ইরানি জনগণকে শক্তির সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান খামেনির
Published: 19th, June 2025 GMT
ইরানি জনগণকে শক্তির সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
তিনি বলেছেন, ‘যদি শত্রু বুঝতে পারে যে, আপনারা তাদের ভয় পান তাহলে তারা ছেড়ে দেবে না।’ খবর-বিবিসি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স- এ এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘আজ পর্যন্ত আপনাদের যে আচরণ ছিল তা চালিয়ে যান। এই আচরণ শক্তির সঙ্গে চালিয়ে যান।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যৌন হয়রানির অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি, ‘ষড়যন্ত্র’ বললেন শিক্ষক
নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে ওই শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। তবে এসব অভিযোগকে ‘বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক’ বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষক।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করে আসছেন। পাশাপাশি অনৈতিক প্রস্তাব, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য করছেন।
বিভাগটির তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘উনি (শিক্ষক) নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। যেমন তোমার কোমর তো ভালো দোলে, রাতের রানী, রাতের গার্ড ইত্যাদি। আমাদের প্রথম ব্যাচ থেকে সপ্তম ব্যাচ পর্যন্ত অনেকেই তাঁর এমন আচরণের শিকার হয়েছেন। আগের এক ঘটনায় তিনি শিক্ষার্থীদের মারতে গিয়েছিলেন, সেটির ভিডিও আছে।’
ওই শিক্ষার্থীর দাবি, কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর নম্বর কমিয়ে দেন ওই শিক্ষক। এমনকি তাঁর তাকানোর ভঙ্গিতেও ভয় লাগে। তাঁরা শ্রেণিকক্ষে যেতে এখন ভয় পাচ্ছেন।
মেহেদী হাসান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মারতে যাওয়া ও মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও আছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
তবে এসব অভিযোগকে ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে বিষয়গুলো অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘ঘটনার শুরু আমাদের প্রথম ব্যাচের এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে। এক ট্যুরে ওই শিক্ষার্থী মেয়েদের রুমে কয়েকজন ছেলে নিয়ে মাদক সেবন করছিল। আমি গিয়ে বাধা দিই। সেই ঘটনার পর থেকে সে আমার নামে এসব ছড়াচ্ছে। এর পাশাপাশি সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষার্থী বিভাগের বাকি শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব করছে।’
শিক্ষার্থীদের মারমুখী হওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে ওই শিক্ষক বলেন, ‘আমি শুধু বলেছিলাম, যদি আমার স্ত্রীর কিছু হয়, তাহলে মামলা করব। এর বাইরে কিছু নয়। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে ফাঁসাচ্ছে।’