মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব শিলমন্দী (গুচ্ছগ্রাম) এলাকায় মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখানোর কথা বলে ঘরে ডেকে নিয়ে চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত তরুণকে আটক করে মাথা ন্যাড়া করে গাছে বেঁধে রাখেন গ্রামবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় আনে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে অভিযুক্ত নাজমুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশু বাড়িতে সোমবার সকাল ১০টার দিকে খেলা করছিল। খেলার একপর্যায়ে সে প্রতিবেশী নাজমুলদের বাড়িতে যায়। তখন নাজমুল শিশুটিকে মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখানোর কথা বলে ঘরে ডেকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরের দিন ভুক্তভোগী শিশুটিকে তার মা গোসল করানোর সময় বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়ের কাছে জানতে চান। তখন নাজমুল তাকে ধর্ষণ করেছে বলে সে তার মাকে জানায়। পরে তার মা বিষয়টি স্থানীয়দের জানান। তখন স্থানীয়রা অভিযুক্ত তরুণকে মারধর করে গাছে বেঁধে রাখে ও মাথা ন্যাড়া করে দেন। 
 
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর মা এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘মুজিবীয় শুভেচ্ছা’ জানানোয় ছাত্রদল নেতাকে শোকজ

গাজীপুরে বিএনপির দলীয় পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার পুরোনো এক ভিডিও সামনে আসার পর শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি নাহিদ হাসানকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। 

গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সরকার মো. রাকিব হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের দায়িত্বশীল পদে থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সোহাগ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল জনির উপস্থিতিতে জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
শনিবার শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিয়াউল করিম মোড়ল রিফাত গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র জানিয়েছে, শ্রীপুরের প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ। ওই কমিটিতে নাহিদ হোসেনকে সভাপতি করা হয়।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভাষ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি তারও চার-পাঁচ মাস আগের।

সাত সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এসএম রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখছেন নাহিদ হোসেন। তিনি বক্তব্যের একপর্যায়ে সবার উদ্দেশে বলেন, ‘আমি প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে মুজিবীয় শুভেচ্ছা জানাই।’ সে সময় রফিকুল ইসলাম তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন।

গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল জনি বলেন, ‘এক সময় যখন ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মীকে আন্দোলনে পাওয়া যেত না, তখন নাহিদ হোসেন আমাদের পাশে থেকে রাজনীতি করেছেন।’

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ