যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসে ৪ জুলাই হোয়াইট হাউসে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুল আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিলে’ সই করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁর বহু প্রতীক্ষিত কর ও ব্যয়–সংক্রান্ত বিলটি আইনে (অ্যাক্টে) পরিণত হয়েছে।

বিল সইয়ের সময় ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকা জিতছে, বারবার জিতছে, যেভাবে আগে কখনো জেতেনি।’ এ সময় তাঁর পাশে থাকা রিপালিকান পার্টির নেতারা এটাকে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল’ বিল বলে স্বাগত জানান।

এর আগে কংগ্রেসের রিপাবলিকান–নিয়ন্ত্রিত দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার অল্প ব্যবধানে বিলটি পাস হয়। এতে বিলটির পক্ষে পড়ে ২১৮ ভোট, বিপক্ষে পড়ে ২১৪ ভোট। পরে এতে সই করেন স্পিকার মাইক জনসন। তারও আগে গত মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি কোনো রকম উতরে যায়। সিনেটে বিলটি ৫১-৫০ ভোটে পাস হয়। বিলটি নিয়ে ট্রাম্পের নিজ দলেও প্রবল বিরোধিতা ছিল।

শুক্রবার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৯তম স্বাধীনতা দিবস। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর বি-২ বোমারু বিমান ও অন্যান্য যুদ্ধবিমানের মহড়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সাম্প্রতিক হামলায় বি-২ বোমারু বিমান ব্যবহার করা হয়েছে। ওই অভিযানের পাইলটদের নাম অনুষ্ঠানের অতিথির তালিকায় দেখা গেছে।

বিগ বিউটিফুল বিল আইনে পরিণত করা গত দুই সপ্তাহে ট্রাম্পের জন্য একটি বড় সাফল্য। তাঁর দাবি অনুযায়ী এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের নিখুঁত বিমান হামলার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে।

এ বিলের মাধ্যমে ট্রাম্প নিজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করলেন। এতে তাঁর আগের মেয়াদের করছাড়ের সম্প্রসারণ, সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং অভিবাসনবিরোধী অভিযান জোরদারে বিশাল তহবিল বরাদ্দ রয়েছে।

তবে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির অনেকের শঙ্কা, এ বিলের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ অনেক বাড়বে এবং স্বাস্থ্য ও কল্যাণ খাতে বড় কাটছাঁট করতে হবে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও সবাইকে আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন ট্রাম্প। ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘(সরকারি ব্যয়ে) সবচেয়ে বড় কাটছাঁট হলেও আপনারা এর কোনো প্রভাবই বুঝতে পারবেন না।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র ব গ ব উট ফ ল অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম আলোর লেখকদের মতবিনিময় সভা

প্রথম আলোর লেখকদের একটি মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল শনিবার। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা থেকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান ও গণমাধ্যম নিয়ে নানা অভিমত ও পরামর্শ উঠে আসে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে লেখকদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। প্রথম আলোর দীর্ঘ ২৬ বছরের পথচলায় নানা বাধা–বিপত্তি, সীমাবদ্ধতা, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি।

লেখকেরা প্রথম আলোর বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার প্রশংসা করেন। বিশেষ করে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময়ে অনেক বাধা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রথম আলো যে সাহসী ভূমিকা রেখেছে সে জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি ও জন–বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) উপাচার্য ম. তামিম, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, লেখক ও গবেষক মোরশেদ শফিউল হাসান, আইইউবিএটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রসুল, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ ও গওহার নঈম ওয়ারা।

আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ, পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা লাসনা কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এম সামছুল হক, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এস কে তৌফিক হক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন শিকদার, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌমিত জয়দ্বীপ, লেখক ও গবেষক খান মো. রবিউল আলম।

উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও গবেষক মাহা মির্জা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর–আল–মতিন, ব্যাংকার মামুন রশীদ, আইইউবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক এন এন তরুণ, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম, লেখক ও উন্নয়ন কর্মী নিশাত সুলতানা, লেখক সুবাইল বিন আলম, লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ, সাংবাদিক আসজাদুল কিবরিয়া, লেখক মিল্লাত হোসেন ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সহযোগী মোহাম্মাদ ঈসা ইবন বেলাল।

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ