Risingbd:
2025-10-22@05:31:28 GMT

দখল-দূষণে নাকাল বাকিলাবাসী

Published: 5th, July 2025 GMT

দখল-দূষণে নাকাল বাকিলাবাসী

বাকিলা চাঁদপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী একটি বাজার। তবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় বাকিলা বাজারের ব্যবসায়ীরা আছেন অভিভাবক সংকটসহ নানা ঝুঁকিতে। বাজারের উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে তারা দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তবে দ্রুত বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে বাকিলা বাজারে গেলে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কথা জানান ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।

সরজমিনে দেখা যায়, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারটিতে রাস্তার ওপরে যত্রতত্র পার্কিং ও যানজটময় দুরবস্থা। সপ্তাহে দুদিন হাট বসা এই বাজারটিতে শত শত দোকানপাট, ব্যাংক, বীমাসহ নানা প্রতিষ্ঠান থাকলেও শৃঙ্খলা রক্ষায় নেই কোনো বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি। এতে করে বাজারটিতে যে যেভাবে পারছে ময়লা আবর্জনা ফেলাসহ নিজের স্বেচ্ছাচারিতা প্রকাশ করছে।

আরো পড়ুন:

চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরিবেশ উপদেষ্টা: বায়ুদূষণ রোধে ৩ মেয়াদে উদ্যোগ নে‌বে সরকার

ঢাকাসহ দেশব্যাপী দূষণ রোধে অভিযান

স্থানীয় পথচারী ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে বাকিলা বাজারের নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো সিসি ক্যামেরা। এতে করে বাজারে বেড়েছে বৈদ্যুতিক মিটারসহ দোকানপাটে চুরি, রাস্তায় ছিনতাইসহ নানা অপরাধ। তাছাড়া রাস্তার ওপরে হাটবাজার, অবৈধ দখলে দোকানপাট নির্মাণ, পাবলিক টয়লেট না থাকা, অবৈধ অটো-সিএনজি স্ট্যান্ড, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা এবং পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে তৈরি হচ্ছে দুর্গন্ধ। ফলে বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, “বাজারের উন্নয়নে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে বাজারে কিভাবে শৃঙ্খলা রাখা যায়, সে পরিকল্পনাও করা হবে।

চাঁদপুর ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সার্জেন্ট আব্দুর জব্বার মোল্লা বলেন, “যানজট ও শৃঙ্খলা ফেরাতে বাকিলায় ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করা হবে। তবে জনবল সংকটে সে ব্যবস্থা করতে কিছুটা সময় বিলম্ব হচ্ছে।”

ঢাকা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

পুরোনো একাধিক অফিস সংস্করণেও প্রযুক্তি সহায়তা বাতিল করল মাইক্রোসফট

অফিস ২০১৬ ও অফিস ২০১৯ সংস্করণের জন্য আর কোনো প্রযুক্তি সহায়তা দেবে না মাইক্রোসফট। ১৪ অক্টোবর থেকে এই দুটি সংস্করণের জন্য আর কোনো নিরাপত্তা হালনাগাদ, ত্রুটি সংশোধন বা প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে না প্রতিষ্ঠানটি। প্রযুক্তি সহায়তা না পেলেও সফটওয়্যার দুটি ব্যবহার করা যাবে। তবে ব্যবহারকারীরা সাইবার হামলা ও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির মুখে থাকবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।

মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, অফিস ২০১৬ সংস্করণের প্রধান সহায়তা কার্যক্রম শেষ হয় ২০২০ সালের অক্টোবরে। এর তিন বছর পর অফিস ২০১৯ সংস্করণেরও সহায়তা কার্যক্রম শেষ হয়। এবার পুরোপুরি মাইক্রোসফটের সমর্থন প্রত্যাহার হওয়ায় পুরোনো সংস্করণগুলো ব্যবহার করলে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং উৎপাদনশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আর তাই যত দ্রুত সম্ভব নতুন সংস্করণে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিতে হবে ব্যবহারকারীদের।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, স্কাইপ ফর বিজনেস ২০১৬ ও ২০১৯ সংস্করণের সহায়তাও এই সপ্তাহে শেষ হয়েছে। সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা বন্ধ হলেও স্কাইপ ফর বিজনেসের পুরোনো সংস্করণটি ব্যবহার করা যাবে, তবে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। আর তাই নিরাপত্তা ও কাজে প্রতিবন্ধকতা এড়াতে ব্যবহারকারীদের দ্রুত নতুন সংস্করণে হালনাগাদ করতে হবে।

গত সপ্তাহ থেকে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আর কোনো সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। ফলে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটার সাইবার হামলার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এ সমস্যা সমাধানে ব্যবহারকারীদের দ্রুত উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার

সম্পর্কিত নিবন্ধ