এড. আব্দুল বারী ভূইয়াকে লাঞ্চিত কারার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন আইনজীবীরা। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড হুমায়ুন কবির। ‎‎‎মঙ্গলবার (২০ মে)  দুপুরে আদালত পাড়ায় জেলা আইনজীবী বার ভবন সংলগ্নে আইনজীবীদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ‎

এ সময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে ববলেন, কোন আইনজীবীর উপর নারায়ণগঞ্জ বারে কেউ হাত তুলতে পারবে না। বারী ভূঁইয়া যে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। তিনি যার যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, আমি প্রশাসনকে বলব তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার জন্য। মামলা না নিলে আমরা বুঝবো পুলিশ এই সন্ত্রাসীদের সাথে জড়িত।

‎‎তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ আমরা এই আইনজীবী সমিতিতে আছি। এখানে কোন সন্ত্রাসীরা আসতে পারবে না। কোন মাস্তানি এখানে চলবে না। মাস্তানি করলে প্রথমে প্রশাসনকে বলছি আপনারা দেখবেন। 

এসপি সাহেবকে বলছি আপনারা জনগণের টাকায় বেতন নেন, আপনাদের দায়িত্ব আপনারা নিরাপত্তা দিবেন। অন্যথায় আমরা আইন হাতে তুলে নিতে চাই না। আমরা আইনের প্র্যাক্টিস করি। আমাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করবেন না। আমরা নামলে কোন সন্ত্রাসী থাকতে পারবে না।

‎‎সিনিয়র আইনজীবী এড.

গিয়াসউদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. রেজা, এডিশনাল পিপি এড.আজিজুল হক হান্টু,জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. আজিজ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড.আলম খান, নারী শিশু পিপি এড. খোরশেদ আলম মোল্লা, সিনিয়র আইনজীবী এড. আবদুস সামাদ মোল্লা, এডিশনাল পিপি ওমর ফারুক নয়ন, এড. হামিদা আক্তার, এড. আক্তার হোসেন, এড. আশরাফুল সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবীবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৯ জন শিক্ষক ও ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তাঁদের সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জড়িত অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মনজুরুল হক প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিপরীতে ভূমিকা নেওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে গত ১৫ মার্চ আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ, তথ্যচিত্র, ভিডিও ও পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিটি ওই শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জুলাই-আগস্ট বিপ্লববিরোধী ও দমনমূলক কার্যকলাপে সংশ্লিষ্টতা পায়। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সর্বশেষ কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট সভায় তাঁদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মনজুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখনো রেজল্যুশন আকারে হয়নি। কাউকে চিঠিও দেওয়া হয়নি। রেজল্যুশন হলে, চিঠি দেওয়া হলে অফিসিয়ালি জানাতে পারব।’

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আকতার হোসেন বলেন, ‘উপাচার্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকা চিহ্নিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আমাকে আহ্বায়ক করেন। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত দায়িত্ব পালন করে তদন্ত শুরু করি। বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তর থেকে তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়। লিখিত অভিযোগ, পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত ছবি ও প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা সর্বশেষ প্রতিবেদন তৈরি করতে সক্ষম হই।’

উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আরও একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটি বিবেচনা করবে, কাকে কতটুকু শাস্তি দেওয়া যায়। তবে ফ্যাসিস্টের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

এদিকে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকায় থাকা আইন বিভাগের দুই শিক্ষক শাহজাহান মণ্ডল ও রেবা মণ্ডলকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা একটার দিকে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ দাবি করে তাঁরা মানববন্ধন করেন। পরে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন।

ইংরেজি, ল অ্যান্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, আল-ফিকহ অ্যান্ড ল–সহ কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরাও তাঁদের শিক্ষকদের পক্ষে আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে।

মানববন্ধনে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেন, ‘তদন্ত কমিটি পক্ষপাতিত্ব করে রাঘববোয়ালদের বাদ দিয়ে চুনোপুঁটিদের ধরায় ব্যস্ত। সিদ্ধান্তটি পক্ষপাতমূলক ও অযৌক্তিক।’

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মির্জা আল শাহরিয়ার বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় আমি ১২ দিন জেলে ছিলাম। তখন রেবা মণ্ডল ছিলেন বিভাগের চেয়ারম্যান, আর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন শাহজাহান মণ্ডল। আন্দোলনের সময় আমাদের বিভাগ থেকে কাউকে যেতে নিষেধ করা হয়নি। এই দুজন শিক্ষক সব সময় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করেছেন। আমরা তাঁদের শ্রেণিকক্ষে ফেরত চাই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বামরাইল সেতু সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
  • সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে দেশ টিভির আরিফ ও নাসার নজরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো
  • অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
  • আপিল বিভাগের বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করলেন নেপালের প্রধান বিচারপতি
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারযুক্ত সংবিধানই জনগণ চায়
  • খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত
  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
  • এখন দেখছি নতুন প্রতারকের জন্ম হয়েছে: কায়সার কামাল
  • সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
  • ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি ডলার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ