অবশেষে আসিয়ানের সদস্য হলো পূর্ব তিমুর
Published: 26th, October 2025 GMT
এশিয়ার নবীনতম দেশ পূর্ব তিমুর দক্ষিণ–পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের ১১তম সদস্যদেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আজ রোববার আসিয়ান সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ দেওয়া হয়।
প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে থেকেই পূর্ব তিমুরকে আসিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে আসছিলেন দেশটির অধিবাসীরা।
পূর্ব তিমুর এশিয়ার অন্যতম দরিদ্র দেশ। এটি তিমুর–লেস্তে নামেও পরিচিত। জনসংখ্যা ১৪ লাখ। পূর্ব তিমুর কর্তৃপক্ষের আশা, আাসিয়ানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় নবীন অর্থনীতির এ দেশটি লাভবান হবে।
১৪ বছর অপেক্ষার পর পূর্ব তিমুর আসিয়ানের সদস্যপদ পেয়েছে। যদিও এ সদস্যপদ দেশটির জন্য বিশাল কোনো পরিবর্তন আনবে বলে মনে হয় না। তবে এ স্বীকৃতিকে দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা এবং প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসমাওর জন্য প্রতীকী জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।১৪ বছর অপেক্ষার পর পূর্ব তিমুর আসিয়ানের সদস্যপদ পেয়েছে। যদিও এ সদস্যপদ দেশটির জন্য বিশাল কোনো পরিবর্তন আনবে বলে মনে হয় না। তবে এ স্বীকৃতিকে দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা এবং প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসমাওর জন্য প্রতীকী জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আজ কুয়ালালামপুরে আাসিয়ানের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে জোটের নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ব তিমুরের সদস্যপদ নিশ্চিত করেন। সম্মেলনস্থলের মঞ্চে পূর্ব তিমুরের পতাকা স্থাপনের পর সেখানে বিপুল করতালির শব্দ শোনা যায়।
এটি দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এর মধ্য দিয়ে নতুন যুগের সূচনা হবে। এতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে ‘অসীম সুযোগ’ তৈরি হবেজানানা গুসমাও, পূর্ব তিমুরের প্রধানমন্ত্রীপূর্ব তিমুরের প্রধানমন্ত্রী গুসমাও বলেন, এটি তাঁর দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এর মধ্য দিয়ে এক নতুন যুগের সূচনা হবে। এতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে ‘অসীম সুযোগ’ তৈরি হবে।
গুসমাও তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘তিমুর–লেস্তের জনগণের জন্য এটি শুধু একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন নয়; বরং আমাদের নতুন যাত্রার এক শক্তিশালী প্রত্যয়।’
পূর্ব তিমুর তিন শতাব্দী ধরে পর্তুগিজ শাসনের অধীনে ছিল। ১৯৭৫ সালে পর্তুগিজরা হঠাৎ তাদের উপনিবেশ ছেড়ে চলে যায়। এতে প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্য এর দখল নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয় এবং সে সময় অনেক রক্তপাতও ঘটে। শেষ পর্যন্ত ২০০২ সালে পূর্ব তিমুর স্বাধীনতা লাভ করে।
৭৫ বছর বয়সী রামোস-হোর্তা ১৯৭০-এর দশকে পূর্ব তিমুরের আাসিয়ান সদস্যপদ পাওয়ার ধারণা তুলে ধরেছিলেন। আঞ্চলিক সংহতির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার চেষ্টায় এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান হোর্তা।
আরও পড়ুনট্রাম্প গেলেন মালয়েশিয়ায়, আরেকটি ‘বড় শান্তিচুক্তি’ সইয়ের সাক্ষী হবেন৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস যপদ র সদস য দ শট র আস য় ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, কমেছে লেনদেন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (২৬ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমেছে। একইসঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
আরো পড়ুন:
নয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ৩৯.৩৬ শতাংশ
নয় মাসে সিঙ্গারের বড় লোকসান
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। রবিবার সকালে লেনদেনের শুরু থেকেই ডিএসইএক্স সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে, বেলা ১২টার দিকে সূচকের পতন শুরু হয়। লেনদেনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। তবে, গত কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমে গেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২২.৯১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১২৬ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪.৭৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৩ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১১.৪১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৪২টি কোম্পানির, কমেছে ১৯৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৯টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৪৬১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৬৮ কোটি ৬০ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৭.৯৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৮৬৪ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৪.১২ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৩৮৯ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৩.৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ৯০৪ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১১.১৪ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৭৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৮৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৭৫টি কোম্পানির, কমেছে ৯২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২১টির।
সিএসইতে ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক