নেত্রকোনায় এনসিপির কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, যুবলীগ নেতা আটক
Published: 27th, July 2025 GMT
নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের পূর্বধলা উপজেলার রাজার বাজারসংলগ্ন খানপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ।
আটক ওই যুবলীগ নেতা হলেন হুমায়ুন কবির (৩৫)। তিনি উপজেলার খলিশাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের ছোট্টু মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সাহেব আলী পাঠান বলেন, নেত্রকোনায় এনসিপির জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচিতে নাশকতার অভিযোগে যুবলীগের নেতা হুমায়ুন কবিরকে আটক করে জেলা ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হুমায়ুন কবির ফেসবুকে নেত্রকোনায় এনসিপির পদযাত্রা অনুষ্ঠানে নাশকতা চালানোর চেষ্টা করে উসকানিমূলক স্ট্যাটাস দেন। বিষয়টি নজরে আসার পর জেলা ডিবি পুলিশ ও পূর্বধলা থানা-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে।
নেত্রকোনায় আজ রোববার এনসিপি পথসভা ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পুরাতন কালেক্টরেট মাঠে আজ সকাল ১০টায় পথসভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বেলা পৌনে ১২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় কর্মসূচি শুরু হয়নি। এ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ ও নেত্রকোনা জেলা এনসিপির কয়েকজন নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির পথসভায় হামলাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে ঘটে হতাহতের ঘটনা। এরপর কক্সবাজারে এনসিপির এক নেতার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে চকরিয়ায় মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়। এর পর থেকে দলের কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফাহিম খান পাঠান বলেন, পথসভা শেষে শহরের ছোট বাজার এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে তেরিবাজার ঘুরে আখড়ার মোর হয়ে বরবাজার দিয়ে একই স্থানে এসে পদযাত্রা শেষ হবে। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা শেরপুর যাবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ত রক ন য় পদয ত র এনস প র য বল গ দ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।