বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও আইকনিক অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রূপালি পর্দায় রাজত্ব করেছেন। কিন্তু একের পর এক হিট সিনেমার উপহার দেওয়ার পরও হঠাৎ অভিনয় থেকে দূরে চলে যান এই অভিনেত্রী। তার এমন সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছিল ভক্তরা। তবে সম্প্রতি ফের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, সত্যিকারের শিল্পীরা কখনো হারিয়ে যায় না।

ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকা অবস্থায় কেন অভিনয় জীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন- সম্প্রতি গ্যালাটা ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের সেই সিদ্ধান্তের কথা জানান মাধুরী।

তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি ছিলাম, কারণ আমার কাছে গ্ল্যামার বা বাহ্যিক জাঁকজমক খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আমি আমার কাজকে ভালোবাসি। সঙ্গে অভিনয়, নাচ, সবকিছুই। তার বাইরের যে বিষয়গুলো, যেমন কেউ আমাকে তারকা বলছে-এসবকে আমি বাড়তি পাওয়া বলেই দেখি। আমি কখনো নিজেকে তারকা মনে করিনি।’

ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকা অবস্থায় হঠাৎ বিরতি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলেন মাধুরী। কখনো বলিউড থেকে হারিয়ে যাওয়ার ভয় মনে ছিলো বলেও জানান তিনি। 

মাধুরীর কথায়, ‘আমার কাছে বিষয়টা কখনো এমন ছিল না যে, আমি ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকা অবস্থায় প্রকাশ্যে থেকে হারিয়ে যাচ্ছি। আমি কখনো হারিয়ে যাওয়ার কথা ভাবিনি। আমি শুধু ভেবেছিলাম, আমি আমার জীবনের সঠিক মানুষটিকে খুঁজে পেয়েছি। এই মানুষটিকেই আমি বিয়ে করতে চাই। প্রতিটি মানুষই নিজের জন্য একটা স্বপ্ন দেখে—আমার স্বপ্ন ছিল একটা ঘর, একজন স্বামী, একটি পরিবার এবং সন্তান। আমি বাচ্চাদের খুব ভালোবাসি। তাই মা হওয়াটাই ছিল আমার সেই স্বপ্নের বড় অংশ।’

মাধুরীর ভাষ্য, ‘এখন যখন কেউ বলে, “তুমি তো অনেকদিন দূরে ছিলে, মিস করিনি? আমি বলি, ‘না, আমি মিস করিনি, কারণ, আমি তখন আমার স্বপ্নের জীবন কাটাচ্ছিলাম।”

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউএনওর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে হামলার অভিযোগ বিএনপির বিরুদ্ধে

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তাঁকে প্রত্যাহারের দাবিতে আজ রোববার ‘সচেতন এলাকাবাসী’র ব্যানারে মানববন্ধন হয়েছে। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. রাজু আহমদ বলেন, ওই মানববন্ধনে আওয়ামী লীগের দোসররাই বেশি ছিলেন। তাঁরা মানববন্ধন করে উপজেলা সদরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য আসতে চাইলে বিএনপির কয়েকজন গিয়ে তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁরা সেটি না মানায় হাতাহাতি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা তো আওয়ামী লীগকে সহ্য করব না। তারা নানা নামে রাস্তায় নামতে চাইছে। আমরা নামতে দেব না।’

বিক্ষোভকারীরা বলেন, বিশ্বম্ভরপুর ইউএনও মফিজুর রহমানের বিরদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে ‘সচেতন এলাকাবাসী’র ব্যানারে রোববার দুপুরে কারেন্টের বাজার এলাকায় মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের দিকে রওনা হন। মিছিলটি উপজেলা সদরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফটক পার হয়ে মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনের সড়কের যাওয়ার পর বিএনপির কিছু লোক এসে তাঁদের বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিলকারীদের ওপর হামলা চালান।

ইউএনওর প্রত্যাহার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলকারীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরের মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনের সড়কে

সম্পর্কিত নিবন্ধ