পোড়াবাড়ি। নগরের দলীয় কার্যালয়টিও আগুনে পুড়ে গেছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর খুলনায় আওয়ামী লীগের প্রায় সব বড় নেতা আত্মগোপনে চলে যান।

এমন পরিস্থিতিতেও মাঝেমধ্যে ঝটিকা মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। কখনো জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে, কখনো সমর্থক গোষ্ঠীর ব্যানারে খুলনার বিভিন্ন এলাকায় এসব মিছিল হচ্ছে।

অন্যদিকে অভ্যুত্থানের পরপরই বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দখলের অভিযোগ ওঠে। দোকানপাট, খেয়াঘাট, মাছের ঘের, জমি, বালুমহাল দখলসংক্রান্ত প্রায় ২০০টি অভিযোগ জমা পড়ে দলের তদারকি সেলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শতাধিক নেতাকে শোকজ করা হয় এবং কয়েকজনকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠন পুনর্গঠন করে খুলনা বিএনপি। জেলার পুরোনো আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠিত হয়, পরে তা পূর্ণাঙ্গও করা হয়। যদিও এ নিয়ে জেলার নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। মহানগর বিএনপিতে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোরও নতুন কমিটি হয়েছে। দলটির নেতা–কর্মীরা এখন প্রতিদিন নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় নানা কর্মসূচি পালন করছে।

খুলনা বিএনপির রাজনীতিতে গত কয়েক বছরের মতো এখনো নিয়ন্ত্রণমূলক ভূমিকা রাখছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। বিএনপির কার্যালয়গুলো এখন কর্মীদের উপস্থিতিতে সরব। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নিজ নিজ এলাকায় নিজেদের জানান দিচ্ছেন। কোথাও কোথাও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে দ্বন্দ্বও দেখা যাচ্ছে।

মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম (মনা) প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগে আমরা শত প্রতিকূলতার মধ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছি। আমাদের নেতা–কর্মীরা ত্যাগ স্বীকার করে রাজনীতি করেছেন। এখন অনেকটাই মুক্ত পরিবেশে জাঁকজমকভাবে কর্মসূচি চালানো যাচ্ছে। দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি নির্বাচনমুখী কার্যক্রমও চলছে। বড় দল, অনেকেই প্রার্থী হতে চাইছেন। তবে দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, আমরা সবাই তাঁর পক্ষে।’ জামায়াত সম্পর্কে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিচ্ছে। তাদের জনসংযোগে আওয়ামী লীগ নেতাদের দেখা যাচ্ছে।’

খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা ফিরেছে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো পুনর্গঠনের কাজ চলছে। পাশাপাশি দলকে নির্বাচনমুখীও করা হচ্ছে।’

একসময়ের নিষ্ক্রিয় জামায়াত এখন খুলনায় ব্যাপকভাবে সরব। মহানগর ও জেলা ইউনিটে কমিটি গঠন, কার্যালয় চালু এবং ছয়টি আসনে প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে তারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অতীতে মহানগর এলাকা খুলনা-২ ও খুলনা-৩ আসনে তারা কখনো প্রার্থী দেয়নি, এবার সেখানে প্রার্থী দিয়েছে। নিয়মিত গণসংযোগ ও দলীয় কর্মসূচিও পালন করছেন প্রার্থীরা। জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির শফিকুর রহমানের উপস্থিতিতে খুলনা-৫ ও ৬ আসনে একাধিক সভা-সমাবেশ হয়েছে। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার খুলনার বাসিন্দা হওয়ায় অধিকাংশ বড় কর্মসূচিতে তিনিই উপস্থিত থাকেন।

মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে ও পরে সময়ের পার্থক্য আছে। আমাদের ওপরে নিষিদ্ধ সংগঠনের মতো আচরণ করা হতো। ওপেন মিছিল-মিটিং কঠিন ছিল। গোপনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালিয়েছি যাতে কর্মী, সহযোগী, সমর্থক, রোকন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। এখন প্রকাশ্যে সভা-মিছিল করতে পারছি, কার্যালয়গুলোও খুলে গেছে।’
সব মিলিয়ে খুলনার রাজনীতির মাঠে বিএনপি ও জামায়াত সক্রিয়। দুই দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা খুলনা থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করায় কথার লড়াই ও মনস্তাত্ত্বিক চাপ বাড়ছে। তারা সংগঠন গোছানোর পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে। প্রার্থীরা এলাকায় সক্রিয়, সামাজিক-ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন ও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন বলেন, ‘খুলনার সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা কর্মী-সমর্থকদের সক্রিয় করছি এবং সাধারণ মানুষকেও যুক্ত করার চেষ্টা করছি। অন্যান্য ইসলামী দলের সঙ্গে জোট করার চেষ্টাও চলছে। যেসব আসনে তাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে, প্রয়োজনে আমরা সেসব আসনে প্রার্থী দেব না।’

জামায়াতের গণসংযোগে আওয়ামী লীগ নেতাকে পাশে রাখা বা তাঁদের কবর জিয়ারত করার বিষয় নিয়ে শেখ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নির্বাচনে সবাই ভোটার। গণসংযোগে দল দেখা হয় না। কেউ জামায়াতের লোক না হলে তাঁদের কাছে যাব না, এটা হয় না। গণসংযোগের সময় অন্য দলের কেউ সেখানে ঢুকে পড়লে, ওই সময় প্রার্থীর পক্ষে বুঝে ওঠা কঠিন। আর কেউ মারা গেলে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় থাকে না।’

এর বাইরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলন ও সিপিবির নেতা–কর্মীরাও খুলনায় নিয়মিত কর্মসূচি পালন করছেন। জাতীয় পার্টির কার্যক্রম একরকম নিষ্ক্রিয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভ্যুত্থানে থাকা ছাত্রদের সমন্বয়ে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। খুলনার জন্য ২১ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করেছে তারা। তবে তাদের দৃশ্যমান কোনো নির্বাচনী কার্যক্রম নেই।

খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা)

হিন্দু-অধ্যুষিত এ আসন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। খুলনার অপর পাঁচটি আসন সময়–সময় বিভিন্ন হাতে পড়েছে। তবে ১৯৯১ সাল থেকে দলটির প্রার্থীরাই প্রতিটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসছেন। এখন মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির সাবেক জেলা আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, যিনি ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ছিলেন। পাশাপাশি গণসংযোগ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা ও ডাকসুর সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক জিয়াউর রহমান। বটিয়াঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির শেখ আবু ইউসুফও এলাকায় নিয়মিত প্রচারণায় আছেন।

খুলনা-২ (খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা)

মর্যাদাপূর্ণ এ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রচারে নেমেছেন মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম (তুহিন)। সভাপতি শফিকুল আলম (মনা) মনোনয়ন চাইবেন বলে দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও খুলনার সন্তান রুহিন হোসেনের (প্রিন্স) পক্ষেও প্রচার-প্রচারণা আছে। ২০০১ সালে এই আসনে জয়ী হওয়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারের কেউ এবারও প্রার্থী হতে পারেন—এমন গুঞ্জন আছে। এ ছাড়া খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু নিজস্ব অনুসারীদের নিয়ে নিয়মিত মিছিল, মিটিং, শোডাউন চালিয়ে যাচ্ছেন।

খুলনা-৩ (খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী)

এ আসনে প্রচার চালাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম। ২০১৮ সালেও তিনি দলের প্রার্থী ছিলেন। খুলনায় বিএনপির রাজনীতিতে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতাকে ‘অভিভাবক’ হিসেবে বিবেচনা করেন দলীয় নেতা–কর্মীরা। এ আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য সক্রিয় দলের আর কেউ নেই। জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও মহানগর আমির মাহফুজুর রহমান প্রায় প্রতিদিনই মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

খুলনা-৪ (রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া)

এ আসনে বিএনপির তিন নেতা সক্রিয়-কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা মোহাম্মদ পারভেজ এবং দলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা শরীফ শাহ কামাল। আগের নির্বাচনগুলোতে আজিজুল বারী ও শরীফ শাহ দলের প্রার্থী ছিলেন। জামায়াতের খুলনা জেলা নায়েবে আমির মাওলানা কবিরুল ইসলাম এখানে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া ও ফুলতলা)

এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইবাদুল হক রুবায়েদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা মোশাররফ হোসেন ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী টিকু রহমান। তবে ৩০ মে থেকে মাঠে সক্রিয় আছেন মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক, বিসিবির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগার। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে তিনি খুলনা-৫ থেকে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এ আসনে নিয়মিত প্রচারণা চালাচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার।

খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা)

প্রথম আলোর কয়রা প্রতিনিধি ইমতিয়াজ উদ্দীন জানান, এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করে মাঠে আছেন খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো.

মোমরেজুল ইসলাম, জিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক আমিরুল ইসলাম, বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন এবং ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম। তাঁরা সবাই দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা গড়ার চেষ্টা করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মনিরুল হাসানের নামও আলোচনায় এসেছে।

জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রচারে আছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। ২০১৮ সালেও তিনি জোটের প্রার্থী ছিলেন। এরই মধ্যে দলটির কেন্দ্রীয় আমিরের উপস্থিতিতে এলাকায় সভা-সমাবেশ করেছেন তিনি। ঈদুল আজহার সময় কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলার প্রতিটি বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাঁর পোস্টার ও প্যানা টাঙানো হয়েছে। নিয়মিত গণসংযোগেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘খুলনা-৬ আমাদের ঘাঁটি। এর আগেও জামায়াতের প্রার্থী দুবার জয়ী হয়েছেন। এবার আমাকে একক প্রার্থী করা হয়েছে। জনগণের ভালো সাড়া পাচ্ছি। ভোটকেন্দ্রভিত্তিক কমিটিও গঠন করেছি।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স ব ক র র জন ত কর ম দ র উপস থ ত গণস য গ ল ইসল ম র ব এনপ য় কর ম কর ম র ন র পর এল ক য় দল য় ক এক ধ ক এ আসন সদস য আওয় ম রহম ন করছ ন সহয গ দলট র স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

৬ মিনিটেই তুর্কমেনিস্তানের জালে বাংলাদেশের দুই গোল

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এশিয়া কাপ নিশ্চিত হয়েছে এক ম্যাচ আগেই। আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় তুর্কমেনিস্তানে বিপক্ষে নিয়মরক্ষার ম্যাচে নেমেছে বাংলাদেশ।

বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার মিয়ানমার ম্যাচের একাদশ এই ম্যাচেও অপরিবর্তিত রেখেছেন। ম্যাচের তিন মিনিটেই স্বপ্নার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর শামসুন্নাহার গোল করেন ৬ মিনিটে।

কাগজে-কলমে বাংলাদেশ এই ম্যাচে ফেভারিট। সাম্প্রতিক সময়ে জর্ডান, বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমারের মতো দলকে হারিয়েছে যারা র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। এতে তুর্কমেনিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারানোর প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের।

বাংলাদেশ একাদশ: রুপ্না চাকমা (গোলরক্ষক), আফিদা খন্দকার (অধিনায়ক), শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, কোহাতি কিসকু, মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা, স্বপ্না রাণী, ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার ও তহুরা খাতুন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ