কর্নেল অলির ওপর হামলায় আ’লীগের ২০১ জন আসামি
Published: 31st, January 2025 GMT
চট্টগ্রামে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল অলি আহমদের (অব.) ওপর হামলার ১৪ বছর পর ২০১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলাটি হয়। আদালত মামলার আবেদন গ্রহণ করে সরাসরি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য নগরীর কোতোয়ালি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী নুর-ই খোদা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাদীর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, আর্জিতে থাকা ২০১ জন আসামির বিরুদ্ধে এজাহার গ্রহণে আদালত থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিদের মধ্যে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ার একাংশ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য চেমন আরা তৈয়ব, চন্দনাইশ পৌরসভার সাবেক মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা, চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের নাম রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানহানির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় হাজিরা দিতে ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যান অলি আহমদ। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে আসামিরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অলি আহমদ ও তাঁর সঙ্গে যাওয়া এলডিপির নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে। অলি আহমদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব