শিশুদের ত্বক খুব কোমল। এ কারণে শুধু শীত নয়, গরমের সময়ও শিশুদের ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। না হলে ত্বকের অনেক সমস্যা হতে পারে। এই গরমে শিশুর ত্বকের যত্ন নিতে যা করবেন-

হালকা পোশাক পরাবেন
এই গরমে শিশুদের হালকা পোশাক পরাবেন। ঘুরতে গেলে কিংবা বাড়িতে-সব জায়গাতেই তাকে হালকা পোশাক পরাবেন। এসময় অবশ্যই সুতির পোশাক পরাবেন। গরমের দিনে সিন্থেটিক পোশাক পরানো এড়িয়ে চলুন। গরমে মশার উপদ্রব বাড়ে। তাই সম্ভব হলে শিশুকে ফুলহাতা ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরাতে পারেন। এতে মশার কামড় থেকে সে বাঁচবে , বড় রোগের ঝুঁকিও কমবে।

তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন
গরমেও শিশুদের তেল দিয়ে ম্যাসেজ করা হয়। এসময়ে নারকেল তেল দিয়ে শিশুর শরীর ম্যাসেজ করতে পারেন। এটি প্রাকৃতিক গুণে সমৃদ্ধ। নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য শিশুর ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে। এই তেল ব্যবহারে শিশুর ত্বকে পুষ্টি জোগাবে ও আদ্রতা বজায় থাকবে। শিশু ত্বকে কখনোই চুলকানি কিংবা কোনও সংক্রমণ দেখা দেবে না।

সাবান মাখাবেন
গরমের সময় পারলে প্রতিদিন সাবান মাখিয়ে শিশুর গা, হাত-পা পরিষ্কার রাখবেন। শিশুর ত্বকে রাসায়নিক যুক্ত কোনও সাবান ব্যবহার করাবেন না। এতে ত্বক অনেক সময় রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়। আর এসময় শিশুদের ত্বককে হাইড্রেট রাখার জন্য অ্যালোভেরা জেলও মাখাতে পারেন।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করাবেন
অনেকেই শিশুকে নিয়ে রোদে বেরোবার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না। এটা ঠিক নয়। এতে তার ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়। তাই শিশুর ত্বক রোগ থেকে বাঁচাতে আপনি তাকে সানস্ক্রিন লাগাতে পারেন। শিশুর জন্য কতটা এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিম কিনবেন, তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই কিনুন।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন
এ সময়ে শিশুকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। সাবান, শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাবেন। তাকে ধুলাবালির মতো জায়গায় খেলতে যেতে দেবেন না। তাদের প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়াবেন। সুতির জামা কাপড় পরাবেন। সেই সঙ্গে তাকে ঠান্ডা জায়গায় রাখার চেষ্টা করবেন। তা না হলে গরমে ঘেমে তার সর্দি-কাশির ঝুঁকি বাড়বে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প শ ক পর ব ন শ শ র ত বক র ত বক র ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের কাছে হারের কারণ ব্যাখ্যায় যা বললেন রশিদ খান

এশিয়া কাপের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেও বাংলাদেশের কাছে হারল আফগানিস্তান। কাল শারজাতে বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে রশিদ খানের দল। এই হারে দলের ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগকেই দুষছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।

আফগানিস্তানের ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটি তুলেছে ১০৯ রান। তখন জয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু আচমকাই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বড় ধস নামে। ১১.৪ ওভার থেকে ১৫.৪ ওভারের মধ্যে ২৪ বলে বাংলাদেশ ৯ রানে ৬ উইকেট হারালে ম্যাচে ফেরে আফগানিস্তান। কিন্তু এভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তারা।

আফগানিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোয় সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল রশিদের। ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। এর মধ্য দিয়ে দারুণ এক কীর্তিও গড়েন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে এ নিয়ে পঞ্চমবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেন রশিদ।

টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে টি–টোয়েন্টিতে আর কোনো অধিনায়ক এতবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিতে পারেননি। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা দুবার করে ইনিংসে ন্যূনতম ৪ উইকেট নিয়েছেন।

কাল ৪ উইকেট নিয়েছেন রশিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ