এড. বারী ভূইয়াকে লাঞ্চিত কারার প্রতিবাদে আইনজীবীদের মানববন্ধন
Published: 20th, May 2025 GMT
এড. আব্দুল বারী ভূইয়াকে লাঞ্চিত কারার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন আইনজীবীরা। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড হুমায়ুন কবির। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে আদালত পাড়ায় জেলা আইনজীবী বার ভবন সংলগ্নে আইনজীবীদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে ববলেন, কোন আইনজীবীর উপর নারায়ণগঞ্জ বারে কেউ হাত তুলতে পারবে না। বারী ভূঁইয়া যে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। তিনি যার যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, আমি প্রশাসনকে বলব তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার জন্য। মামলা না নিলে আমরা বুঝবো পুলিশ এই সন্ত্রাসীদের সাথে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ আমরা এই আইনজীবী সমিতিতে আছি। এখানে কোন সন্ত্রাসীরা আসতে পারবে না। কোন মাস্তানি এখানে চলবে না। মাস্তানি করলে প্রথমে প্রশাসনকে বলছি আপনারা দেখবেন।
এসপি সাহেবকে বলছি আপনারা জনগণের টাকায় বেতন নেন, আপনাদের দায়িত্ব আপনারা নিরাপত্তা দিবেন। অন্যথায় আমরা আইন হাতে তুলে নিতে চাই না। আমরা আইনের প্র্যাক্টিস করি। আমাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করবেন না। আমরা নামলে কোন সন্ত্রাসী থাকতে পারবে না।
সিনিয়র আইনজীবী এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
আপিল বিভাগের বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করলেন নেপালের প্রধান বিচারপতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি পর্যবেক্ষণ করেছেন বাংলাদেশ সফররত নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে বসে আজ রোববার এ শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন নেপালের প্রধান বিচারপতি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর আজ ষষ্ঠ দিনের মতো শুনানি হয়। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। বেলা ১১টা থেকে মাঝে বিরতি দিয়ে ১টা পর্যন্ত শুনানি চলে। বিরতির পর দুপুর ১২টার আগে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের অপর বিচারপতিদের সঙ্গে এজলাসে আসেন নেপালের প্রধান বিচারপতি। বিচারপতিদের সঙ্গে এজলাসে বসে শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। ষষ্ঠ দিনের শুনানি গ্রহণের পর ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন নেপালের প্রধান বিচারপতি।
বিরতির পর আপিল শুনানি শুরুর আগে নেপালের প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। নেপালের প্রধান বিচারপতিকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। নেপালের প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এরপর শুনানি শুরু হয়। প্রথমার্ধে বিএনপির মহাসচিবের করা আপিলের ওপর শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তখন শুনানিতে অবসরের পর কোনো বিচারপতি রায়ে সই করলে তার আইনগত মূল্য কী হবে—এমন প্রসঙ্গ ওঠে।
বিরতির পর এ বিষয়ে শুনানিতে বিএনপির মহাসচিবের অপর আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, রায় ঘোষণা ও রায়ে সই করা দুটি ভিন্ন বিষয়। রায় ঘোষণার সময় এ বি এম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতির পদে আসীন ছিলেন। শর্ট অর্ডারে যা ছিল, পূর্ণাঙ্গ রায়ে তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
দেওয়ানি কার্যবিধি, আপিল বিভাগের রুলস ও সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ তুলে ধরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, শর্ট অর্ডারের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ ওই রায়ে যে পার্থক্য, তা পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করেছেন একজন বিচারপতি। এই বিচারপতিও বলেননি অবসরের পরে বিচারপতি খায়রুল হকের লেখা রায়টি অবৈধ হয়েছে। স্বাক্ষর পরে করেছেন বলে রায় অবৈধ বলা যাবে না। কারণ, অবসরের পর কোনো বিচারপতি রায়ে সই করতে পারবেন না কিংবা কত দিনের মধ্যে সই না করলে সেটি অবৈধ হবে, এমন বাধ্যবাধকতা আইনে নেই। প্রকাশ্য আদালতে কোনো বিচারপতি যখন কোনো রায় দেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে দিলে ছোটখাটো, দাঁড়ি, কমা, শব্দ বাদ পড়েছে—এগুলো ছাড়া যেকোনো পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই সেটি রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) ছাড়া হবে না, যার ওপর শুনানি চলছে।
এ মামলায় সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি নামের একটি সংগঠন ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে যুক্ত হয়। ওই প্রসঙ্গে সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক বলেন, অবসরের পর রায়ে সই করলে তা বাতিল বা অকার্যকর হবে না। যেদিন প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা করলেন, সেই তারিখটি হচ্ছে মূল। এটি হচ্ছে রায়ের তারিখ। কবে সই করলেন এটি প্রাসঙ্গিক নয়। আপিল বিভাগের রুলসে বলা আছে, এ ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধির (সিপিসি) বিধান কার্যকর হবে না।