গরমেও শিশুর ত্বক শুকিয়ে যাচ্ছে? যত্ন নেবেন যেভাবে
Published: 8th, May 2025 GMT
শিশুদের ত্বক খুব কোমল। এ কারণে শুধু শীত নয়, গরমের সময়ও শিশুদের ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। না হলে ত্বকের অনেক সমস্যা হতে পারে। এই গরমে শিশুর ত্বকের যত্ন নিতে যা করবেন-
হালকা পোশাক পরাবেন
এই গরমে শিশুদের হালকা পোশাক পরাবেন। ঘুরতে গেলে কিংবা বাড়িতে-সব জায়গাতেই তাকে হালকা পোশাক পরাবেন। এসময় অবশ্যই সুতির পোশাক পরাবেন। গরমের দিনে সিন্থেটিক পোশাক পরানো এড়িয়ে চলুন। গরমে মশার উপদ্রব বাড়ে। তাই সম্ভব হলে শিশুকে ফুলহাতা ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরাতে পারেন। এতে মশার কামড় থেকে সে বাঁচবে , বড় রোগের ঝুঁকিও কমবে।
তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন
গরমেও শিশুদের তেল দিয়ে ম্যাসেজ করা হয়। এসময়ে নারকেল তেল দিয়ে শিশুর শরীর ম্যাসেজ করতে পারেন। এটি প্রাকৃতিক গুণে সমৃদ্ধ। নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য শিশুর ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে। এই তেল ব্যবহারে শিশুর ত্বকে পুষ্টি জোগাবে ও আদ্রতা বজায় থাকবে। শিশু ত্বকে কখনোই চুলকানি কিংবা কোনও সংক্রমণ দেখা দেবে না।
সাবান মাখাবেন
গরমের সময় পারলে প্রতিদিন সাবান মাখিয়ে শিশুর গা, হাত-পা পরিষ্কার রাখবেন। শিশুর ত্বকে রাসায়নিক যুক্ত কোনও সাবান ব্যবহার করাবেন না। এতে ত্বক অনেক সময় রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়। আর এসময় শিশুদের ত্বককে হাইড্রেট রাখার জন্য অ্যালোভেরা জেলও মাখাতে পারেন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করাবেন
অনেকেই শিশুকে নিয়ে রোদে বেরোবার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না। এটা ঠিক নয়। এতে তার ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়। তাই শিশুর ত্বক রোগ থেকে বাঁচাতে আপনি তাকে সানস্ক্রিন লাগাতে পারেন। শিশুর জন্য কতটা এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিম কিনবেন, তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই কিনুন।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন
এ সময়ে শিশুকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। সাবান, শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাবেন। তাকে ধুলাবালির মতো জায়গায় খেলতে যেতে দেবেন না। তাদের প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়াবেন। সুতির জামা কাপড় পরাবেন। সেই সঙ্গে তাকে ঠান্ডা জায়গায় রাখার চেষ্টা করবেন। তা না হলে গরমে ঘেমে তার সর্দি-কাশির ঝুঁকি বাড়বে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প শ ক পর ব ন শ শ র ত বক র ত বক র ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”
তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।
জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”
ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল