ধর্ষণ করে তরুণীকে হত্যা, খুনির সন্ধানে পুলিশ
Published: 26th, October 2025 GMT
ওটিটির যুগে ক্রাইম-থ্রিলার আর নতুন কিছু নয়, ফি–সপ্তাহেই মুক্তি পায় এন্তার কনটেন্ট। তবে এর কয়টা মনে রাখার মতো, সেটা হলো কথা। ড্যানিশ সিরিজ ‘ফরবাইডেলসেন’ ক্রাইম-থ্রিলার সিরিজের ‘মিছিল’ শুরুর আগের কাজ। ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া নর্ডিক সিরিজটি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল সংগত কারণেই। পরে এটির ইংরেজি রিমেকও হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এবার এসেছে ভারতীয় সংস্করণ ‘সার্চ: দ্য নায়না মার্ডার কেস’। মূল কাজটি যখন ভালো আর রিমেকের প্রধান চরিত্রে কঙ্কণা সেনশর্মা; তাই সিরিজ নিয়ে আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘নায়না’ কি জমল, নাকি আরও একটি গড়পড়তা সিরিজ হয়েই রইল?
একনজরেসিরিজ: ‘সার্চ: দ্য নায়না মার্ডার কেস’
ধরন: ক্রাইম-থ্রিলার
স্ট্রিমিং: জিও হটস্টার
পরিচালক: রোহান সিপ্পি
অভিনয়: কঙ্কণা সেন শর্মা, সূর্য শর্মা, শিব পণ্ডিত, ধ্রুভ সেহগাল, শ্রদ্ধা দাস
ক্রাইম সিরিজের প্রধান চরিত্র মানেই ব্যক্তিগত জীবনের নানা টানাপোড়েন জর্জরিত কোনো পুলিশ কর্মকর্তা। এখানেও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রথম পর্বেই দেখা যায় প্রধান চরিত্র এসিপি সংযুক্তা দাস (কঙ্কণা সেন শর্মা) শহর ছাড়ার তোড়জোড় করছেন। মুম্বাইয়ে নিজের কর্মস্থলে তাঁর অনেক সুনাম। কিন্তু কাজের ব্যস্ততায় সংসার ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। তাই স্বামী যখন আহমেদাবাদে চাকরি নেন, নায়না ঠিক করেন পুলিশের সাইবার ক্রাইমে বদলি হয়ে তিনিও স্বামীর কাছে চলে যাবেন।
‘সার্চ: দ্য নায়না মার্ডার কেস’–এর বিভিন্ন দৃশ্য। কোলাজ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের ‘বৃদ্ধ শিশু’ লাওৎসি
চীনের ‘বৃদ্ধ শিশু’ হিসেবে পরিচিত প্রকৃতিবাদী দার্শনিক লাওৎসি। যিনি মনে করতেন, মানুষকে একবার ব্যক্তিস্বার্থের উর্দ্ধে উঠে আসতে হবে, তবেই শান্তি আসবে। তার এমন ভাবনার জন্য ‘বৃদ্ধ শিশু’ বলা হয়ে থাকে।
যদিও চৈনিকরা মনে করে থাকেন তিনি খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ট শতকে জন্মে ছিলেন। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে তিনি আসলে খ্রিষ্টপূর্ব ৫ম-৪র্থ শতকের মানুষ।
আরো পড়ুন:
মানুষ উড়তে পারবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার
পাখির বাসা দেখে কী বোঝা যায় বৃষ্টি বেশি হবে নাকি কম হবে?
লাওৎসি তাওবাদের প্রবক্তা। তিনি ছিলেন চু প্রদেশের রাজকীয় লাইব্রেরির তত্ত্বাবধায়ক এবং প্রকৃতিবাদী দার্শনিক। লাওৎসি বিশ্বাস করতেন, ‘‘এই পৃথিবীর প্রতিটি বস্তুই ভারসম্যমূলক নিয়মে আবর্তিত হচ্ছে। ’’
কিন্তু মানুষের কারণেই যখন চীনে দুর্নীতি বাড়ছিলো তিনি তখন দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। নিজ ইচ্ছায় যেতে চান নির্বাসনে। পথে ঘটেছিলো বিষ্ময়কর এক ঘটনা।
লাওৎসি যখন চীনের পশ্চিম সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছিলেন সীমান্ত সীমান্তরক্ষীদের প্রধান ইন সি তার পথ আটকে দাঁড়ান। ইন সি লাওজুকে চিনতে পেরেছিলেন। তিনি লাওজুকে বলেন, চিরতরে দেশ ত্যাগ করার আগে কিছু উপদেশ দিয়ে যান। ইন সি তার জীবন সহজ করার উপদেশ চেয়েছিলেন।
অনেক ভেবে রাজি হলেন লাওৎসি। লিখিত আকারে শুরু করলেন জীবন সহজ করার উপায় লেখা। সীমান্তরক্ষীর পাশে একটা পাথরের ওপর বসলেন তিনি। লিখে ফেললেন তাওবাদের মহাগ্রন্থ তাও তে চিং।
লেখা শেষ করে ইন সির হাতে তুলে দেন গ্রন্থটি। তারপর পশ্চিমের কুয়াশায় চিরতরে হারিয়ে গেলেন লাওৎসি। ইন সিই পরে তা অনুলিপি তৈরি করেন ও প্রচারে ভূমিকা রাখে।
তাওবাদ অনুসারে, মানুষ প্রকৃতপক্ষেই ভেতর থেকে ভালো। শুধু সেই ভালোত্বকে জাগিয়ে তুলতে হয় মন্দত্বকে ছাপিয়ে।
তাও তে চিং তাওবাদের সবচেয়ে প্রভাবশালী গ্রন্থ হিসাবে স্বীকৃত। এটি ধর্মগ্রন্থ নয়। এতে স্থান পেয়েছে দার্শনিক কবিতার মাধ্যমে জীবন যাপনের নির্দেশিকা। বইটির শুরুর দুই লাইন অনেক জনপ্রিয়। ‘‘তাও ক তাও ফেই ছাং তাও, মিং ক মিং ফেই ছাং মিং”। যার বাংলা অর্থ ‘‘যে তাওকে মুখে প্রকাশ করা যায়; তা চিরন্তন তাও না। আর যে নামকে নামে আবদ্ধ করা যায়; তা চিরন্তন নাম না।’’
তাওবাদ-এ স্বীকার করা হয়েছে,‘‘ মানুষ প্রকৃতপক্ষে ভেতর থেকে ভালো। শুধু সেই ভালোত্বকে জাগিয়ে তুলতে হয় মন্দত্বকে ছাপিয়ে। সঠিক নির্দেশনা এবং শিক্ষা প্রদান করা হলে যে কাউকে মহৎ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।’’
ঢাকা/লিপি