Risingbd:
2025-10-26@14:14:32 GMT

কলকাতায় একসঙ্গে চঞ্চল-ফারিণ

Published: 26th, October 2025 GMT

কলকাতায় একসঙ্গে চঞ্চল-ফারিণ

কলকাতায় দেখা গেল ঢালিউডের দুই জনপ্রিয় মুখ চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে। টলিউড অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকের আমন্ত্রণে তার নতুন সিনেমা ‘স্বার্থপর’-এর বিশেষ প্রদর্শনীতে উপস্থিত হয়েছিলেন তারা। দুই বাংলার এই তারকাদের উপস্থিতিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল পুরো অনুষ্ঠানস্থল। তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এখন ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। 

বর্তমানে চঞ্চল চৌধুরী ব্যস্ত ব্রাত্য বসুর পরিচালনায় ‘শিকড়’ সিনেমার শুটিংয়ে। অন্যদিকে, তাসনিয়া ফারিণ প্রস্তুতি নিচ্ছেন নতুন একটি প্রজেক্টের। অতনু ঘোষের ‘আরও এক পৃথিবী’ দিয়ে টলিউডে অভিষেকের পর থেকে ফারিণের কলকাতায় গমন প্রতিবারই আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ফলে, এবার দুজনকে একই ফ্রেমে দেখে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। 

আরো পড়ুন:

সৌম‍্যর এত প্রশংসা করবেন না, নজর লাগবে: ফারিয়া

অভিনয় শিল্পীদের সংগঠন ‘প্রিয়জন’ এর নতুন কমিটি

এই দেখা হওয়ার কারণ জানতে চাইলে চঞ্চল চৌধুরী হেসে বলেন, “পুরোটাই কাকতালীয়। আমি জানতাম না ফারিণ এখানে আছে, সেও জানত না আমি এসেছি। আমি টোনিদার (পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী) সঙ্গে মিটিংয়ের জন্য এসেছিলাম, তাসনিয়াও একই কারণে এসেছে। পরে দেখা হয়ে গেল—বেশ মজার এক কাকতালীয় ঘটনা।” 

তবে এখানেই থেমে থামেনি আলোচনা। গুঞ্জন উঠেছে, অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর নতুন প্রজেক্টে একসঙ্গে দেখা যেতে পারে এই দুই তারকাকে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চঞ্চল ও ফারিণ দুজনেই হাসিমুখে বলেন, “এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। তবে কথা চলছে, আশা করি একসঙ্গে কাজ করব।” 

টোনিদার সঙ্গে ব্রাঞ্চ করার কথা স্মরণ করে চঞ্চল বলেন, “টোনিদার সঙ্গে আজ আমরা ব্রাঞ্চ করেছি। আসলে সবাই দেরি করে উঠি, তাই ব্রেকফাস্ট আর লাঞ্চ একসঙ্গেই করেছি। নানা বিষয়ে গল্প হয়েছে। তিনিই আমাদের এখানে আসতে বলেছেন, কোয়েলও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এখন ‘স্বার্থপর’ সিনেমাটি দেখার অপেক্ষায় আছি।” 

যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি, তবু টলিপাড়ার গুঞ্জন থামছে না। অনেকে মনে করছেন, একই শহরে একই পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ—হয়তো নতুন কোনো পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদি সত্যিই অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর পরবর্তী সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যায় চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে, তবে দুই বাংলার দর্শকদের জন্য নিঃসন্দেহে অপেক্ষা করছে বিশেষ চমক।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র একসঙ গ ত সন য়

এছাড়াও পড়ুন:

শিল্পকলায় নোবেল জয়ী নাট্যকারের ‘ডিজায়ার আন্ডার দ্য এলমস’

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চস্থ হবে সাহিত্যে নোবেল জয়ী মার্কিন নাট্যকার ইউজীন ও নীলের রচিত বিখ্যাত নাটক ‘ডিজায়ার আন্ডার দ্য এলমস’। নাটকটি প্রযোজনা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নাট্যকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) ও রবিবার (২৬ অক্টোবর) এই দুইদিন টিকিটের বিনিময়ে সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাটকটি প্রদর্শিত হবে।

আরো পড়ুন:

রেজোয়ানের ভাসমান স্কুলের ইউনেস্কোর পুরস্কার অর্জন

ববির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

নাটকটি অনুবাদ করেছেন কবীর চৌধুরী। পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুবাইয়া জাবীন প্রিয়তা।

নাটকের বিখ্যাত এফরায়েম ক্যাবট চরিত্রে অভিনয় করা শিক্ষার্থী তাকরিম আহমেদ বলেন, “চরিত্রটি আমার কাছে সাধারণ কোনো চরিত্র নয়, বরং একটি প্রজন্মের প্রতীক। মঞ্চে তার নিঃসঙ্গতা অনুভব করা সহজ ছিল না। জমি মানেই তার জীবন, কিন্তু সেই বিশ্বাসই শেষ পর্যন্ত তার কবর। বাইরে দৃঢ়, ভেতরে অসহায়, এই দ্বৈততাই নাটকের ব্যথা। ক্যাবটের মতো মানুষ আজো আছে, যারা ভালোবাসতে চায়, কিন্তু তা প্রকাশ করতে পারে না। আশা করি, নাটকটি সবার ভালো লাগবে।”

অ্যাবেন চরিত্রে অভিনয় করা মনন মোস্তাকিন বলেন, “অ্যাবেন এমন এক ছেলে, যে ছোটবেলা থেকে মায়ের স্নেহ পায়নি। আর বাবার ওপর প্রচণ্ড রাগ জমে আছে। সেই রাগ আর ভালোবাসা দুইটাই তার মধ্যে লড়াই করে। এই দোটানার জায়গাটা মঞ্চে প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছি।”

অ্যাবি চরিত্রে অভিনয় করা শিক্ষার্থী রোকসানা আক্তার সায়মা বলেন, “অ্যাবি আসলে ভালোবাসা পেতে চায়। কিন্তু সমাজ তাকে সেই সুযোগ দেয় না। তাই সে যেমন ভালোবাসে, তেমন ভয়ও পায়। তার ভেতরে দোষ আর মায়া একসঙ্গে কাজ করে। আমি অভিনয়ের সময় চেষ্টা করেছি, যেন দর্শক ওর কষ্টটা বুঝতে পারে। অত্যন্ত সুন্দর ও বিখ্যাত এ নাটকটি দেখতে চলে আসুন শিল্পকলা একাডেমিতে।”

নাটকটির নির্দেশক জবি নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুবাইয়া জাবীন প্রিয়তা বলেন, “নোবেলজয়ী বিখ্যাত নাট্যকার ইউজিন ও নীল-এর এ নাটকটি শুধু এক পারিবারিক সংঘাতের গল্প নয়। এটি মানুষের গভীরতম আকাঙ্ক্ষা, অপরাধবোধ ও মুক্তির তীব্র অনুসন্ধানের নাটক। এই নাটকে যে মানুষদের দেখি— তারা সবাই ভালোবাসা খোঁজে। কিন্তু তাদের ভালোবাসা মিশে থাকে অধিকার, ঈর্ষা ও দোষবোধের সঙ্গে। সেই মিশ্র অনুভূতিই এই নাটকের মূলে থাকা ইচ্ছা বা ডিজায়ারকে জটিল করে তোলে। এই নাটকের পটভূমি সম্পূর্ণ আমেরিকান।”

তিনি আরো বলেন, “এই প্রযোজনার মাধ্যমে আমি দর্শকদের সামনে একটি আবেদন রাখতে চেয়েছি- মানুষ কি কখনো তার ইচ্ছার ঊর্ধ্বে উঠতে পারে নাকি প্রতিটি ইচ্ছাই শেষ পর্যন্ত তাকে তার নিজের তৈরি কারাগারে বন্দি করে ফেলে? আমার অভিনেতারা, আলো-সংগীত-ডিজাইনের সহকর্মীরা সবাই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে একসঙ্গে ভ্রমণ শুরু করেছে। এই ভ্রমণই আমাদের আসল প্রাপ্তি। দর্শক যদি সেই ভ্রমণে সামান্য সময়ের জন্যও আমাদের সঙ্গে অংশ নেন, তবেই আমাদের প্রয়াস সার্থক হবে।”

এছাড়া নাটকে অভিনয় করেছেন নাট্যকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাকরিম, মোস্তাকিন, সায়মা, শোভন, খুশি, মিঠুন, জ্যা চাকমা, অর্থি, পলক, রিভা, ইসরাত, সুরুজ ও তুলি।

আবহ সংগীতে আছেন নওমী, শোভন, পলক ও সুরুজ, মঞ্চ নির্মাণে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী স্পর্শ ও টনি, আলোক প্রক্ষেপণে আছেন খন্দকার রাকিবুল হক ও রাজিন, নাটকের পোস্টার বানিয়েছেন সাদিয়া নিশা এবং প্রকাশনায় ছিলেন মুগ্ধ আনন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভাঙার চিন্তা করে কেউ সংসার বাঁধে না: ফারিয়া
  • খালিশপুরের মিঠাপানির শুশুক
  • ঘুম কেন এতো জরুরি?
  • শিল্পকলায় নোবেল জয়ী নাট্যকারের ‘ডিজায়ার আন্ডার দ্য এলমস’
  • রাঙ্গুনিয়ায় পুকুরে ডুবে একসঙ্গে তিন শিশুর মৃত্যু