বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএনপির কি এতো আকাল পড়েছে যে আওয়ামী লীগ থেকে সদস্য আমদানি করতে হবে? যেই আওয়ামী লীগের ডিএনএতে গণতন্ত্র নাই, তাদের কেন আহ্বান করতে হবে।

সোমবার বিকেলে সিলেট শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে বিভাগীয় বিএনপির নতুন সদস্য সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দল। বিএনপি থাকলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে, দুর্বল হলে বাংলাদেশ দুর্বল হবে। বিএনপির জন্ম না হলে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন হতো না, বিএনপি সুসংগঠিত না থাকলে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু হতো না। তাই বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার।

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, যে মানুষ বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, যিনি নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দেবেন, তিনিই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য হতে পারবে। এদেশের প্রতিটি ধূলিকণাকে বিএনপি ধারণ করে, লালন করে। বাংলাদেশে অফিসিয়ালি ১৮ কোটি জনগণ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা এখন ১৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যাকারী। তাদের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। আজ পর্যন্ত তারা নিজেদের অপকর্মের জন্য কোনও অনুশোচনা করেনি বা ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। উল্টো তারা গণ-অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দুষ্কৃতকারী বলে আখ্যায়িত করছে।

জিয়াউর রহমান ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে দেশের একনায়কতান্ত্রিক সংবিধান বাকশালকে বিলুপ্ত করে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উল্লেখ করে বলেন সালাউদ্দিন আহমেদবলেন, তিনি সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম সংযুক্ত করে মহান আল্লাহ তায়ার ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি দেশের সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে সবার সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সব মানুষের ধর্মীয় চর্চার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউছের সভাপতিত্বে ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম.

রাসেদুজ্জামান মিল্লাত, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী ও এম.এ মালিক, জাতীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সহ সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার।

সভায় সূচনা বক্তব্য দেন দলেল নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে দায়িত্বে) তারিকুল আলম তেনজিন ও স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক এমপি এম. নাসের রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদ, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা আহ্বায়ক ফজলুল করিম ময়ুন, হবিগঞ্জ জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স থ য় কম ট র সদস য কম ট র স কর ছ ল ন র সদস য র রহম ন ব এনপ র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক আটকে বিক্ষোভ

সুনামগঞ্জ-৫ আসনে (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকেরা। এই দাবিতে আজ রোববার বিকেলে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় সড়ক আটকে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা।

সড়ক আটকে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হওয়ায় বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দুই দিকে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।

এই আসনে এবার দলের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদকে (মিলন)। এই আসনে কলিম উদ্দিন আহমদ ও মিজানুর রহমান চৌধুরীকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত।

আজ বিকেলে সমাবেশে মিজানুর রহমান চৌধুরী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি গত ১৬টি বছর সব চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে মাঠে ছিলাম। ২০০৯ সালে বিপুল ভোটে ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। ২০১৮ সালে দল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে এই আসনে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আমি মাত্র এক ঘণ্টায় ধানের শীষে বিপুল পরিমাণ ভোট পাই। দুর্দিনে আমি নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠে ছিলাম।’

সুনামগঞ্জ-৫ আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল এবারও এখানে আমার নামটি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এমনটা নেতা-কর্মীরাও চেয়েছিলেন। কিন্তু অন্য একটি নাম ঘোষণা করায় নেতা-কর্মীদের মতো আমিও বিস্মিত, হতভম্ব।’

প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই দাবি মাঠের নেতা-কর্মীদের যেমন, তেমনি আমারও। আমি মিজান চৌধুরী রোদ-বৃষ্টি, ঝড়-তুফানে, পানি-কাদায় বেড়ে উঠা রাজনৈতিক কর্মী। আমি বিএনপিকে ভালোবাসি, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে ভালোবাসি। আমি আশাবাদী, এখানে দল প্রার্থী পরিবর্তন করবে।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ছাতক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ আহমদ, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফারুক আহমদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একই দিনে নির্বাচন-গণভোট সঠিক পদক্ষেপ: হাফিজ উদ্দিন আহমদ
  • বিএনপির প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক আটকে বিক্ষোভ
  • বিভ্রান্তি-হতাশা-অনিশ্চয়তার মধ্যেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে: ফখরুল
  • নানা দাবির নামে নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা চলছে: মির্জা ফখরুল
  • বিএনপির নতুন স্লোগান ‘অর্থনৈতিক গণতন্ত্রায়ণ’: আমীর খসরু
  • শেখ হাসিনা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাসক: মেজর (অব.) হাফিজ
  • সেই গণতন্ত্র যেন আর কোন ফ্যাসিবাদের জন্ম না দেয় : মামুন মাহমুদ
  • পারভেজের কথায় ‘বিজয় নেবে ধানের শীষ’
  • শামীম ওসমান দিনের পর দিন না’গঞ্জবাসীর সাথে  প্রতারণা করেছে : কম. সাঈদ
  • শামীম ওসমান দিনের পর দিন না’গঞ্জবাসীর সাথে  প্রতারণা করেছে: কম. সাঈদ