কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 

কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন। 

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম শুরু হয়।

পরে, রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাকিবুল করিম চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার (শ্রম) আবুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, এর গুরুত্ব এবং তাৎপর্য তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন তার বক্তব্যে গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি, এর প্রভাব, বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা এবং এই আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। 

অনুষ্ঠান শেষে, জুলাই-আগস্ট মাসে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। একই সঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন কামনা করা হয়। দূতাবাস কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশার প্রবাসীরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধাদের দুই গ্রুপের ধস্তাধস্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কালেক্টরেট চত্বরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাারের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইউনিটের সাবেক সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তৃতা করতে গেলে আরেক ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজীর পক্ষের লোকজন তাকে ‘চাঁদাবাজ’ ও ‘ভুয়া’ বলে দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন। এ সময় সাব্বিরের পক্ষের লোকজনও তাদের উদ্দেশে দুয়োধ্বনি দেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ ধস্তাধস্তিতে জড়ায়। জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ ও জেলা পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে আবার শুরু হয় অনুষ্ঠান।

ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী সাংবাদিকদের বলেছেন, “অনুষ্ঠানে আমি বাধা দেওয়ার কেউ না। আমি বাধা দিইনি। জুলাই যোদ্ধাদের কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাদের কোনো মূল্যায়নই করা হয়নি। এই অকৃতজ্ঞতার প্রতিবাদ জানিয়েছি সচেতন নাগরিক হিসেবে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন বলেছেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানটি জেলা প্রশাসনের। এটি আমাদের নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান নয়। এখানে দাওয়াত দেওয়ার বিষয়ে আমরা কেউ না। এই অনুষ্ঠানে আমাদের কোনো দায়িত্বই ছিল না। শুধু তাই নয়, আমাকে বক্তৃতার জন্য ডাকা হবে, এটা আমি নিজেও জানতাম না।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ মো. রেজাউল করিম বলেছেন, “মঞ্চে জুলাই যোদ্ধাদের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ওই দুই গ্রুপের মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। এ নিয়েই তাদের ঝামেলা হয়েছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবারও অনুষ্ঠান শুর হয়।”

এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

ঢাকা/শিয়াম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত 
  • খুলনায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ ও উন্মুক্ত আলোচনা
  • ‘আমার ছেলেকে গোসল করাতেও দেয়নি ওরা’
  • টাঙ্গাইলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে জামায়াতের গণমিছিল
  • টাঙ্গাইলে বিএনপির ২ পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থাণের আলোচনা সভা শেষে ছাত্রদলের তোপের মুখে শাবিপ্রবি উপাচার্য
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস: মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠান চলছে
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে মহানগর যুবদলের পুষ্পস্তবক অর্পণ
  • গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধাদের দুই গ্রুপের ধস্তাধস্তি