কুয়েতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত
Published: 6th, August 2025 GMT
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম শুরু হয়।
পরে, রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাকিবুল করিম চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার (শ্রম) আবুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, এর গুরুত্ব এবং তাৎপর্য তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন তার বক্তব্যে গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি, এর প্রভাব, বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা এবং এই আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান শেষে, জুলাই-আগস্ট মাসে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। একই সঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন কামনা করা হয়। দূতাবাস কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশার প্রবাসীরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
যারা জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা আর কখনো ফিরে আসবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
যারা জুলাই আন্দোলন ও গ্রাফিতির বিরুদ্ধে তারা আর কখনো ফিরে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এমনকি জুলাই আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে অঙ্কিত গ্রাফিতি ‘জুলাই বীরত্ব’ ও ‘জুলাই আত্মত্যাগ’ এর উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আপনাদের মনে কখনো সন্দেহ রাখবেন না যে, এই গ্রাফিতি থাকবে না। সামনে নির্বাচিত সরকার এলেও এই গ্রাফিতি না রাখার কারণ নেই।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারী শহীদদের। তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাদের পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তের ম্যুরালে ইতিহাসভিত্তিক এই গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। এটি কেবল একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নয়, বরং ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস। জুলাই বীরত্ব ও জুলাই আত্মত্যাগ নামের এই গ্রাফিতি আমাদের মনে করিয়ে দেবে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তরুণ সমাজের আত্মত্যাগের কথা।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘এ প্রজন্মকে আগামী প্রজন্মকে জানাতে হবে— জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি আন্দোলন ছিল না, বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এই আন্দোলন জাতিকে নতুন দিশা দিয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের উদ্যোগ মানুষকে সত্য, ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনায় উজ্জীবিত করবে।’’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহামিদুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম প্রমুখ।
ঢাকা/রতন/রাজীব