দ্বিতীয় দিনের মতো বাণিজ্য আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র-চীন
Published: 26th, October 2025 GMT
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালামপুরে রবিবার (২৬ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনের মতো বাণিজ্য আলোচনা চালাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা। আলোচনায় অংশ নিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এবং চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী হে লিফেং। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের অবসানে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করেছে।
আরো পড়ুন:
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তি চুক্তির জন্য মালয়েশিয়া সফরে ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা গমের প্রথম চালান এল দেশে
বিরল চুম্বক এবং খনিজ পদার্থের উপর চীনের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের প্রতিশোধ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ১ নভেম্বর থেকে চীনা পণ্যের ওপর নতুন ১০০ শতাংশ শুল্ক এবং অন্যান্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেওয়ার পর বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতি তাদের বাণিজ্য যুদ্ধ কমাতে চাইছে।
মার্কিন ট্রেজারি মুখপাত্র শনিবার সাংবাদিকদের জানান, আলোচনার প্রথম দিন ‘খুবই গঠনমূলক’ হয়েছে।
এই আলোচনা দুই দেশের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বৈঠকের পথ প্রশস্ত করতে পারে। উভয় পক্ষই বাণিজ্য বাধা হ্রাস করতে চায় এবং উত্তেজনা নিরসনে একটি চুক্তির কাঠামোয় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, যদিও অতীতে উভয় দেশই বাণিজ্য শুল্ক আরোপ এবং পাল্টা ব্যবস্থার মাধ্যমে উত্তেজনা বাড়িয়েছে।
এবারের আলোচনায় আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকের বাধাগুলো দূর করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছে, কিন্তু বেইজিং এখনও নিশ্চিত করেনি যে, দুই নেতার সাক্ষাৎ হবে।
এশিয়ায় পাঁচ দিনের সফরের অংশ হিসেবে, আজ রবিবার স্থানীয় সময় সকালে মালয়েশিয়ার রাজধানীতে পৌঁছাছেন ট্রাম্প।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে সমাবেশ
চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজশাহী শহরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে জেলেরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জলাভূমির দেশীয় মাছ ও জলজ প্রাণিবৈচিত্র্যের ওপর চায়না দুয়ারি জালের ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। দেশীয় মাছের প্রজনন, বৃদ্ধি এবং জেলে সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকা রক্ষায় এ জালসহ সব ধরনের ক্ষতিকর মাছ ধরার সরঞ্জাম দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে।
তারা বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ এবং মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৮৫ অনুযায়ী চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ। তবু, কিছু বাণিজ্যিক মৎস্যজীবী এসব জাল ব্যবহার করে নদী, খাল-বিলের দেশীয় মাছ ধ্বংস করছে এবং ঐতিহ্যবাহী জেলে সম্প্রদায়কে জীবিকার সংকটে ফেলছে। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
জেলেরা অভিযোগ করেন, এসব জালের কারণে শুধু মাছ নয়, জলজ বাস্তুতন্ত্রের অন্যান্য প্রাণী— যেমন: ব্যাঙ, কচ্ছপ, পাখি ও জলজ উদ্ভিদ হুমকির মুখে পড়েছে। রাসায়নিক ও কীটনাশকের অতি ব্যবহার এবং চায়না দুয়ারি জালের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে জলজ পরিবেশ ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চায়না দুয়ারি বা কারেন্ট জাল বন্ধ না করলে দেশীয় মাছ এবং জলজ প্রাণিবৈচিত্র্য পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জেলেরা।
মানববন্ধন ও সমাবেশের পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- গোকুল মথুরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, গ্রিন কোয়ালিশনের রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক মাহবুব সিদ্দিকী, বারসিকের রাজশাহী অঞ্চলের সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম, জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ জামান কাদেরী, আদিবাসী যুব পরিষদের রাজশাহী জেলার সভাপতি উপেন রবিদাস, সমাজকর্মী সম্রাট রায়হান, আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ।
ঢাকা/কেয়া/রফিক