রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ ছাত্রীর সন্ধান চেয়ে সহপাঠী ও শিক্ষকদের মানববন্ধন
Published: 5th, May 2025 GMT
রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ আছেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর সহপাঠী ও শিক্ষকেরা। তাঁর সন্ধান চেয়ে আজ সোমবার সকালে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছেন তাঁরা। কর্মসূচিতে ওই ছাত্রীকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিখোঁজ ওই ছাত্রী দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ও রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার বাসিন্দা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২২ এপ্রিল দুপুরে বাসা থেকে ক্লাসে যাওয়ার কথা বলে বের হন ওই শিক্ষার্থী। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। এ ঘটনায় তাঁর বাবা রাজপাড়া থানায় ২৩ এপ্রিল সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এত দিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর সন্ধান না পেয়ে তাঁরা হতাশ ও আতঙ্কিত।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সহপাঠী শারমিন আক্তার বলেন, ‘সহপাঠীকে আমরা ফেরত চাই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর সন্ধান চাই। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক সহযোগিতা আমরা চাচ্ছি।’
পরিবারের বরাত দিয়ে ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিখাত জান্নাত বিনতে জিন্নাহ বলেন, গত ২১ এপ্রিল রাতে ভাইয়ের সঙ্গে ওই ছাত্রীর ঝগড়া হয়েছিল। পরদিন ক্লাসে যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন, কিন্তু আর ক্লাসে ফেরেননি। পরে পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে আইনগত ব্যবস্থা নেন। কিন্তু ঘটনার এত দিন পেরিয়ে যাওয়াতে তাঁরা শঙ্কিত।
ঝগড়ার কারণ জানতে চাইলে নিখোঁজ ছাত্রীর বাবা বলেন, ভাই-বোনের মধ্যে যেমনটা হয় আরকি, তেমন গুরুতর ঝগড়া নয়। সম্ভাব্য সব জায়গাতেই তাঁকে খোঁজা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলমকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সহপ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে অভিভাবকদের মানববন্ধন
রূপগঞ্জের ২১ নং দক্ষিনবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিকান্ত সরকার দীপকের নানা অনিয়ম, স্কুলে অনুপস্থিত থাকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করা সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণবাগ এলাকায় বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে শতাধিক অভিভাবক ও স্থানীয়রা এই মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিকান্ত সরকার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছেন। অনিয়মের মাধ্যমে স্কুলকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে পেশাকে অবহেলা করে বিদ্যালয় চলাকালীন জমি-জমার ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ সহ ব্যক্তিগত ব্যবসায় সময় ব্যয় করেন।
ফলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ফলে অনেক শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয় ছেড়ে যাচ্ছে। আগে যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ শতাধিক বর্তমানে এখানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১'শ এর কম।
এছাড়া বিদ্যালয়ে নানা অনিয়মিত থাকায় ও শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগও রয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বিক্ষুব্ধরা আরও বলেন, একজন প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে যে দায়িত্বশীলতা ও শিষ্টাচার প্রত্যাশিত, এই শিক্ষকের মধ্যে তা নেই। হরিকান্ত সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিক্ষুব্ধরা দ্রুত তার অপসারণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তারা হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, দ্রুত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ না করা হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আরো বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।