স্লিভলেস ব্লাউজ, হলুদ শাড়ি, খোলা চুলে ভাইরাল মিথিলা
Published: 20th, June 2025 GMT
সদ্য স্নান শেষে দীঘল চুল আলগা করে ছেড়ে দেওয়া। সাদা রঙের স্লিভলেস ব্লাউজের সঙ্গে হলুদ শাড়িতে নিজেকে সাজিয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। হাতে মোটা চুড়ি। তার চোখে-মুখে লেগে আছে স্নিগ্ধতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে এমন লুকে দেখা যায় মিথিলাকে।
খোঁজ নিয়ে যায়, ছবিগুলো ২০২৪ সালে তোলা। কিছুদিন আগে পুরোনো ছবিগুলো নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। বলা যায়, নেট দুনিয়ায় এখন ভাইরাল। এসব ছবি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।
অনামিকা মুখার্জি লেখেন, “মিথিলা দারুণ সুন্দর, আর ভীষণ আবেদনময়ী।” দিঘি লেখেন, “মিথিলা আপু অসাধারণ অভিনয় করে। আপুর জন্য শুভকামনা।” জনি আলম লেখেন, “অনেক সুন্দর সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ্ তায়ালা আপনাকে। বিউটিফুল গার্ল।” তানিয়া আক্তার লেখেন, “অসম্ভব সুন্দর।” তবে কেউ কেউ আক্রমণ করেও মন্তব্য করেছেন। আপাতত দুই শিবিরে ভাগ হয়ে তর্কযুদ্ধে লিপ্ত নেটিজেনরা।
আরো পড়ুন:
তারাদের ভার্চুয়াল কলমে বৈশাখের শুভেচ্ছা
তাহসানের বিয়ে নিয়ে যা বললেন মিথিলা
মডেল-অভিনেত্রীর বাইরেও মিথিলার একাধিক পরিচয় রয়েছে। একাধারে গবেষক, শিক্ষক, কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার। শুধু তাই নয়, একজন লেখক এবং উন্নয়নকর্মীও। গবেষণা বিষয়ক লেখালেখির পাশাপাশি শিশুদের জন্য বইও লেখেন।
ব্যক্তিগত জীবনে কলকাতার সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন মিথিলা। অভিনয়, পেশাগত দায়িত্ব ও স্বামী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলে কখনো বাংলাদেশে, কখনো কলকাতায়, কখনো তাকে ছুটে যেতে বিশ্বের অন্য কোনো দেশে।
মিথিলা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন এফ এস নাঈম। তাছাড়াও অভিনয় করেছেন মনিরা মিঠু, ফজলুর রহমান বাবু, আজাদ আবুল কালাম, শাহেদ আলী প্রমুখ। অরুণ চৌধুরী পরিচালিত সিনেমাটি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায়।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান সংস্কার ও বিচার দেখতে চায় খেলাফত মজলিস
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। তবে দলটি মনে করে, নির্বাচনের আগে সংস্কার, বিচার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সম্প্রতি প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রে বেশ কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে দলটি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দলটির পক্ষ থেকে এসব দাবি তোলা হয় বলে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, নির্বাচনের আগেই দৃশ্যমান সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি। গণহত্যাকারী পতিত ফ্যাসিস্টদের বিচারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রয়োজন। পেশিশক্তি, কালোটাকার প্রভাবমুক্ত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে হবে। জন–আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বৈঠকে বলা হয়, সম্প্রতি প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রে বেশ কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এগুলোর উল্লেখ করে বলা হয়, জুলাই ঘোষণাপত্রের ১৩তম দফায় এক-এগারো সরকার ও ২০০৮ সালে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর পাতানো নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ১৭তম দফায় অভ্যুত্থানের শহীদের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার উল্লেখ করা হয়েছে, যা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখিত সংখ্যা থেকে অনেক কম।
এ ছাড়া ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে রাতের আঁধারে আলেম-উলামা ও ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা, ২০১৮ সালে ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক দমন-নিপীড়ন, ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে ২১ জন মানুষকে হত্যা—এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়নি বলে জানান খেলাফত মজলিসের নেতারা। অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র সংশোধনের দাবি জানিয়ে তাঁরা বলেন, এসব বিষয় সংশোধন করে জুলাই ঘোষণাপত্রে সংযুক্ত করা না হলে তা অপূর্ণাঙ্গ, অভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থি ও জাতির জন্য হতাশাজনক হবে।
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী প্রমুখ।