যারা পিআর পদ্ধতির কথা বলে, তাদের ভোট নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ
Published: 5th, July 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কিছু দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের কথা বলছে। কিন্তু দেশের বেশির ভাগ মানুষ পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে বোঝেন না। তাঁরা এ পদ্ধতিতে কখনো ভোট দেননি। কিছু দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, কিছু দেশে এখনো পরীক্ষামূলক রয়েছে। যারা পিআর নির্বাচনের কথা বলে, তাদের ভোট নেই। নির্বাচন হলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
আজ শনিবার বিকেলে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘যথাসময়ে’ সংস্কার ও দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশের প্রধান বক্তা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ছাত্রদের দল দাবি করছে মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হবে না। আমরা নাকি সংস্কার চাই না, শুধু নির্বাচন নির্বাচন করি। যারা এসব বলে, তাদের কোনো ভোট নেই। যাদের কোনো প্রার্থী চেয়ারম্যান ও মেম্বার হতে পারেননি, তারা এসব কথা বলছে। আমরাও সংস্কার চাই, তবে নির্বাচনের মাধ্যমে। সংস্কারের নামে যারা অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতায় থাকতে চায়, তারা অনুপাতের নির্বাচনের কথা বলছে। আমরা নির্বাচনের কথা বললে আমাদের এজেন্ট বলা হচ্ছে। এসব কারা বলে? আমরা বলতে চাই, সবার আগে বাংলাদেশ। বিগত সরকারের আমলে দিল্লি থেকে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করা হতো। আমরা আর কখনো অন্য কোনো দেশের তাঁবেদারি মেনে নেব না।’
সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দল যদি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়, তখন বিএনপিও ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। তখন দেখা যাবে, কারা বেশি আসন পায়। কার জনপ্রিয়তা বেশি। যারা নির্বাচন চায় না, তারা ভারতের দালাল।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘আমরা ১৭ বছর নির্বাচনের জন্য লড়াই করেছি। এখন আবার নির্বাচনের কথা কেন আসবে? নির্বাচন হতে হবে। ছোট শিশু, সন্তানহারা মায়ের চোখের জলে আমরা পেয়েছি নতুন বাংলাদেশ। দেশের সমস্যা আমাদের নিজেদেরই সমাধান করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনা পালিয়ে গেছে। কিন্তু জনগণ যেমন ছিল, তেমনই রয়েছে। শেখ হাসিনা অনেক কথাই বলেছিল। সে বলেছিল, লন্ডনে বসে তারেক রহমান নাকি দেশকে উল্টে দেবে। সেই তারেক রহমানই ফ্যাসিবাদের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করেছেন।’
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সুলতান নাসির, কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জিনজিরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোজাদ্দেদ আলী, ঢাকা জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক জুয়েল মোল্লা, ঢাকা জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোকাররম হোসেন, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি পাভেল মোল্লা প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ানীবাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করলেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ফয়সল আহমদ চৌধুরী
পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করে একটি গোষ্ঠী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য ফয়সল আহমদ চৌধুরী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। নির্বাচনী উৎসবে মেতে উঠতে সবাই প্রস্তুত।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের খাড়াবড়া বাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। দুবাগ ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় ফয়সল আহমদ চৌধুরী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়। তাদের লক্ষ্য স্বৈরাচারকে ফিরিয়ে এনে এ দেশকে আবারও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া। কিন্তু দেশপ্রেমিক জনতা সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবে না। বাংলার মাটিতে আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে জাতীয় নির্বাচন হবেই, ইনশা আল্লাহ।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে ফয়সল আহমদ চৌধুরী বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বিএনপির সুপারিশ, মতামত, নোট অব ডিসেন্ট এসবকে পাশ কাটিয়ে গেছে ঐকমত্য কমিশন। বিএনপির মতামত, প্রস্তাবকে উপেক্ষা করেছে তারা। এই কমিশন ঐকমত্যের বদলে অনৈক্য কমিশন হয়ে গেছে। ২৫টি রাজনৈতিক দল যে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল, সেই সনদের সঙ্গে কমিশনের সুপারিশের মিল নেই। এগুলো দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক নিয়াজ উদ্দিন। জেলা যুবদলের সদস্য এবি কালাম ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য শহিদুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এম এ মান্নান, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন প্রমুখ।