পাকিস্তানের পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশে ভারতীয় বাহিনীর বিনা উস্কানিতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দুটি পৃথক ঘটনায় কমপক্ষে চারজন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। 

রবিবার (১১ মে) পাকিস্তানের সরকারি সূত্রের দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্র জানিয়েছে, গতকাল শনিবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোট জেলার কার্যকরী সীমানা বরাবর এই লঙ্ঘন ঘটে।

আরো পড়ুন:

‘গুরুতর গোয়েন্দা তথ্য’ পেয়ে ভারত-পাকিস্তানকে থামিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেও ভারত-পাকিস্তানে ড্রোন হামলা 

শিয়ালকোটের পসরুর এলাকায় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরীর পিঠে গুলির আঘাত লাগে।

দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে যখন ভারতীয় বাহিনী স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬:২৩ থেকে ৬:৩০ এর মধ্যে হরপাল সেকশনে বেসামরিক বসতি লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

সূত্রের বরাতে সিনহুয়া আরো জানিয়েছে, “ভারতীয় পক্ষের বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণে জঙ্গল গ্রামের স্থানীয় এক পরিবারের তিন সদস্যও আহত হয়েছেন।”

সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাশ্মীরকে বিভক্তকারী নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কোটলি, ভিম্বার, চাম্ব এবং কেরান অংশেও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের খবর পাওয়া গেছে।

নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে ভারতীয় দিক থেকে একাধিক আত্মঘাতী ড্রোন পাকিস্তানের শহরগুলোকে লক্ষ্য করে উড়তে দেখা যায়। ড্রোনগুলো সনাক্ত করে আটক করা হয়েছে।

উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করার পর আজ রবিবার দিনের শুরুতে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা কমেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো এই অঞ্চলে শান্তি প্রচেষ্টার ভঙ্গুরতা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আরও অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে: ফ্রান্সের দূত

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর ইসরায়েল–ফিলিস্তিনবিষয়ক বিশেষ দূত ওফার ব্রনসটাইন বলেছেন, আরও কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশও থাকতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চলমান অধিবেশনে যোগ দেওয়া ফ্রান্সের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রয়েছেন ওফার ব্রনসটাইন। সেখানে আল–জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

ওফার ব্রনসটাইন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েল সরকার অনেক বিবৃতি দিচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এবং হামাসের হাতে থাকা বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার পর কী হবে, সে বিষয়ে দুই পক্ষের কেউই কোনো বাস্তবসম্মত প্রস্তাব দিচ্ছে না।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই দূত বলেন, ‘ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান একমাত্র কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে করতে হবে। আমরা দেখেছি, সহিংসতা ও যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। এভাবে কোনো সমাধান হবে না।’

ওফার ব্রনসটাইন বলেন, ফ্রান্সকে অনুসরণ করে যুদ্ধের পর ইউরোপের দেশগুলোসহ আরও অনেকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই দূত বলেন, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করেছে। কিন্তু তারা এটি স্বীকার করতে চায় না। বরং উল্টো ওই অঞ্চলটিকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স সরকার যদি মনে করে, ইসরায়েল ভূমি যুক্ত করার বা অন্য কোনো বড় আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাহলে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে একই আচরণ করব, যেমন আচরণ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের জন্য করছি।’

আরও পড়ুনফিলিস্তিনকে আরও ছয় দেশের স্বীকৃতি, সংঘাত বন্ধ চান ট্রাম্প ২২ ঘণ্টা আগে

ওফার ব্রনসটাইন আরও বলেন, ইসরায়েল সরকার দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করছে না। বরং দেশটিকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। তিনি হামাসকে তাদের কাছে থাকা সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা যদি এটি না করে, তাহলে এই ভয়াবহ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য এটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করবে ইসরায়েল।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগের দিন সোমবার নিউইয়র্কে এক বিশেষ সম্মেলনে ফ্রান্সসহ নতুন ছয় দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। রোববার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল। সব মিলিয়ে দুই দিনে ১০টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ