লামিন ইয়ামালের বয়স এখনো ১৮ হয়নি। আইনত এখনো শিশু এই বার্সা তারকা। কিন্তু বয়সে বেশ বড় মডেলদের প্রতি তার আকর্ষণের একের পর এক খবর আসতে শুরু করেছে।

দু’দিন আগে ২৯ বছর বয়সী অনলি ফ্যানস (এডাল্ড অ্যাপ) মডেল ফাতি ভাসকেজের সঙ্গে ঘুরতে যান ইয়ামাল। তারা প্রেম করছেন বলে গুঞ্জন বের হয়।

খবরে ইয়ামাল ভক্তরা ফাতির প্রতি বাজে মন্তব্য করা শুরু করলে তিনি জানান, ইয়ামালের সঙ্গে যেসব ছবি বেরিয়েছে তার বাইরে কোন সম্পর্ক তাদের নেই। সামাজিকভাবে হেয় করার প্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।

এরপরই সংবাদ মাধ্যমে খবর আসে, ২৯ বছর বয়সী সাবেক পর্ন তারকা ক্লদিও বাভেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ইয়ামালের। বিয়ষনি নিয়ে ইয়ামাল দাবি করেছেন, বাভেল তাকে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি দেখা করেননি। তাদের কখনো কোথাও দেখা হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক পর্ন তারকা বাভেল। তিনি দাবি করেছেন, ইয়ামালই হাজার হাজার বার্তা পাঠিয়ে তাকে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। বাসায় ডেকেছিল। কিন্তু তার বয়স কম হওয়ায় তিনি সাড়া দেননি। ইয়ামালের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কয়েকবার দেখা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন বাভেল।

তিনি এক ইনস্টা বার্তায় বলেছেন, ‘প্রথমত, এটা নিয়ে আমি কখনো কথা বলতেই চাইনি। কিন্তু ইয়ামাল যেহেতু বলেই ফেলেছে, কিছু বিষয় পরিষ্কার করা দরকার। সে দাবি করেছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে। আসলে সে একা থাকে। সে বলেছে, আমার প্রস্তাব নাকচ করেছে। অথচ সেই আমাকে বারবার দেখা করার জন্য খোঁচাখুঁচি করত।

কিন্তু আমি কখনো এতো ছোটো কারো সঙ্গে সম্পর্কে যাইনি। কখনো তার সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করিনি। আমার অর্থ বা খ্যাতির লোভ ছিল না। সে আমাকে বাসায় ডেকেছিল। আমি বলেছিলাম- তুমি অনেক ছোট। সে জবাবে বলেছিল- সেটা কোন সমস্যা নয়। এখনই তো সময়। আমি বলেছিলাম- পুলিশ (শিশু যৌনাচারে) আমাকে ধরলে তুমি ছাড়াবে তো। সে বলেছিল- এমন কিছু হবে না, নিশ্চিত থাকো।’

এর আগে ইয়ামালের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে প্রশ্নের মুখে ফাতি ভাসকেস বলেন, ‘আমার এমন কী বয়স, ৩০ই হয়নি। আমি তো কাউকে হত্যা করিনি। তার সঙ্গে ক’দিন কিছু সময় কাটিয়েছি কেবল। সেটাও ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে অতটুকুই। এর বাইরে কিছু বলতে চাই না, কারণ তাদের অপমানের মাত্র সীমাহীন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বল ছ ল র বয়স

এছাড়াও পড়ুন:

চীনের রণতরি উদ্বোধন, চাপে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রণতরিটি নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হয়।

ফুজিয়ান হলো চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরি, যা আধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমে সজ্জিত। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিমানগুলো আরও বেশি গতিতে উড্ডয়ন করতে পারবে।

এটি চীনের নৌ সক্ষমতায় এক বড় অগ্রগতি। কারণ, বর্তমানে জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে চীনের নৌবাহিনীই বিশ্বের সবচেয়ে বড়। সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবিশ্বাস্য গতিতে নৌবাহিনী সম্প্রসারণ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ফুজিয়ানের সমতল ডেকে থাকা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমের সাহায্যে তিন ধরনের যুদ্ধবিমান উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই রণতরি ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহনকারী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে পারবে, যা আরও দূরের শত্রু ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। ফলে এটি চীনের প্রথম দুটি রণতরি—রুশ নির্মিত ‘লিয়াওনিং’ ও ‘শানডং’-এর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফুজিয়ানকে চীনের নৌবাহিনীর বিকাশে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

বিশ্বে বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই এমন একটি বিমানবাহী রণতরি রয়েছে, যাতে ফুজিয়ানের মতো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ