পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিয়ের দাবিতে অনশনের দুদিন পর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে এক সন্তানের জননীর। বুধবার (৭ মে) রাতে উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামে তাদের বিয়ে হয়। প্রেমিকের নাম অসিম রায় (২৬)। তিনি ওই গ্রামের অধির রায়ের ছেলে।

ওই নারী বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে অসিমের ১২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় আমাদের প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। আমার ইচ্ছে না থাকা স্বত্বেও পরিবার প্রথমে একটি ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে দেয়। সেখানে সাত দিন থেকে চলে আসি। পরে আবার জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে আমার একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।’’

‘‘অসিম বলায় সে স্বামীকেও ডিভোর্স দিয়ে চলে আসি। এরপর বাবার বাড়িতে প্রায় তিন বছর ছিলাম। অসিম মাঝে মধ্যে এখানে আসা-যাওয়া করত। কিন্তু, তাকে বিয়ের কথা বললেই এড়িয়ে যেত। তিন বছর অপেক্ষার পরে অসিমের বাড়িতে অনশনে বসি। দুদিন অনশন করার পর অসিমের পরিবার বাধ্য হয়ে আমাদের বিয়ে দেয়।’’- যোগ করেন তিনি।

ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

মারুফ হোসেন বলেন, ‘‘এক সন্তানের জনীন বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছিল। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা দুই পরিবারের সম্মতিতে ছেলে ও মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।’’

ঢাকা/তাওহিদুল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৪৩তম বিসিএসের গেজেট-বঞ্চিতদের প্রতি গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সংহতি

৪৩তম বিসিএসের গেজেট–বঞ্চিতদের ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। সোমবার চলমান কর্মসূচিতে কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে সংহতি জানান বলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় জানিয়েছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মার্জিয়া প্রভা।

প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য হারুন অর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতু, আইনজীবী মানজুর আল মতিন ও ছাত্রনেতা রাফিকুজ্জামান ফরিদ। অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।

গেজেটভুক্ত করে যোগদান নিশ্চিতকরণ এবং ‘সরকারি চাকরি ভেরিফিকেশন নীতিমালা’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে অনশন করছেন ৪৩তম বিসিএসের গেজেট–বঞ্চিতরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।

কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর এদের (আন্দোলনরতদের) সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তা একটা চরম বৈষম্য। সরকারের উচিত দ্রুত তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া।’

কারণ না দেখিয়ে চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অধিকার কোনো রাষ্ট্রের নেই উল্লেখ করে আইনজীবী মানজুর আল মতিন বলেন, ‘আমরা একটা পুরোনো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করছি, লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি, যে ব্যবস্থায় রাষ্ট্র মানুষকে কেবল ফাঁকা আশ্বাস দেয়, কিন্তু মানুষের যৌক্তিক দাবিগুলোকে পূরণ করে না। এই সরকার সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসবে, এটা আমার বিশ্বাস।’

মানজুর আল মতিন আরও বলেন, ‘আপনাদের দীর্ঘ চার মাস ধরে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সরকার সেই আশ্বাস পূরণ করবে, এটাই প্রত্যাশা। আপনাদের গেজেটেভুক্ত করা হোক, এই দাবি জানাই।’

মানুষকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখে কীসের সংস্কার করা হচ্ছে—এমন প্রশ্ন তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতু বলেন, ‘৪৩তম বিসিএসের নিয়োগটা ২০২০ সালের। এখন ২০২৫ সাল, এখনো তাঁদের চাকরিতে নিযুক্ত করা হচ্ছে না। এটা তো ওনাদের জন্য একটা অনিশ্চয়তা। এ রকম আরও বিভিন্ন সেক্টরের মানুষকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখা হচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আড়াইহাজারে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন
  • পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা বাস্তবায়নে বিক্ষোভের ডাক
  • ৪৩তম বিসিএসের গেজেট-বঞ্চিতদের প্রতি গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সংহতি