রাজশাহী বোর্ডে ৮২ হাজার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন
Published: 26th, October 2025 GMT
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। তারা প্রায় ৮২ হাজার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ.ন.ম মোফাখখারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
গোবিপ্রবির সায়েন্স ফেস্টে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সাফল্য
খাগড়াছড়িতে এসএসসি কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
তিনি বলেন, “গত ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করার সুযোগ ছিল। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী ৮২ হাজারেরও বেশি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন। ছুটির কারণে সবকিছু দেখা হয়নি। আমরা আজ এটা দেখছি।”
চলতি বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ বছর বোর্ডের আওতাধীন ৩৫টি কলেজ থেকে একজন পরীক্ষার্থীও পাস করতে পারেননি। এবার শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসির ফলাফল আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশ খারাপ।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এইচএসস ফল
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতালে বাবার বেডের নিচে বসে পড়তেন রাজশাহীর ইফতেখার, এইচএসসিতে পেয়েছেন জিপিএ–৫
বাবা হাসপাতালে ছিলেন দুই মাসের বেশি। ইফতেখার আহমেদ তখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। হাসপাতালেই কাটত দিন। ইফতেখার তাই বাবার বেডের নিচে বসে পড়তেন। ৫ মাস ৬ দিন চেতনাহীন থেকে বাবা যখন মারা যান, তাঁর চিকিৎসা করাতে গিয়ে পরিবারটি তত দিনে প্রায় নিঃস্ব।
তবু পড়ালেখা ছাড়েননি ইফতেখার। শিক্ষক, শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পেয়েছেন জিপিএ-৫। মোট নম্বর ১ হাজার ২৫৮। রাজশাহী কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়ও সব বিষয়ে জিপিএ–৫ পেয়েছেন এই তরুণ। মোট নম্বর ১ হাজার ২১১।
কলেজে সব বই মা কিনে দিতে পারেননি। বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে পড়তে হয়েছে। ছিল আরও নানা প্রতিবন্ধকতা। তবু কেমন করে লড়াই চালিয়ে গেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই তরুণ?
আরও পড়ুন৪০০ প্রজাতির পাখির ছবি তুলেছেন রাজশাহীর এই দম্পতি২৫ অক্টোবর ২০২৫মেধার পরিচয়ইফতেখার যে একটু অন্য রকম, ছোটবেলাতেই সেটি টের পাওয়া গিয়েছিল। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় মায়ের হাত ধরে এসেছিলেন প্রথম আলোর রাজশাহী কার্যালয়ে। উদ্দেশ্য—গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য নাম নিবন্ধন।
ইফতেখারের মা বলছিলেন, ‘নমুনা প্রশ্ন কি পাওয়া যাবে? তাহলে প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হতো।’
কিন্তু ছোট্ট ইফতেখার কিছুতেই রাজি হননি। তাঁর বক্তব্য, ‘প্রশ্ন দেখলে তো পরীক্ষার মজাই শেষ!’
পরীক্ষার ‘মজাটা’ বোঝেন বলেই হয়তো গণিত অলিম্পিয়াড, ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে বেশ ভালো করেছিলেন ইফতেখার। পৌঁছেছিলেন জাতীয় পর্বে, এমনকি ক্যাম্পেও।
ইফতেখার আহমেদ