সম্পর্কের প্রথম দিকে ভালোবাসা থাকলেও কখনও ফাটল ধরা অস্বাভাবিক নয়। অনেক সময় আগে থেকেই সম্পর্কের বিচ্ছেদের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। অভিযোগ আর অভিমানের পাহাড় জমে সম্পর্ক হয় তিক্ত। তাই আগে থেকে সতর্ক হওয়া দরকার। কিছু কিছু লক্ষণ দেখা দিলে সম্পর্ক থেকে বের হওয়াই ভালো। যেমন-

বন্ধুত্ব নষ্ট
সম্পর্কে বন্ধুত্ব থাকা জরুরি। সেই বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে গেলে কোনও সম্পর্কই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। যদি দেখেন সম্পর্কের আর বন্ধুত্ব নেই তাহলে তা দ্রুতই শেষ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।  

কথা না শোনা
সঙ্গী নিয়ে মনের মধ্যে মান-অভিমান কিংবা অভিযোগ থাকে অনেক সময়। কিন্তু সঙ্গীর যদি আপনার কথা শোনার মতো সময় না থাকে তাহলে সম্পর্ক না রাখাই ভালো।   সঙ্গী যদি প্রয়োজনে পাশে না থাকে, তার থেকে যদি কোনও মেন্টাল সাপোর্ট না পান তাহলে এমন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন। 

সম্মানহীনতা
সম্পর্কে শ্রদ্ধা এবং সম্মান খুবই জরুরি। একে-অন্যের প্রতি যদি সম্মান না থাকে তাহলে ভালোবাসা নিয়েই প্রশ্ন থেকে যায়। সম্পর্কে খুনসুটি, বন্ধুত্ব, ঝগড়াঝাটি থাকবেই, কিন্তু দিনের শেষে পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকাও জরুরি। তা না হলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বন ধ ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

চীনের রণতরি উদ্বোধন, চাপে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রণতরিটি নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হয়।

ফুজিয়ান হলো চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরি, যা আধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমে সজ্জিত। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিমানগুলো আরও বেশি গতিতে উড্ডয়ন করতে পারবে।

এটি চীনের নৌ সক্ষমতায় এক বড় অগ্রগতি। কারণ, বর্তমানে জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে চীনের নৌবাহিনীই বিশ্বের সবচেয়ে বড়। সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবিশ্বাস্য গতিতে নৌবাহিনী সম্প্রসারণ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ফুজিয়ানের সমতল ডেকে থাকা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমের সাহায্যে তিন ধরনের যুদ্ধবিমান উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই রণতরি ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহনকারী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে পারবে, যা আরও দূরের শত্রু ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। ফলে এটি চীনের প্রথম দুটি রণতরি—রুশ নির্মিত ‘লিয়াওনিং’ ও ‘শানডং’-এর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফুজিয়ানকে চীনের নৌবাহিনীর বিকাশে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

বিশ্বে বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই এমন একটি বিমানবাহী রণতরি রয়েছে, যাতে ফুজিয়ানের মতো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ