দাবা খেলায় একজনের প্রতিপক্ষ ১ লাখ ৪০ হাজার জন
Published: 19th, May 2025 GMT
অনলাইনে দাবা খেলছেন নরওয়ের গ্র্যান্ডমাস্টার ম্যাগনাস কার্লসেন। ওই ম্যাচে তাঁর প্রতিপক্ষ ১ লাখ ৪০ হাজার জন! খেলা চলছে প্রায় দেড় মাস ধরে! ম্যাচের নাম ‘ম্যাগনাস কার্লসেন বনাম দ্য ওয়ার্ল্ড’।
ভাবছেন, এ আবার কেমন ম্যাচ, কীভাবেই–বা চলছে এটির খেলা? দাবায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কার্লসেন এ মেগা ম্যাচ খেলা শুরু করেছেন গত ৪ এপ্রিল।
অনলাইনে চলা ওই ম্যাচে তাঁর প্রতিপক্ষ ‘টিম ওয়ার্ল্ড’ অর্থাৎ পুরো বিশ্ব বা ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। তবে তিনি এই বিপুলসংখ্যক মানুষের সঙ্গে একসঙ্গে এতগুলো আলাদা ম্যাচ খেলছেন না, বরং একটি মাত্র বোর্ডে একটি ম্যাচ খেলছেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের চাল আসে সর্বাধিক ভোটের ভিত্তিতে। প্রতিবার ভোটে যে চালের পক্ষে সর্বাধিক মত আসে, সেই চাল দেওয়া হয়। উভয় পক্ষ প্রতিবার নিজের চাল দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা সময় পায়।
স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আয়োজনকে বলা হচ্ছে ‘ফ্রিস্টাইল দাবা’, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে, কখনও সার্চইঞ্জিন ব্যবহার করেও চাল নির্বাচন করে। এটি দাবা খেলার একটি ধরন, যেখানে খেলোয়াড়েরা প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে নিজেদের কৌশল, সৃজনশীলতা ও আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে খেলে থাকেন।
কার্লসেন এ ম্যাচ সহজে জিতবেন বলে শুরুতে আভাস দেওয়া হয়েছিল। তবে টিম ওয়ার্ল্ড যদি দাবার বোর্ডে কার্লসেনের রাজাকে তিনবার চেক দিতে পারে, তবে ম্যাচটি ড্র হবে।
এক বিবৃতিতে কার্লসেন বলেছেন, এখন খেলা যে পথে এগোচ্ছে, তাতে হয়তো ম্যাচ ড্র হবে। কার্লসেন আরও বলেন, ‘খেলার শুরুর দিকে মনে হচ্ছিল, আমি কিছুটা এগিয়ে আছি, কিন্তু পরে হয়তো ঠিকঠাক চালগুলো দিতে পারিনি। সত্যি বলতে, এর পর থেকে তারা আমাকে একটাও সুযোগ দেয়নি।’
মাত্র ১৩ বছর বয়সে দাবায় গ্র্যান্ডমাস্টার হন কার্লসেন। তাঁর বয়স এখন ৩৪ বছর। ২০১১ সাল থেকে তিনি বিশ্ব দাবা র্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর খেলোয়াড়।
এর আগে ১৯৯৯ সালে রুশ গ্র্যান্ডমাস্টার গ্যারি ক্যাসপারভ ও ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দ টিম ওয়ার্ল্ড প্রতিপক্ষের সঙ্গে অনলাইনে দাবা খেলেছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক র লস ন
এছাড়াও পড়ুন:
পুত্রবধূকে সিনেট নির্বাচনের প্রার্থী করছেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নির্বাচনে নিজের পুত্রবধূ লারা ট্রাম্পকে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী সিনেট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ট্রাম্প বলেন, “লারা নর্থ ক্যারোলাইনায় জন্মেছে ও বেড়ে উঠেছে। যদিও এখন সে ফ্লোরিডায় বাস করে, তবে মানসিকভাবে সে সবসময়ই নিজেকে নর্থ ক্যারোলাইনার মনে করে। সে খুব চমৎকার একজন মানুষ, আমি সবসময়েই চাইতাম যে সে পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা করুক।”
লারা ট্রাম্প হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৃতীয় ছেলে এরিক ট্রাম্পের স্ত্রী। পেশাগতভাবে তিনি একজন টেলিভিশন উপস্থাপিকা এবং রাজনীতির মঞ্চেও তার সরব উপস্থিতি রয়েছে। তিনি ফক্স নিউজে ‘মাই ভিউ উইথ লারা ট্রাম্প’ নামে একটি সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে গঠিত রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির কো-চেয়ার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
আরো পড়ুন:
জাপানকে ৩৫ শতাংশ শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র
মঙ্গলবার ট্রাম্পের প্রস্তাবিত কর সংস্কার ও অভিবাসন সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়েছে সিনেটে। সেই বিলে ধনীদের জন্য কর ছাড় এবং দরিদ্রদের স্বাস্থ্যবিমার বিপুল অর্থ ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব করেছেন ট্রাম্প। সিনেটে ভোটাভুটির জন্য বিলটি যখন উত্থাপন করা হয়েছিল, সে সময় নর্থ ক্যারোলাইনার সিনেটর থম টিলিস বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় টিলিসের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন ট্রাম্প। তাই আসন্ন সিনেট নির্বাচনে টিলিসকে মনোনয়ন না দিয়ে নর্থ ক্যারোলাইনার ওই আসনে নিজের পুত্রবধুকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা ৫০টি, আর কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে মোট আসনসংখ্যা ১০০টি। বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যের কোনোটি রিপাবলিকান আবার কোনোটি ডেমোক্রেটিক পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এর বাইরে অল্প কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনের সময় রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নর্থ ক্যারোলাইনা সেই সব অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ঢাকা/ফিরোজ