স্থগিতাদেশ বাতিল না হলে আ.লীগ নির্বাচন করতে পারবে না: ইসি মাছউদ
Published: 19th, May 2025 GMT
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে, নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। নিবন্ধনের স্থগিতাদেশ বাতিল বা প্রত্যাহার না হলে দলটি নির্বাচন করতে পারবে না, সুযোগ নেই।
সোমবার বেলা ১১টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোক প্রশাসন কেন্দ্রে ভোটার তালিকা হালনাগাদ-২০২৫ পরবর্তী পর্যালোচনা ও টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কিনা এ নিয়ে কমিশন কী মনে করে এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এখনো আসেনি।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রধান উপদেষ্টার বেঁধে দেওয়া সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে।
এই কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। এছাড়াও অতিথি হিসেবে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৭০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা, তথ্য সংগ্রহকারী কর্মকর্তা অংশ নেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
মোদির তৃতীয় মেয়াদে ভারতে বিদ্বেষমূলক অপরাধ বেড়েছে: এপিসিআর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বছরে ভারতে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর বিদ্বেষমূলক অপরাধ ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য। দিল্লিভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অব সিভিল রাইটসের (এপিসিআর) নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য ওয়্যার সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
মুসলিম, দলিত, আদিবাসী, খ্রিষ্টানসহ অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর এ সহিংসতা ‘পদ্ধতিগত ও প্রতিহিংসাপরায়ণ’ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুনে নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রিত্ব শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত ভারতে ৯৪৭টি বিদ্বেষমূলক ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৫টি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য ও ৬০২টি সরাসরি বিদ্বেষমূলক অপরাধ।
বিদ্বেষমূলক অপরাধের মধ্যে ১৭৩টিতে শারীরিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এবং ২৫টি ঘটনায় ভুক্তভোগীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সবাই মুসলমান। এই এক বছরে বিদ্বেষমূলক অপরাধে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৫ জন হিন্দুও আছেন। অবশ্য তারা আক্রমণের মূল নিশানা ছিলেন না। ঘটনাস্থলে থাকার কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের মধ্যে নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় বেশি।
এপিসিআর জানায়, গত এক বছরে সারাদেশে যে ৩৪৫টি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এগুলোর ১৭৮টিই দিয়েছেন শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঘৃণা-সম্পর্কিত অপরাধও সবচেয়ে বেশি ঘটেছে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে। বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য ও অপরাধের প্রবণতাও এসব রাজ্যে বেশি। আরও দেখা গেছে, বিশেষ করে নির্বাচনী প্রচারে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য বেশি দেওয়া হচ্ছে। লোকসভা বা বিধানসভা ভোটেই শুধু নয়, স্থানীয় নির্বাচনেও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য ও অপরাধের ঘটনা ঘটছে। এক বছরের এই সময়কালে উত্তরাখন্ডের পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচন তার প্রমাণ।
এপিসিআরের প্রতিবেদন জানায়, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিজেপির জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন। এক বছরের ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিজেপি দলের সদস্যদের দেওয়া ১৭৮টি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে পাঁচটি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। ৬৩টি বক্তব্য দিয়েছেন বিজেপির বিভিন্ন সরকারের মন্ত্রীরা, ৭১টি বক্তব্য দিয়েছেন অন্য নির্বাচিত ব্যক্তিরা। সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে, দু’জন বিচারপতি এবং একজন রাজ্যপালও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, গত এক বছরে ঘটে যাওয়া ৯৪৭টি বিদ্বেষমূলক অপরাধের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ। শুধু এই রাজ্যেই ২১৭টি বিদ্বেষমূলক অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এর পর যথাক্রমে বিজেপিশাসিত মহারাষ্ট্রে ১০১টি, মধ্যপ্রদেশে ১০০টি ও উত্তরাখন্ডে ৮৪টি। এ ছাড়া বিজেপিশাসিত রাজস্থানে ৬০টি, বিহারে ৩৬টি, গুজরাট ও হরিয়ানায় ২৩টি করে এবং আসামে এমন ঘটনা ঘটেছে ২০টি।