সমবায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ক্যাডারভুক্ত অনেক কর্মকর্তা ঢাকার বাইরে যেতে চান না। ফলে ঢাকার বাইরের কার্যালয়গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ পদ ফাঁকা পড়ে আছে। এ বিষয়টির পাশাপাশি জনবলসংকটের কারণে সমবায় সমিতিগুলোর কার্যক্রম সঠিকভাবে নজরদারি হচ্ছে না। এ সুযোগে সমিতিগুলো অনিয়ম করছে।

অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাডার কর্মকর্তা হয়েও অনেকে চাকরিজীবনের অর্ধেক সময় কাটিয়ে দিয়েছেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে। ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও অনেকে যেতে চান না। এর প্রভাব পড়ছে মাঠপর্যায়ে।

বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের প্রতি মাসে নির্ধারিত সংখ্যক সমবায় সমিতি পরিদর্শনের কথা। কিন্তু জনবলসংকটের কারণে তা হচ্ছে না। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে অনেক সমবায় সমিতি।

অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাডার কর্মকর্তা হয়েও অনেকে চাকরিজীবনের অর্ধেক সময় কাটিয়ে দিয়েছেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে। ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও অনেকে যেতে চান না। এর প্রভাব পড়ছে মাঠপর্যায়ে।

গত বছরের ২ মে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক রিক্তা দত্তকে বরিশাল বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেখানে যুগ্ম নিবন্ধক হিসেবে যোগ দেননি।

এ বিষয়ে বিসিএস ২১ ব্যাচের সমবায় ক্যাডারের কর্মকর্তা রিক্তা দত্ত গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি তাঁর চাকরিজীবনে কখনো ঢাকার বাইরে কাজ করেননি। তাই ঢাকার বাইরে যেতে তাঁর আগ্রহ নেই। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তাঁর বদলি আদেশ স্থগিত করা হয়।

কর্মকর্তাদের প্রতি মাসে নির্ধারিত সংখ্যক সমবায় সমিতি পরিদর্শনের কথা। কিন্তু জনবলসংকটের কারণে তা হচ্ছে না।

একইভাবে প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত নিবন্ধক জেবুন নাহার, যুগ্ম নিবন্ধক রাশিদা মুসতারীন, উপনিবন্ধক সামিয়া সুলতানাকে গত বছর ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছিল। যদিও পরে তা স্থগিত করা হয়।

অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার তথ্য অনুসারে, চাকরিজীবনের বেশির ভাগ সময় ঢাকায় কাটিয়ে দেওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও আছেন অতিরিক্ত নিবন্ধক মোহাম্মদ হাফিজুল হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম নিবন্ধক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম নিবন্ধক মো.

মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম নিবন্ধক সাইয়্যেদাতুন নেছা, উপনিবন্ধক মুহাম্মদ হোসেনুজ্জামান, উপনিবন্ধক মল্লিকা রানী দাশ, সহকারী নিবন্ধক এইচ এম সহিদ-উজ-জামান।

ঢাকা বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ে আট বছর ধরে উপনিবন্ধক পদে কর্মরত আছেন নূর-ই-জান্নাত। তিনি গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বদলি আমাদের ইচ্ছায় হয় না। বদলি করে থাকে মন্ত্রণালয়। আমি নিজেও বদলি হতে চাই। কিন্তু করা হয় না। কেন বদলি করা হয় না, আমি জানি না।’

এ নিয়ে মাঠপর্যায়ে থাকা ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ আছে। তাঁরা বলছেন, এঁদের জন্যই তাঁরা ঢাকায় আসতে পারছেন না।

জানতে চাইলে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুনিমা হাফিজ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদবির করে অনেকে থেকে যাচ্ছেন। এই দপ্তরে আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। এসব আমার দেখার বিষয় নয়।’

এমন প্রেক্ষাপটে আজ ৫ জুলাই পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কো-অপারেটিভস: ড্রাইভিং ইনক্লুসিভ অ্যান্ড সাসটেইনেবল সলিউশনস ফর আ বেটার ওয়ার্ল্ড’। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে সমবায় অধিদপ্তর। আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার উপস্থিত থাকার কথা।

বদলি আমাদের ইচ্ছায় হয় না। বদলি করে থাকে মন্ত্রণালয়। আমি নিজেও বদলি হতে চাই। কিন্তু করা হয় না। কেন বদলি করা হয় না, আমি জানি নাঢাকা বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ে উপনিবন্ধক নূর-ই-জান্নাত

নজরদারির ঘাটতি, ঝুঁকিতে হাজারো সমিতি

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা রোকেয়া বেগম (৪০)। তিনি চাঁনপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের একটি সমবায় সমিতিতে ৩০ লাখ টাকা রেখেছিলেন। সমিতির কার্যালয়ে এখন তালা ঝুলছে। সমিতির চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম উধাও। টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় রোকেয়া।

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় গত এপ্রিলে গ্রাহকের টাকা নিয়ে একসঙ্গে ২৩টি সমবায় সমিতি হাওয়া হয়ে যায়। এসব সমিতিতে গ্রাহকের জমার পরিমাণ ৭৩০ কোটি টাকা। সমিতিগুলোর কয়েক হাজার গ্রাহক এখন নিঃস্ব।

গ্রাহকের টাকা নিয়ে সমিতি উধাও, সঞ্চয় হারিয়ে মানুষের কান্না, প্রতিবাদে সরকারি দপ্তর ঘেরাও—সমবায় সমিতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের গ্রাহকদের এমন অভিজ্ঞতার কথা প্রায়ই সামনে আসে।

সম্প্রতি সমবায় অধিদপ্তর দেশের ১ হাজার ২৪১টি সমবায় সমিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গত ৫ মার্চ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে একটি সমন্বয় সভা হয়। সভায় এ তথ্য তুলে ধরেন অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মোহাম্মদ ইমরান হাবীব।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, নজরদারির ঘাটতির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনিয়মকারী সমবায় সমিতিগুলোকে ধরা যাচ্ছে না। তারা নানা কৌশলে পার পেয়ে যাচ্ছে।

সভায় বলা হয়, এই সমবায় সমিতিগুলো কোনো ধরনের নিয়মনীতি মানছে না। তারা প্রতিনিয়ত আইন ভাঙছে। আটটি বিভাগের এসব সমবায় সমিতিকে নজরদারিতে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, নজরদারির ঘাটতির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনিয়মকারী সমবায় সমিতিগুলোকে ধরা যাচ্ছে না। তারা নানা কৌশলে পার পেয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সমবায় সমিতিগুলোর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের সুসম্পর্ক থাকে। সে কারণে সমিতিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।

সমবায় অধিদপ্তরে নানা সমস্যা। সমবায় সমিতিগুলো নজরদারিতে নেই। এসব অনিয়মের সঙ্গে কর্মকর্তারা জড়িত থাকেন। এই অধিদপ্তরে মহাপরিচালক দেওয়া হয় অন্য ক্যাডার থেকে। কিন্তু সমবায় ক্যাডার থেকেই মহাপরিচালক হওয়া উচিত ছিল। বর্তমান কাঠামো দিয়ে সমবায় চলবে না। পেশাদার লোক দিয়ে সমবায়কে চালাতে হবে।স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ

কমিশনের সুপারিশ

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমবায় অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডকে (বিআরডিবি) একীভূত করে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সমবায় ক্যাডারকে অন্য প্রাসঙ্গিক ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সমবায় ও খাদ্য ক্যাডারকে প্রশাসনিক সার্ভিসের সঙ্গে একীভূত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সমবায় অধিদপ্তরে নানা সমস্যা। সমবায় সমিতিগুলো নজরদারিতে নেই। এসব অনিয়মের সঙ্গে কর্মকর্তারা জড়িত থাকেন। এই অধিদপ্তরে মহাপরিচালক দেওয়া হয় অন্য ক্যাডার থেকে। কিন্তু সমবায় ক্যাডার থেকেই মহাপরিচালক হওয়া উচিত ছিল। বর্তমান কাঠামো দিয়ে সমবায় চলবে না। পেশাদার লোক দিয়ে সমবায়কে চালাতে হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সমব য় ক য ড র স থ ন য় সরক র র র কর মকর ত কর মকর ত দ র প রথম আল ক কর মকর ত র ম ঠপর য য় ক সমব য় নজরদ র পর য য় গ র হক ও অন ক বলছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান

জাতিসংঘের মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান বলেছেন, ‘আমাদের যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে, তার একটি হলো ঠিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশ একটি স্বাভাবিক গণতন্ত্রের দেশ নয়। এখানে গণতন্ত্র চলছে না। কার্যত এটা পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে।’

টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট (টিজিআই) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে আইরিন খান এ কথা বলেন। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গত বুধবার ‘আইন থেকে অধিকার: বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণে ডিজিটাল স্বাধীনতার সুরক্ষা’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। গতকাল রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ওয়েবিনারে বিদ্যমান ও নতুন সাইবার আইন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া এবং নাগরিকদের ওপর নজরদারিসহ ডিজিটাল সুশাসন-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় ও উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা হয়। টিজিআই–এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে নজরদারি সরঞ্জাম কেনার জন্য ১৯ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ব্যয় করেছে।

ওয়েবিনারে সূচনা বক্তব্য দেন টিজিআই–এর নির্বাহী পরিচালক সাবহানাজ রশীদ দিয়া। গত বছরের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশে বেশ কিছু সংস্কার হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সাবহানাজ রশীদ বলেন, ‘আমরা দেখেছি, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো বিষয়গুলোর ব্যাপারে কিছু উল্লেখযোগ্য তদন্ত, কমিশন ও প্রক্রিয়া করা হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে আমরা নির্বিচার গ্রেপ্তার হতেও দেখেছি।’

টিজিআই–এর নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘গত কয়েক মাসে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। অতীতে আমাদের বিশ্লেষণে আমরা দেখেছি, এই আইন বাংলাদেশে নজরদারির সবচেয়ে সহায়ক এবং একই সঙ্গে এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করেছে।’

আলোচনায় বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা খাতের বিষয়গুলো নিয়ে আইরিন খান বলেন, ‘আমাদের একটি অন্তর্বর্তী সরকার আছে, যার কর্তৃত্ব সীমিত। আমাদের একটি নিরাপত্তা খাত আছে; এই একটি মাত্র খাতে অভ্যুত্থান ও পরিবর্তনের কোনো প্রভাব পড়েনি। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা খাতে সংস্কার নিশ্চিত করতে আমরা কী করতে পারি?’

জাতিসংঘের বিশেষ এই র‍্যাপোর্টিয়ার বলেন, ‘এই রূপান্তর বাস্তবায়নের জন্য নিরাপত্তা খাতকেই সহায়তা করতে এগিয়ে আসতে হবে (বর্তমান সরকারকে)। এখনো তাদের কাছে সব ধরনের (নজরদারি) সরঞ্জাম রয়েছে। আর সে কারণে পরবর্তী সরকারের নেতৃত্ব কে দেবে, তা নির্ধারণে অন্য সবার চেয়ে তাদের বাড়তি সুবিধা রয়েছে।’

পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ডিজিটাল পরিসরে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বর্তমান সরকার কী করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনায় আইরিন খান বলেন, ‘ডিজিটাল নিয়ে ভাবুন। আমি মনে করি না, সরকার তা করছে। তবে অন্য সবাই ডিজিটাল নিয়ে ভাবছে। তাই সরকারের ডিজিটাল নিয়ে এবং ডিজিটাল পরিসরে কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ে ভাবা দরকার। (ইন্টারনেট) কোম্পানিগুলোকে ডাকুন, তাদের সঙ্গে কথা বলুন এবং ডিজিটাল পরিসর কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা মানুষকে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকেও বুঝতে দিন।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিনের প্রোগ্রাম অফিসার ডায়নাহ ফন ডার গেস্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, নজরদারি নিজে থেকে অবৈধ নয়। সর্বত্র রাষ্ট্রগুলোর জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধের তদন্ত করা এবং নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু নজরদারি যখন ব্যাপক, অস্বচ্ছ ও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়, তখন তা একটি বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করে।’

ওয়েবিনারে বলা হয়, বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ডিজিটাল স্বাধীনতা যেমন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং অনলাইনে নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে সাইবার আইন ও এর প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ; ডিজিটাল পরিসরে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং মানুষের অধিকার সুরক্ষায় সংস্কারের সম্ভাবনা নিয়ে এতে আলোচনা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান
  • কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি