বাসায় ডেকেছিল ইয়ামাল, দাবি পর্ন তারকার
Published: 21st, June 2025 GMT
লামিন ইয়ামালের বয়স এখনো ১৮ হয়নি। আইনত এখনো শিশু এই বার্সা তারকা। কিন্তু বয়সে বেশ বড় মডেলদের প্রতি তার আকর্ষণের একের পর এক খবর আসতে শুরু করেছে।
দু’দিন আগে ২৯ বছর বয়সী অনলি ফ্যানস (এডাল্ড অ্যাপ) মডেল ফাতি ভাসকেজের সঙ্গে ঘুরতে যান ইয়ামাল। তারা প্রেম করছেন বলে গুঞ্জন বের হয়।
খবরে ইয়ামাল ভক্তরা ফাতির প্রতি বাজে মন্তব্য করা শুরু করলে তিনি জানান, ইয়ামালের সঙ্গে যেসব ছবি বেরিয়েছে তার বাইরে কোন সম্পর্ক তাদের নেই। সামাজিকভাবে হেয় করার প্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
এরপরই সংবাদ মাধ্যমে খবর আসে, ২৯ বছর বয়সী সাবেক পর্ন তারকা ক্লদিও বাভেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ইয়ামালের। বিয়ষনি নিয়ে ইয়ামাল দাবি করেছেন, বাভেল তাকে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি দেখা করেননি। তাদের কখনো কোথাও দেখা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক পর্ন তারকা বাভেল। তিনি দাবি করেছেন, ইয়ামালই হাজার হাজার বার্তা পাঠিয়ে তাকে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। বাসায় ডেকেছিল। কিন্তু তার বয়স কম হওয়ায় তিনি সাড়া দেননি। ইয়ামালের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কয়েকবার দেখা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন বাভেল।
তিনি এক ইনস্টা বার্তায় বলেছেন, ‘প্রথমত, এটা নিয়ে আমি কখনো কথা বলতেই চাইনি। কিন্তু ইয়ামাল যেহেতু বলেই ফেলেছে, কিছু বিষয় পরিষ্কার করা দরকার। সে দাবি করেছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে। আসলে সে একা থাকে। সে বলেছে, আমার প্রস্তাব নাকচ করেছে। অথচ সেই আমাকে বারবার দেখা করার জন্য খোঁচাখুঁচি করত।
কিন্তু আমি কখনো এতো ছোটো কারো সঙ্গে সম্পর্কে যাইনি। কখনো তার সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করিনি। আমার অর্থ বা খ্যাতির লোভ ছিল না। সে আমাকে বাসায় ডেকেছিল। আমি বলেছিলাম- তুমি অনেক ছোট। সে জবাবে বলেছিল- সেটা কোন সমস্যা নয়। এখনই তো সময়। আমি বলেছিলাম- পুলিশ (শিশু যৌনাচারে) আমাকে ধরলে তুমি ছাড়াবে তো। সে বলেছিল- এমন কিছু হবে না, নিশ্চিত থাকো।’
এর আগে ইয়ামালের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে প্রশ্নের মুখে ফাতি ভাসকেস বলেন, ‘আমার এমন কী বয়স, ৩০ই হয়নি। আমি তো কাউকে হত্যা করিনি। তার সঙ্গে ক’দিন কিছু সময় কাটিয়েছি কেবল। সেটাও ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে অতটুকুই। এর বাইরে কিছু বলতে চাই না, কারণ তাদের অপমানের মাত্র সীমাহীন।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মাসে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ৬৫৭৭ কোটি টাকা
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই–আগস্ট) শুল্ক–কর আদায়ে ঘাটতি হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। আন্দোলন থেমে যাওয়ার পরও রাজস্ব আদায়ে ভালো করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
আজ রোববার গত জুলাই–আগস্টের শুল্ক–কর আদায়ের হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে এনবিআর। সেখানে দেখা গেছে, গত জুলাই–আগস্টে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এ সময়ে আদায় হয়েছে ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।
গত মে ও জুনে এনবিআরের আন্দোলনের কারণে গত অর্থবছরের বড় আকারের রাজস্ব ঘাটতি হয়। শেষ দুই মাসে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব হয়নি। আন্দোলনের নানা কর্মসূচিতে রাজস্ব আদায় বিঘ্ন হয়। কিন্তু জুলাই–আগস্টেও রাজস্ব আদায়ে গতি আসেনি।
এনবিআরের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আন্দোলনের পর এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বরখাস্ত ও বদলি–আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজস্ব আদায়ে মনোযোগ কম।
এনবিআরের হিসাবে, এ বছরের জুলাই–আগস্টে ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এই খাত থেকে আদায় হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া কাস্টমস খাতে ১৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা এবং আয়করে ১৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা আদায় হয়।