গত ১৫ জুলাই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের উপর হামলার দায়ে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতা জেলে ও অসুস্থতার মিথ্যা অভিনয় করে হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে, জাবি শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সোহান। তিনি জেলে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন। আর অসুস্থতার মিথ্যা অভিনয় করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছেন লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও হামলায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা ইয়া রাফিউ শিকদার আপন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জামালউদ্দিন রুনু। আদালতের রায়ে শরিফুল ইসলাম সোহান পরীক্ষা দিচ্ছে বলে জানান তিনি। 

আরো পড়ুন:

‘ছাত্রদল চাইলে গুপ্ত সংগঠনের অস্তিত্ব থাকবে না’

চার দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ বিরোধী মিছিল 

জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি পরীক্ষা দিতে এসে আটকের পর পরবর্তী পরীক্ষার আগেই আদালত থেকে জেলে বসে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি আনেন সোহান। তার আইনজীবী এসে অনুমতি পত্রের কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর জমা দেন। সেই সঙ্গে এর অনুলিপি বিভাগ ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে প্রেরণ করেন। এরপর থেকে নিয়মিত জেলে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। 

এছাড়া হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাউফু শিকদারকে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। তবে অসুস্থ না হলেও তিনি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমাদের কাছে হামলাকারীরা পরীক্ষা দিতে পারবে না- এমন কোন নির্দেশনা নেই। তাই বিশেষভাবে পরীক্ষার দেওয়ার আবেদন কাছে আসলে আমাদের সেই কাজ করতে হয়। মূলত বিভাগ ও রেজিস্ট্রারের কাছে এর অনুমতি সংক্রান্ত আবেদন আসে। আমরা কেবল তা বাস্তবায়ন করি “

শরিফুল ইসলাম সোহানের বিষয়ে পরিশেবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি জামালউদ্দিন রুনু বলেন, “আমাদের কাছে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতিপত্র এসেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে। আমরা শুধু পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছি।”

আপনের বিষয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হরে কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, “একজন পরীক্ষা দিচ্ছেন। তবে এ বিষয়ে আমি বলতে পারব না। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আর পরীক্ষা কমিটির সভাপতি বিস্তারিত বলতে পারবেন।”

উল্লেখ্য, ইয়া রাফিউ শিকদার আপন শাখা ছাত্রদলের করা জুলাই মামলার ১৩৭ নাম্বার আসামি।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ