সম্পর্কের প্রথম দিকে ভালোবাসা থাকলেও কখনও ফাটল ধরা অস্বাভাবিক নয়। অনেক সময় আগে থেকেই সম্পর্কের বিচ্ছেদের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। অভিযোগ আর অভিমানের পাহাড় জমে সম্পর্ক হয় তিক্ত। তাই আগে থেকে সতর্ক হওয়া দরকার। কিছু কিছু লক্ষণ দেখা দিলে সম্পর্ক থেকে বের হওয়াই ভালো। যেমন-
বন্ধুত্ব নষ্ট
সম্পর্কে বন্ধুত্ব থাকা জরুরি। সেই বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে গেলে কোনও সম্পর্কই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। যদি দেখেন সম্পর্কের আর বন্ধুত্ব নেই তাহলে তা দ্রুতই শেষ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কথা না শোনা
সঙ্গী নিয়ে মনের মধ্যে মান-অভিমান কিংবা অভিযোগ থাকে অনেক সময়। কিন্তু সঙ্গীর যদি আপনার কথা শোনার মতো সময় না থাকে তাহলে সম্পর্ক না রাখাই ভালো। সঙ্গী যদি প্রয়োজনে পাশে না থাকে, তার থেকে যদি কোনও মেন্টাল সাপোর্ট না পান তাহলে এমন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন।
সম্মানহীনতা
সম্পর্কে শ্রদ্ধা এবং সম্মান খুবই জরুরি। একে-অন্যের প্রতি যদি সম্মান না থাকে তাহলে ভালোবাসা নিয়েই প্রশ্ন থেকে যায়। সম্পর্কে খুনসুটি, বন্ধুত্ব, ঝগড়াঝাটি থাকবেই, কিন্তু দিনের শেষে পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকাও জরুরি। তা না হলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বন ধ ত ব
এছাড়াও পড়ুন:
গফরগাঁওয়ে নিখোঁজর পাঁচ দিন পর জলাশয়ে মিলল শিশুর মরদেহ
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর আলিফ খান (৫) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত আলিফ উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের স্বল্পছাপিলা গ্রামের সৌদিপ্রবাসী কানন খানের ছেলে। সে স্বল্পছাপিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
গত বুধবার বেলা দেড়টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় আলিফ। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে পাগলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আজ বিকেলে বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দক্ষিণে প্রতিবেশী ওয়াসিম খানের কচুরিপানাযুক্ত পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পরে পাগলা থানা-পুলিশ জলাশয় থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
শিশুটির প্রতিবেশী রাহাত খান বলেন, সৌদিপ্রবাসী কানন খানের একমাত্র ছেলে ছিল আলিফ। অনেকে বলছেন, শিশুটিকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই পরিবারের সঙ্গে কারও বিরোধ নেই।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, পাঁচ দিনে শিশুটির মরদেহ গলতে শুরু করেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।