আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি শুরু
Published: 15th, May 2025 GMT
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়েছে ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জব্বার ভুঁইয়া ও অনীক আর হক।
গত ১৯ মার্চ আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ১ ডিসেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সব আসামিকে খালাসের রায় দেন। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের বিচারকে অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার ওই ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোড়ন তুলেছিল।
ওই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তখন বিরোধী দলীয় নেতা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ওই হামলা চালানো হয়। হামলায় অংশ নেয় হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি) জঙ্গিরা। তারা সহযোগিতা নেয় বিদেশি জঙ্গিদের। আর এই ষড়যন্ত্রের পেছনে ছিল তখনকার চারদলীয় জোট সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ‘ইন্ধন’। হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড আনা হয় পাকিস্তান থেকে।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায়’ ওই হামলা ছিল দলকে ‘নেতৃত্বশূন্য করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা’।
তিনি বলেন, “রাজনীতিতে অবশ্যম্ভাবীভাবে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে শত বিরোধ থাকবে। তাই বলে বিরোধী দলকে নেতৃত্বশূন্য করার প্রয়াস চালানো হবে? এটা কাম্য নয়।”
অন্যদিকে আসামিদের খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, যেভাবে এ মামলায় পুনঃতদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’। যে সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে এ মামলার বিচার শুরু হয়েছিল, সেই অভিযোগপত্রই ছিল ‘অবৈধ’।
হাইকোর্ট বলেছেন, “সামগ্রিক বিবেচনায় আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, এ মামলায় যেভাবে আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছে, তা অবৈধ এবং আইনের বিচারে তা টেকে না।“
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালতে রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, খালেদার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আরো ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তার বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়।
ঢাকা/এম/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ষ ট রপক ষ ব চ রপত ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে কারখানা তৈরি করতে অ্যাপলকে নিষেধ করলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুককে বলেছেন, তিনি চান না যে, অ্যাপল ‘ভারতে কারখানা তৈরি করুক। কারণ ‘ভারত নিজেরাই নিজেদের যত্ন নিতে পারে।’
দোহায় একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে বুধবার তিনি এ কথা বলেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “টিম কুকের সাথে আমার একটি ছোট সমস্যা আছে। আমি তাকে বলেছিলাম, আমার বন্ধু, আমি তোমার সাথে খুব ভালো ব্যবহার করছি। তুমি ৫০০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে আসছো, কিন্তু এখন শুনলাম তুমি সারা ভারতে কারখানা তৈরি করছ। আমি চাই না তুমি ভারতে কারখানা তৈরি কর। তুমি যদি ভারতের যত্ন নিতে চাও, তাহলে তুমি ভারতে কারখানা তৈরি করতে পার কারণ ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি। তাই ভারতে বিক্রি করা খুব কঠিন।”
ট্রাম্প আলো বলেছেন, “আমি টিমকে বলেছি, আমরা তোমার সাথে খুব ভালো ব্যবহার করছি, বছরের পর বছর ধরে চীনে তুমি যে সব কারখানা তৈরি করেছ, সেগুলো আমরা সহ্য করছি। আমরা ভারতে তোমার নির্মাণে আগ্রহী নই। ভারত নিজেদের যত্ন নিতে পারে।”
অ্যাপলের বর্তমানে ভারতে তিনটি কারখানা রয়েছে, দুটি তামিলনাড়ুতে এবং একটি কর্ণাটকে। এর মধ্যে একটি ফক্সকনের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং অন্য দুটি টাটা গ্রুপ পরিচালনা করে। অ্যাপল ভারতে আরো দুটি কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।
ঢাকা/শাহেদ