মমতার সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ সোমবার
Published: 21st, June 2025 GMT
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আগামী সোমবার সাক্ষাৎ করবেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, রিয়াজ হামিদুল্লাহ কলকাতা পৌঁছেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসনের সদরদপ্তর নবান্নে যাবেন। এ সময় হামিদুল্লাহ সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি ভাঙচুর নিয়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরবেন। এছাড়া সীমান্ত সমস্যা নিয়েও কথা হতে পারে।
সম্প্রতি সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি ভাঙচুর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কলকাতা। কলকাতাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করে বিজেপি। এ ঘটনায় তদন্তের দাবিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলে যেন ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসছেন নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লা।
দীর্ঘ নয় বছর পর কোনো বাংলাদেশি হাইকমিশনার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাচ্ছেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালে তৎকালীন ঢাকার হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আলির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মমতা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কলক ত ম খ যমন ত র স ক ষ ৎ কর কলক ত
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সহ-উপাচার্য, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। সংগঠনটি বলছে, ছাত্র নামক সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ (পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন) থাকবে।
সোমবার রাতে রাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. আবদুল আলিম এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মাদ আমীরুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাবির সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) দাপ্তরিক কাজ শেষে দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠেন। এ অবস্থায় কতিপয় ছাত্র তাঁকে গাড়ি থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয় ও অশালীন উক্তি করে। এরপর তিনি হেঁটে তাঁর বাসভবনে ঢুকতে গেলে প্রধান ফটকে তারা তালা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে সহ-উপাচার্য জুবেরী ভবনের দিকে যেতে চাইলে এই ছাত্র নামক সন্ত্রাসীরা তাঁকেসহ প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা করে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বেলা ১১টায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ‘সন্ত্রাসীদের’ বহিষ্কার এবং ক্যাম্পাসের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা ও শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোরালো দাবি জানান।