‘শতবর্ষ বেঁচে থাকার তো কোন দরকার নেই’
Published: 21st, June 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারকারা বেশির ভাগ সময়ই সরব থাকেন। প্রকাশ করেন তাদের কাজের খবরসহ ব্যক্তি জীবনের নানা ঘটনা। কখনো কখনো সেগুলোই বৈচিত্র্য হয়ে ধরা দেয় ভক্তদের কাছে। একনজরে দেখে নিতে পারেন আজ ফেসবুকের পাতা থেকে তারকাদের মনের কথা।
পুরনো এই ছবিটি শেয়ার করে ড্যাশিং হিরো ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা লিখেছেন, ‘শতবর্ষ বেঁচে থাকার তো কোন দরকার নেই। এমন ভালো কিছু করো যাতে মানুষের অন্তরে হাজার বছর বেঁচে থাকতে পারো।’
‘এশা মার্ডার’ সিমের সঙ্গে ছবিটি পোস্ট করে আজমেরি হক বাঁধন লিখেছেন, ‘আবেগ এবং উৎকর্ষতার সাথে তৈরি একটি চলচ্চিত্র উপভোগ করতে আমার এবং আমার দলের সাথে যোগ দিন। আসুন একসাথে এটি উপভোগ করি!’
সংগীতশিল্পী হবিব ওয়াহিদের সঙ্গে ছবিটি পোস্ট করে ইমরান মাহমুুদুল লিখেছেন, ‘আমার দিনগুলো সব যায় হারিয়ে আধারে। আমার দু চোখ যখন পায়না খুঁজে তোমারে। সঙ্গে জুরে দিয়েছেন ভালোবাসার চিহ্ন।
নতুন একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে সংগীতশিল্পী আখিঁ আলমগীর লিখেছেন, ‘টিয়া রঙে রাঙানো।’
ছবিটি পোস্ট করে অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি লিখেছেন, ‘ভালো একটি দিন।’
ফেসবুকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান লিখেছেন, ‘এই হাওড় তোমার চেয়ে অনেক সুন্দর!'
ছবিটি পোস্ট করে সংগীতশিল্পী সালমা লিখেছেন, ‘এত মায়া দিওনা। মায়া দিয়া ভুইলা যাইও না।’
পুরনো একটি ছবি পোস্ট করে নায়িকা মুনমুন লিখেছেন, একটি ছবির মহরত অনুষ্ঠানে আমার মা আর মালতী আন্টির সাথে আলেক ভাই। মালতী দেবী আন্টি ছিলেন প্রযোজক-অভিনেত্রী ও আমাদের ফিল্মের সম্মানিত একজন যোদ্ধা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প স ট কর
এছাড়াও পড়ুন:
অল্প দুধের সঙ্গে পানি ও রাসায়নিক মিশিয়ে নকল দুধ, স্বামী-স্ত্রীর কারাদণ্ড
অল্প দুধের সঙ্গে পানি ও রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে শৌচাগারে যন্ত্র বসিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল নকল দুধ। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করা হতো প্রায় ৪০ মণ দুধ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে এমন একটি নকল দুধ তৈরি কারখানার সন্ধান পেয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ নকল দুধ তৈরির সরঞ্জামসহ দুজনকে আটক করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ৩০ মণ নকল দুধ জব্দ করে নষ্ট করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সানাউল মোরশেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন মোহাম্মদ আলহাজ্ব উদ্দিন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের মো. তারেক হোসেন (২৬) ও তাঁর স্ত্রী মুন্নি খাতুন (২০)। তাঁদের মধ্যে তারেককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং মুন্নি খাতুনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তারেক হোসেনের বড় ভাই শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তাঁদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে নকল দুধ তৈরি হচ্ছিল। এর আগে দুবার শফিকুলকে নকল দুধ তৈরির অপরাধে এক লাখ টাকা করে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে তিনি বেশ কিছুদিন নকল দুধ তৈরি থেকে বিরত ছিলেন। এরপর আবার নকল দুধ তৈরি শুরু করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর ১২টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের বাড়িতে অভিযান চালান। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে শফিকুল পালিয়ে যান। তবে বাড়িটির শৌচাগারে নকল দুধ তৈরির সময় তারেক ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করা হয়।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সানাউল মোরশেদ জানান, নকল দুধ তৈরির যন্ত্রে শব্দ হওয়ার কারণে তাঁরা সেটি শৌচাগারে বসিয়েছিলেন। যন্ত্র চালানোর সময় বাড়িতে উচ্চ শব্দে গান বাজানো হতো। চক্রটি দিনে প্রায় ৪০ মণ নকল দুধ তৈরি করে বিভিন্ন দুধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করে আসছিলেন। তাঁরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে নকল দুধ তৈরির কথা স্বীকার করেছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন মোহাম্মদ আলহাজ্ব উদ্দিন বলেন, সাধারণত গুরুর দুধে ৩ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত ফ্যাট থাকে। কিন্তু নকল এই দুধে প্রায় ১৩ শতাংশ ফ্যাট পাওয়া গেছে, যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই দুধপানে লিভার, কিডনিসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।