সদ্য স্নান শেষে দীঘল চুল আলগা করে ছেড়ে দেওয়া। সাদা রঙের স্লিভলেস ব্লাউজের সঙ্গে হলুদ শাড়িতে নিজেকে সাজিয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। হাতে মোটা চুড়ি। তার চোখে-মুখে লেগে আছে স্নিগ্ধতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে এমন লুকে দেখা যায় মিথিলাকে।

খোঁজ নিয়ে যায়, ছবিগুলো ২০২৪ সালে তোলা। কিছুদিন আগে পুরোনো ছবিগুলো নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। বলা যায়, নেট দুনিয়ায় এখন ভাইরাল। এসব ছবি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।

অনামিকা মুখার্জি লেখেন, “মিথিলা দারুণ সুন্দর, আর ভীষণ আবেদনময়ী।” দিঘি লেখেন, “মিথিলা আপু অসাধারণ অভিনয় করে। আপুর জন্য শুভকামনা।” জনি আলম লেখেন, “অনেক সুন্দর সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ্ তায়ালা আপনাকে। বিউটিফুল গার্ল।” তানিয়া আক্তার লেখেন, “অসম্ভব সুন্দর।” তবে কেউ কেউ আক্রমণ করেও মন্তব্য করেছেন। আপাতত দুই শিবিরে ভাগ হয়ে তর্কযুদ্ধে লিপ্ত নেটিজেনরা।

আরো পড়ুন:

তারাদের ভার্চুয়াল কলমে বৈশাখের শুভেচ্ছা

তাহসানের বিয়ে নিয়ে যা বললেন মিথিলা

মডেল-অভিনেত্রীর বাইরেও মিথিলার একাধিক পরিচয় রয়েছে। একাধারে গবেষক, শিক্ষক, কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার। শুধু তাই নয়, একজন লেখক এবং উন্নয়নকর্মীও। গবেষণা বিষয়ক লেখালেখির পাশাপাশি শিশুদের জন্য বইও লেখেন।

ব্যক্তিগত জীবনে কলকাতার সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন মিথিলা। অভিনয়, পেশাগত দায়িত্ব ও স্বামী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলে কখনো বাংলাদেশে, কখনো কলকাতায়, কখনো তাকে ছুটে যেতে বিশ্বের অন্য কোনো দেশে।

মিথিলা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন এফ এস নাঈম। তাছাড়াও অভিনয় করেছেন মনিরা মিঠু, ফজলুর রহমান বাবু, আজাদ আবুল কালাম, শাহেদ আলী প্রমুখ। অরুণ চৌধুরী পরিচালিত সিনেমাটি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায়।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

চীনের রণতরি উদ্বোধন, চাপে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রণতরিটি নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হয়।

ফুজিয়ান হলো চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরি, যা আধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমে সজ্জিত। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিমানগুলো আরও বেশি গতিতে উড্ডয়ন করতে পারবে।

এটি চীনের নৌ সক্ষমতায় এক বড় অগ্রগতি। কারণ, বর্তমানে জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে চীনের নৌবাহিনীই বিশ্বের সবচেয়ে বড়। সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবিশ্বাস্য গতিতে নৌবাহিনী সম্প্রসারণ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ফুজিয়ানের সমতল ডেকে থাকা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমের সাহায্যে তিন ধরনের যুদ্ধবিমান উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই রণতরি ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহনকারী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে পারবে, যা আরও দূরের শত্রু ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। ফলে এটি চীনের প্রথম দুটি রণতরি—রুশ নির্মিত ‘লিয়াওনিং’ ও ‘শানডং’-এর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফুজিয়ানকে চীনের নৌবাহিনীর বিকাশে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

বিশ্বে বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই এমন একটি বিমানবাহী রণতরি রয়েছে, যাতে ফুজিয়ানের মতো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ