স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে আটকা পড়েছে ভারতে রপ্তানির উদ্দেশ্যে যাওয়া বাংলাদেশি পণ্যের যানবাহন। যশোরের বেনাপোল বন্দরে ৩৬ ট্রাক তৈরি পোশাক ও লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকা পড়েছে।

ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শুধু ভারতের নব সেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামে স্থল কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস) বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাবপত্র রপ্তানি করা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন বা এলসিএসের জন্যও এটি প্রযোজ্য হবে।

বুড়িমারী বন্দরে আটকা ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য

ভারতের বিধিনিষেধে বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকা পড়েছে। তবে বন্দরে ভুটান থেকে পাথর আমদানি এবং ভারত ও নেপালে অন্যান্য পণ্য রপ্তানি স্বাভাবিক আছে।

গতকাল রাতের দিকে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য স্থলবন্দরে আসে। আজ রোববার সীমান্ত পার হয়ে ওপারে ভারতের চ্যাংড়াবান্দা স্থলবন্দরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিধিনিষেধের কারণে ট্রাকগুলো পাঠানো সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুনস্থলপথে বাংলাদেশি কিছু পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করল ভারত২১ ঘণ্টা আগে

বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি রেফায়েত হোসেন বলেন, ভারতে রপ্তানির জন্য শনিবার রাতে খাদ্যপণ্য নিয়ে ১৭টি ট্রাক বন্দরে এসেছিল। আজ পণ্যগুলো ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওপার থেকে আমদানি বিধিনিষেধের কারণে ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় পণ্যগুলো পাঠানো সম্ভব হয়নি।

বাংলাবান্ধায় আটকে গেল প্লাস্টিক পণ্যের ট্রাক

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারতে রপ্তানির জন্য আনা প্রাণ-আরএফএলের গ্রুপের এক ট্রাক প্লাস্টিক পণ্য আটকে গেছে। ট্রাকটিতে প্রায় ৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকার পিভিসি দরজা ছিল। রোববার বিকেলে ট্রাকটি ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল। তবে বন্দরে ভুটান থেকে পাথর আমদানি এবং ভারত ও নেপালে অন্যান্য পণ্য রপ্তানি স্বাভাবিক আছে।

স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মো.

সুমন আল মামুন বলেন, ‘ভারতে রপ্তানির জন্য আমাদের মাধ্যমে গতকাল সন্ধ্যায় এক ট্রাক আরএফএল পিভিসি ডোর বন্দরে এসেছিল। আজ এসব পণ্য ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওপারে আমদানি বিধিনিষেধের কারণে ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায়নি।’

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র আমদ ন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরায় নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে পরামর্শ সভা

সাতক্ষীরায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে স্থানীয়দের চাহিদা নিরুপনে নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৫ শীর্ষক উপজেলা পর্যায়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিডো এর আয়োজনে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

পূজার ছুটির পর গকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অভিষেক

নিবন্ধন পাচ্ছে এনসিপিসহ ২ দল

সিডো সাতক্ষীরার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন, প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. তহিদুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর শফিক-উ-দ্দৌলা সাগর, টিআইবি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি হেনরী সরদার, একশনএইড প্রতিনিধি সুইট খান, ইয়ূথ সভাপতি  সাকিব হাসান, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাতক্ষীরা জেলার রাস্তা-ঘাটের অবস্থা অনেক শোচনীয়। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে রাস্তা-ঘাটের সংস্কার খুব জরুরি। সুন্দরবন কেন্দ্রিক টেকসই ইকোটুরিজম প্রতিষ্ঠা, সুন্দরবনের পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণ ও পর্যটন বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই ইকোটুরিজম ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা জেলার শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা সুবিধা দেবে।

তারা বলেন, রেল সংযোজন সাতক্ষীরা জেলা দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বৈষম্যের শিকার। সাতক্ষীরাকে দেশের রেল নেটওয়ার্কে অন্তভুক্ত করতে হবে, যা জেলা ও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় এলাকায় দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া সাতক্ষীরায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম ও ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ, সীমান্তে মাদক প্রতিরোধে প্রযুক্তি নির্ভর নজরদারী ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি, স্থলবন্দরকে পূর্নাঙ্গ বন্দরে রুপান্তর, সাতক্ষীরার ভোমরাকে একটি আধুনিক আন্তর্জাতিক মানের স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কার্যকর পৌরসভার ব্যবস্থাপনা, সুন্দরবন বাঁচাতে জীবশ্ম জ্বালানীকে পরিবর্তে নবায়ন যোগ্য জ্বালানী সংযোজন, জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল কৃষি ব্যবস্থাপনা, সবুজ উদ্যোক্তা তৈরির জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণাগার তৈরি, প্রাণ সায়ের খালের দুই ধার সৌন্দর্যবর্ধন, যুবদের মুক্ত চিন্তা, উন্নয়ন ভাবনা ও নিজস্ব সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য শিক্ষালয় কেন্দ্রিক যুববান্ধব স্পেস তৈরি ও কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলেন বক্তারা।

ঢাকা/শাহীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অনুদান দিল প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ
  • সাতক্ষীরায় নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে পরামর্শ সভা