রংপুরের অন্নদানগরে কমিউনিটি লাইব্রেরি ও স্কুল নির্মাণে বাধা দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র নির্মাতাসহ ৩২ বিশিষ্ট নাগরিক। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, আধিপত্যবাদমুক্ত বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এমন ঘটনা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা বিরুদ্ধ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসঙ্গে এই অপচেষ্টায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান তারা।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন– অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, কথাসাহিত্যিক ইমতিয়ার শামীম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শহীদ ইকবাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রায়হান রাইন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অভী চৌধুরী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সৈকত আরেফিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, লেখক ও সাংবাদিক রাজীব নূর, কবি ও সংস্কৃতিকর্মী শাহেদ কায়েস, কবি সঞ্জীব পুরোহিত, শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি শিবলী চৌধুরী, বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য নাহিদ হাসান নলেজ, গবেষক সামিও শীশ, কবি ও চিত্রশিল্পী নির্ঝর নৈঃশব্দ, চলচ্চিত্র নির্মাতা অনার্য মুর্শিদ প্রমুখ।

বিবৃতিতে বলা হয়, জ্ঞানচর্চার সঙ্গে জ্ঞানের বিকাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পাঠাগারের ভূমিকা কম নয়। এমন জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নির্মাণে বাধা দেওয়ার খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা নানাসূত্রে জানতে পেরেছি, রংপুরে কমিউনিটি লাইব্রেরি ও স্কুল নির্মাণে সমন্বয়ক পরিচয় ব্যবহার করে কাজে বাধা দিয়েছেন রওশন জামিলসহ তার সহযোগী ফ্যাসিস্ট দলের কিছু কর্মী। আমরা জেনেছি যে, কবি ও সমাজকর্মী মীর রবির দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় অন্নদানগরের শরলার বিল আশ্রয়ণ প্রকল্পে কমিউনিটি লাইব্রেরি ও স্কুল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় পাঠাগারের ঘর নির্মাণ শুরু হয়েছিল। তবে বিতর্কিত ওই ব্যক্তি ও তার সহযোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঠিকাদারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে মবের ভয় দেখিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য করে। একইসঙ্গে কবি ও সমাজকর্মী মীর রবিকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কমিউনিটি লাইব্রেরি ও স্কুলের নির্মাণ যদি সম্পন্ন না হয় বা বাতিল হয়, তাহলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪৫০টি ভূমিহীন পরিবারের শিশু-কিশোররা উন্মুক্ত শিক্ষা ও সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত হবে, যা সমাজে বৈষম্যের শিকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জ্ঞান চর্চা ও সাংস্কৃতিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করবে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ধ র অভ য গ সহয গ

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ