হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল ২ যুবকের
Published: 21st, May 2025 GMT
হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার গান্ধীগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আজিজুর রহমান আকাশ (২২) এবং বড় গজনী গ্রামের সোহান মারাকের ছেলে এফিলিস মারাক (৩৫)।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে এক পাল হাতি খাবারের সন্ধানে কাংশা ইউনিয়নের দরবেশতলায় ধানক্ষেতে হানা দেয়। এ সময় মশাল নিয়ে ক্ষুধার্ত হাতি তাড়াতে যায় স্থানীয় লোকজন। আকাশও তাদের সঙ্গে ছিলেন। লোকজন হাতিকে তাড়া করে বনের ভেতর নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে হাতির পাল পাল্টা আক্রমণ করলে সবাই দৌড়ে চলে আসেন। কিন্তু আকাশ দৌড়াতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যান। তিনি আর উঠতে পারেননি। এ সময় উন্মত্ত হাতি শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে তাঁকে পিষ্ট করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আকাশকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এদিকে গজনী অবকাশ কেন্দ্রের কাছে তিন সড়কের মোড়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৪ ব্যক্তি বাড়ি যাচ্ছিলেন। এসময় একই সড়ক দিয়ে হাতির পাল যাচ্ছিল। হাতি দেখে তিনজন দৌঁড়ে চলে গেলেও এফিলিস মারাক নামে একজন আটকে যায়। এসময় তাকে পদপিষ্ট করে হত্যা করে হাতি।
বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পাই আকাশের পেটের বাম পাশে ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। কান দিয়ে রক্ত পড়ছে। সম্ভবত হাতি তাকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পায়ে পিষ্ট করে মেরেছে।’
ছোট গজনী গ্রামের বাসিন্দা ক্রিস্টিয়ানা মারাক বলেন, বনে হাতির খাবারের খুব সঙ্কট। তাছাড়া ধান হাতির প্রিয় খাবার। খেতে পাকা ধান দেখে তারা হানা দিচ্ছে। বাঁধা দিলেই আক্রমণ করছে। তিনি বলেন, আসলে অভুক্ত হাতির দল গত এক সপ্তাহ ধরে ভীষণ তিক্ত হয়ে উঠেছে। তারা বন থেকে যখন-তখন লোকালয়ে আসছে। লোকজন নানাভাবে এদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে তারা আরও ক্ষিপ্তহয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, পরিষদের তরফ থেকে মৃত দুই পরিবারকে যতটুকু সম্ভব তারা সহায়তা করবেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসরাফুল আলম রাসেল বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। নিহতের দুই পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হবে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন ভুক্তভোগীদের পরিবারকে সবধরণের সুযোগ সুবিধা প্রদান করবে। হাতি তাড়ানোর জন্য রাতেই জনসাধারণকে কেরোসিন তেল দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন