প্রথম প্রান্তিকে দ্বিগুণ মুনাফা বাটা শু কোম্পানির
Published: 15th, May 2025 GMT
২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে ভালো করেছে বাটা শু কোম্পানি। জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির আয় ও নগদ প্রবাহ—উভয় ক্ষেত্রেই ভালো প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। এর পেছনে মূল চালিকা শক্তি ছিল রাজস্ব বৃদ্ধি।
বছরের প্রথম প্রান্তিকে বাটা শু কোম্পানির মুনাফা হয়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৬ দশমিক ৯২ টাকা; গত বছরের একই সময় যা ছিল ১৩ দশমিক ৪২ টাকা।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকের পর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে আজ এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং নগদ অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ টাকা; এটি আগের বছরের ১৯ দশমিক ৯৫ টাকা থেকে অনেকটাই বেশি। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই নগদ প্রবাহ বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি।
এ ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ২৪৭ দশমিক ১৫ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর তা ছিল ২২০ দশমিক ২২ টাকা। আয় ও নগদ প্রবাহের এই ইতিবাচক ধারা কোম্পানির স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয় বলেই বলে মনে করেন বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে গত এপ্রিল মাসে বাটা শু (বাংলাদেশ) লিমিটেড ২০২৪ সালের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
কোম্পানির বিবরণ অনুযায়ী, গত বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে। ২০২৪ সালে কোম্পানিটির ইপিএস ২৬ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ২১ টাকা ৬২ পয়সা। আগের বছর যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ২৯ টাকা ৩১ পয়সা। তবে এবার বছরের প্রথম প্রান্তিকেই কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় শতভাগ বেড়ে যাওয়া ইতিবাচক বলেই মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।
এর আগে ২০২৩ সালে বাটা লভ্যাংশ দিয়েছে ৪৩৫ শতাংশ, ২০২২ সালে ৩৬৫ শতাংশ, ২০২১ সালে ৭৫ শতাংশ ও ২০২০ সালে ২৫ শতাংশ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম প র ন ত ক প রব হ র বছর বছর র দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিতীয় ধাপে জগন্নাথের ৫০০ ছাত্রের আবাসনের ব্যবস্থা করবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মেধাবী’ প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের হলে আসন বরাদ্দে দ্বিতীয় ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হল–০১ ও মেধাবী প্রকল্পের হাসনাবাদ শাখার হল প্রাধ্যক্ষ মুহম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মেধাবী’ প্রকল্পে দ্বিতীয় ধাপে ৫০০ জন ছাত্রের আবাসনের লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের (২০তম ব্যাচ, প্রথম বর্ষ) আগ্রহী ছাত্রদের ৩ জুলাইয়ের মধ্যে গুগল লিংক এবং সরাসরি আবেদন ফরমে আবেদন করতে বলা হলো।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মেধাবী’ প্রকল্পের সমন্বয়ক (কো-অর্ডিনেটর) মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং তাঁদের আর্থিক সমস্যার কথা বিবেচনা করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন দ্বিতীয় ধাপে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ৫০০ জন ছাত্রের আবাসনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগামী ৩ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইন এবং অফলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন যাচাই-বাছাই করে ৬ জুলাই থেকে তাঁদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হবে। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১ আগস্ট থেকে মেধাবী প্রকল্পের আবাসনে উঠতে পারবেন।
আসন বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা ফি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মেধাবী’ প্রকল্পের ১ জন শিক্ষার্থীর জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ প্রদান করবে, বাকি টাকা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে স্কলারশিপ হিসেবে প্রদান করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকার পোর্ট কনটেইনার রোডে একটি ১০ তলা ভবন অস্থায়ী আবাসন হিসেবে বরাদ্দ করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এ–সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করে।
চুক্তি অনুযায়ী, কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রজেক্ট এলাকায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রাথমিকভাবে ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা করবে। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীতে উন্নীত করা হবে।
চুক্তিপত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবন থেকে একাডেমিক ভবনে পরিবহনের ব্যবস্থা করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।