বাংলাদেশ ক্রিকেটে একটা শব্দ এখন প্রায় প্রবাদে পরিণত—‘আমরা শিখছি’।
হারলেই ক্রিকেটারদের মুখে শোনা যায় এ শেখার কথা। প্রশ্ন উঠেছে বারবার—টেস্ট খেলতে শুরু করার ২৫ বছর পরও শেখা কি শেষ হলো না? এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলে হাসিঠাট্টা।

তবে আজ চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ‘শেখা’ প্রসঙ্গে ভিন্ন সুর শোনা গেল টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসের কণ্ঠে। বললেন, ‘আমি তো কোনো দিন বলি নাই (শেখার কথা)। এটার উত্তর আমার কাছে নাই। যদি আমি বলতাম শিখছি বা নতুন কোনো ধারাবাহিকতা তৈরি করতে যেতাম, তাহলে হয়তো এই উত্তর দিতে পারতাম।’

তবে এরপর লিটন বলেছেন, ‘একেকজনের একেক ধরনের চিন্তাভাবনা থাকে (শেখার বিষয়ে)। আমার মনে হয়, বাংলাদেশ দল অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে, এখন যেসব খেলোয়াড় খেলছে—আশা করব যে তারা প্রত্যাশার প্রতিদান দেবে।’

সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাস। আজ চট্টগ্রামে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ এবং নৈতিকভাবে দৃঢ় পেশাজীবী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আইইউটির শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। মুসলিম উম্মাহর তরুণদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা উৎকর্ষতা ও নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে চলেছে। এ জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গর্বিত।

আজ রোববার সকালে গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজারে অবস্থিত ওআইসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইইউটির ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আইইউটির উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আইইউটির সহ-উপাচার্য হিসেইন আরাবি নুর।

ওআইসির মহাসচিব ও আইইউটির চ্যান্সেলর হিসেইন ব্রাহিম তাহা তাঁর বার্তায় ওআইসি সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কারিগরি শিক্ষা ও নীতিগত নেতৃত্বের অগ্রগতিতে আইইউটির অবদানের প্রশংসা করেন এবং সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের সাবেক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

উৎসবমুখর পরিবেশে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, অনুষদ সদস্য ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১৬টি ওআইসি সদস্যরাষ্ট্রের ৫২২ জন স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। অসামান্য শিক্ষাগত উৎকর্ষতার জন্য ইউসুফ ইবনে কামাল নিলয়কে ওআইসি স্বর্ণপদক এবং মো. রহিব-বিন-হোসেন, নাবা উদ্দিন, মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া, রামিশা সালসাবিল,মোস্তফা নোসিন নাহার স্মিতা, সামিয়া নওশীন ও সাজিদুর রহমান চৌধুরীকে আইইউটি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। একাডেমিক কৃতিত্বের জন্য তাঁদের এই পদক প্রদান করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্নাতকদের কৃতিত্বের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের উৎকর্ষ সাধনে আইইউটির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটকাম-বেইজড এডুকেশন (ওবিই) পদ্ধতির সফল বাস্তবায়ন ও কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৬-এ অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ