ইউক্রেনের শীর্ষ কর্মকর্তাকে মাদ্রিদে গুলি করে হত্যা
Published: 22nd, May 2025 GMT
ইউক্রেনের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা অ্যান্ডরি পোর্টনভ স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে অবস্থিত আমেরিকার একটি স্কুলের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি
৫১ বছর বয়সী পোর্টনভ মাদ্রিদের পোজুয়েলো দে আলার্কন এলাকায় অবস্থিত আমেরিকান স্কুলে তার সন্তানকে রেখে গাড়ির সামনে হেঁটে আসার সময়ই গুলিবিদ্ধ হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অপরিচিত একজন হামলাকারী অ্যান্ডরি পোর্টনভের ওপর একাধিকবার গুলি চালিয়ে বনভূমির দিয়ে পালিয়ে যায়। অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি গুলির শব্দ শোনা গেছে। ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করে পুলিশ বন্দুক ধারীকে খুঁজছে। হামলাকারী নীল রংয়ের ট্রাকস্যুট পরা ছিল।
পোর্টনভ এক সময় সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ প্রশাসনের উপপ্রধানও ছিলেন। ইয়ানুকোভিচ ছিলেন রাশিয়াপন্থি প্রেসিডেন্ট। যাকে ২০১৪ সালে কয়েক মাসব্যাপী বিক্ষোভের পর ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়।
এর আগে অ্যান্ডরি পোর্টনভ ইউলিয়া টিমোশেঙ্কোর শাসকদলের একজন সংসদ সদস্য (এমপি) ছিলেন। তবে ২০১০ সালে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি তার দলে যোগ দেন। পরবর্তীতে বিক্ষোভ শুরু হলে অ্যান্ডরি ইউক্রেন ছেড়ে চলে যান। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দেশে ফিরে আসেন।
পরে তিনি আবারও ইউক্রেন ছেড়ে চলে যান। এরপর ২০২১ সালে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যেখানে বলা হয়, অ্যান্ডরি প্রভাব বিস্তার করে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছেন এবং সংস্কার ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করেছেন।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া নয়টার দিকে স্কুলে প্রবেশ করার পরই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তবে কী কারণে গুলি করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশপন্থিদের হাতেই চলবে বাংলাদেশ: নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। বাংলাদেশপন্থিদের হাতেই বাংলাদেশ চলবে।”
শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপর সাড়ে ১২টায় ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চত্বরে পূর্বনির্ধারিত পথযাত্রা কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “বিএসএফ সীমান্তগুলোতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করে এবং বাংলাদেশিদের মানবাধিকার হরণ করে। সেইসঙ্গে আমরা দেখি, ভারতীয় মুসলিমদের অবৈধ অভিবাসী বলে বাংলাদেশে পুশইন করার চেষ্টা করা হয়। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। বাংলাদেশপন্থিদের হাতেই বাংলাদেশ চলবে। সীমান্তে গণহত্যা আমরা যেকোনো মূল্যে বন্ধ করব। ঠাকুরগাঁও জেলাসহ উত্তরবঙ্গের অবহেলিত জেলাগুলোর প্রতি অর্থনৈতিক বৈষম্য চলবে না।”
আরো পড়ুন:
পুরনো সিস্টেম ও দখলদারিত্ব ফিরে আসার চেষ্টা চলছে: নাহিদ
সেই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা রয়ে গেছে: নাহিদ
এ সময় এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হিমেল/রফিক