নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে, নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। নিবন্ধনের স্থগিতাদেশ বাতিল বা প্রত্যাহার না হলে দলটি নির্বাচন করতে পারবে না, সুযোগ নেই।

সোমবার বেলা ১১টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোক প্রশাসন কেন্দ্রে ভোটার তালিকা হালনাগাদ-২০২৫ পরবর্তী পর্যালোচনা ও টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কিনা এ নিয়ে কমিশন কী মনে করে এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। 

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রধান উপদেষ্টার বেঁধে দেওয়া সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে। 

এই কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। এছাড়াও অতিথি হিসেবে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৭০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা, তথ্য সংগ্রহকারী কর্মকর্তা অংশ নেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর রেলগেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

সেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলও করেন। এ ছাড়া সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীদের দাবি, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোহরাব উদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার।

এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।

জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হাসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’

কুষ্টিয়ার অন্য তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ