Prothomalo:
2025-10-26@13:16:05 GMT

৩ দিনে একটি টিকিটও বিক্রি হয়নি

Published: 26th, October 2025 GMT

২৪ অক্টোবর ১১ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় রফিকুল ইসলাম খান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘কন্যা’। এর মধ্যে ১০টি সিঙ্গেল স্ক্রিনের পাশাপাশি একটি মাল্টিপ্লেক্সে লায়ন সিনেমাসে প্রদর্শিত হচ্ছে ছবিটি। তবে মুক্তির তিন দিন পেরিয়ে গেলেও সিনেপ্লেক্সে একটিও টিকিট বিক্রি হয়নি—অর্থাৎ এখনো খাতা খোলেনি ছবিটির!

কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমাসে প্রতিদিন দুটি করে শো চলছে ‘কন্যা’ সিনেমার। একটা বিকেল চারটায়, আরেকটা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। গত দুই দিনে চারটি শো গেলেও এখনো একটি টিকিট বিক্রি হয়নি।
হলটির ম্যানেজার হায়দার আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সম্প্রতি যে সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছে কোনো ছবিই চলেনি। “ব্যাচেলর ইন ট্রিপ”, “বান্ধব”, “সাত ভাই চম্পা” কোনোটাই চলেনি। আর সবশেষ “কন্যা”র অবস্থা ভয়াবহ, একটি টিকিটও বিক্রি হয়নি।’

কন্যা সিনেমার আরেকটি পোস্টার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বড় জয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইংল্যান্ড, বিদায়ী ম্যাচে হারে শেষ সোফির

ইংল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ বোলার সোফি এক্লেস্টোনের কাঁধের ইনজুরি দলকে দমাতে পারেনি। ব্যাট হাতে অ্যামি জোন্সের অনবদ্য ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডকে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সহজেই শেষ চার নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।

এক্লেস্টোন ফিল্ডিংয়ের সময় কাঁধে চোট পান। মাত্র চার বল করে একটি উইকেট নেন তিনি। তবে তার আগেই ইংল্যান্ড বাকি কাজটা সেরে ফেলে। ৩৯ ওভারের মধ্যেই নিউ জিল্যান্ডকে গুটিয়ে দেয় মাত্র ১৬৮ রানে।

আরো পড়ুন:

৪৩ ওভারের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

বৃথা গেল ব্রুকের ঝড়ো সেঞ্চুরি, নিউ জিল্যান্ডের জয়

স্পিনার লিনসি স্মিথ শুরুতে কিছুটা সংগ্রাম করলেও পরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে নেন তিন উইকেট। পার্ট-টাইম অফ স্পিনার অ্যালিস ক্যাপসি ও পেসার ন্যাট শিভার-ব্রান্ট পান দুটি করে উইকেট। এরপর ব্যাট হাতে জোন্সের অপরাজিত ৮৬ রানে ইংল্যান্ড সহজেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে।

এই জয়ে ইংল্যান্ড পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে শেষ করেছে। অস্ট্রেলিয়া আছে শীর্ষে। ফলে সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি যদি বৃষ্টিতে ধুয়েও যায়, তাহলে পয়েন্ট টেবিলের সুবিধায় ইংল্যান্ডই ফাইনালে উঠবে।

অন্যদিকে, নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক সোফি ডিভাইনের জন্য এটি ছিল বিদায়ী ওয়ানডে। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি তার প্রত্যাশামতো হলো না। ব্যাটাররা ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ, বোলাররাও পারেননি ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারে চাপ তৈরি করতে।

ইংল্যান্ডের জয়টা যেমন ছিল সহজ, তেমনি এক্লেস্টোনের ইনজুরি কিছুটা দুশ্চিন্তার। ইংলিশ মেয়েরা শুরুতে বল হাতে ও ফিল্ডিংয়ে কিছু ভুল করলেও দ্রুত তারা ঘুরে দাঁড়ায়।

অ্যামি জোন্স ও ট্যামি বোমন্ট ৭৫ রানের জুটি গড়ে রান তাড়ার ভিত গড়ে দেন। এরপর জোন্স অধিনায়ক হিদার নাইটের সঙ্গে আরও ৮৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটি নাগালে নিয়ে আসেন।

পুরো লিগ পর্বেই ইংল্যান্ডের শীর্ষ চার ব্যাটার দারুণ ফর্মে ছিলেন। নাইট ও শিভার-ব্রান্ট করেছেন সেঞ্চুরি, বোমন্ট ও জোন্স ফিফটি ছুঁয়েছেন একাধিকবার। এই ম্যাচে অভিজ্ঞ ড্যানি ওয়ায়াট-হজকে নামানো হয় ছয় নম্বরে ভালো করতে না পারা এমা ল্যামের বদলে। তবে সুযোগ পান মাত্র সাত বল খেলার।

বোমন্টের ইনিংস ছিল ঝড়ো। মাত্র ২০ বলে ২৬ রান, যার মধ্যে চারটি চার এসেছিল জেস কেয়ারের এক ওভারেই। আমেলিয়া কেয়ারের বিপক্ষে টানা দুটি চার মেরে ৪০-এর দোরগোড়ায় পৌঁছান। কিন্তু লিয়া তাহুহুর ইন-সুইংয়ে প্যাডে লাগিয়ে ফেরেন এলবিডব্লিউ হয়ে।

একদিকে এক্লেস্টোনের ইনজুরি চিন্তা বাড়াচ্ছিল, অন্যদিকে নাইট ও জোন্স ব্যাট হাতে নিশ্চিত করছিলেন জয়ের রাস্তা। নাইট ৩৩ রানে এলবিডব্লিউ হন ডিভাইনের বলে। তবে জোন্স ছিলেন অবিচল। স্কোরবোর্ডে রান জমাতে থাকেন ঠাণ্ডা মাথায়, শেষ পর্যন্ত টানা দুটি চার মেরে দলকে এনে দেন জয়ের আনন্দ। মাঠ ছাড়ার সময় নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক ডিভাইনকে বিদায়ী সম্মান জানায় দুই দলের খেলোয়াড়রা।

এর আগে ম্যাচের শুরুতেই চোট পান ইংল্যান্ডের এক্লেস্টোন। সুজি বেটসের একটি শট আটকাতে গিয়ে পড়ে যান মাটিতে এবং ব্যথা পান কাঁধে। তবু নামেন বল করতে এবং মাত্র চার বলের মধ্যেই উইকেট তুলে নেন।

তবে নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস এগোয়নি। কেয়ারের চারটি চারে কিছুটা আশা জাগলেও ইংল্যান্ডের স্পিনাররা দ্রুতই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ক্যাপসির দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হন ম্যাডি গ্রিন, পরে শিভার-ব্রান্ট দারুণ এক অফ-কাটারে ফেরান ডিভাইনকে (২৩)।

শেষদিকে স্মিথ পুরনো বলে দারুণ নিয়ন্ত্রণ দেখিয়ে তুলে নেন আরও দুটি উইকেট। শিভার-ব্রান্ট ও ডিনের ধারাবাহিক আঘাতে ৩৯ ওভারের মধ্যেই গুটিয়ে যায় কিউইরা।

শেষ পর্যন্ত, ইংল্যান্ড পেল একটি সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জয়। যা সেমিফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মতোই। আর নিউ জিল্যান্ডের জন্য এটি ছিল এক যুগের সমাপ্তি। সোফি ডিভাইনের বিদায়ে শেষ হলো তাদের এক উজ্জ্বল অধ্যায়।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ