ভোলা-৪ আসনে গণসংযোগ করলেন ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া
Published: 5th, July 2025 GMT
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া নির্বাচনী এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ভোলার চরফ্যাশনে এসে গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে গণসংযোগ করেন তিনি। এ সময় তিনি তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করার লিফলেট বিতরণ করেন।
মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, তিনি গতকাল ও আজ সকাল থেকে চরফ্যাশন উপজেলার কচ্ছপিয়া বাজার, রুহুল আমিন চেয়ারম্যান বাজার, আট কপাট বাজার, অলি ব্যাপারীর দোকান, খেজুরগাছিয়া বাজার, চেয়ারম্যান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছেন। এ ছাড়া ছাত্র–জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদ ওমর ফারুকের কবর জিয়ারত করেছেন।
কচ্ছপিয়া জামে মসজিদে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, তারেক রহমান রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের জন্য যে ৩১ দফা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন হলে তৃণমূল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রয়োজনীয় সংস্কার হবে। ৩১ দফায় সবকিছু বলা হয়েছে। আগামী সময়ে স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ভোট হবে। আর সে ভোটে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তথা বিএনপি জয়যুক্ত হয়ে আবার বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ দ দ ক উল ল হ ম য় ত র ক রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘বড় ভাই আসবেনে, খুশি হয়ে কিছু দিবা’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এক দোকানদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার অনুষদ ভবন সংলগ্ন আব্দুল আহাদের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। চাঁদা দাবি করা ছাত্রদল নেতারা হলেন- ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উল্লাস মাহমুদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন। তারা নিয়মিত ছাত্র নন এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দোকানি বিচার চেয়ে আজ (শনিবার) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও প্রায় দুই ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নেন। তার দাবি, অভিযুক্তরা মাফ চাওয়ায় তিনি অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। তবে মাফ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা।
লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে ছাত্রদল নেতা উল্লাস দোকানিকে দোকান বন্ধ করার কথা জানান। কিন্তু দোকান বন্ধ না করায় শনিবার দুপুর একটার দিকে সাব্বিরকে নিয়ে দোকানে যান উল্লাস। এ সময় চাঁদা দাবি করেন তারা। চাঁদা না দিলে দোকানি আহাদকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তারা। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী আব্দুল আহাদ বলেন, ‘একদিন উনারা আমাকে ফোন দিয়ে দেখা করতে বলেন। আমি ক্যাম্পাসে এসে দেখা করার পর তারা বলে, তুমি কি দোকানদারি করবা নাকি ছেড়ে দিবা?’ আমি বললাম দোকানদারি করব। সেদিন আর তেমন কিছু বলেনি। আজকে আবার ছাত্রদলের উল্লাস ভাই আর সাব্বির ভাই আমাকে দোকানের বাইরে ডেকে নিয়ে বলেন, তোমাকে এর আগে একবার বলেছিলাম। আজকে আবার বলছি যে, কিছু টাকাপয়সা দেও। দেও বলতে বড় ভাই আসেবেনে তারে দিবা। আমি বলে দিবানে। তোমার কোনো সমস্যা হইলে আমরা দেখব। আজকে শনিবার, বুধবারের মধ্যে টাকা দিবা। বড় ভাই আসবেনে, তুমি খুশি হয়ে কিছু দিবা।’
পরে অভিযোগ তুলে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অভিযোগ দেওয়ায় তারা আমার কাছে এসেছিল। আমার কাছে মাফ চেয়ে গেছে। বলেছে, যা হওয়ার হয়ে গেছে অভিযোগটা তুলে নাও। তাই আমি অভিযোগ তুলে নিয়েছি।’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত উল্লাস মাহমুদ ও সাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমরা আহাদের দোকানেই যাইনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন কথা।’ এছাড়া মাফ চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, তারা আজকে (শনিবার) আহাদের দোকানে যাননি।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলছে, এসব কিছুই জানে না। ছাত্রদল করে চাঁদাবাজির কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ এমন করে থাকে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাব।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘দোকানদার আহাদ অভিযোগ দিয়েছিল। কিন্তু পরে তা প্রত্যাহার করেছে। সে বলেছে, একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কোনোরকম চাপ ছাড়াই অভিযোগ তুলে নিচ্ছি। এরকম একটা লিখিত দিয়েছে।’