উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটারে হঠাৎ করেই গুগলের তৈরি ক্রোম ব্রাউজার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বন্ধের পর বারবার চেষ্টার পরও ব্রাউজারটি চালু হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেক ব্যবহারকারী। ধারণা করা হচ্ছে, মাইক্রোসফটের ‘ফ্যামিলি সেফটি’–সুবিধার ত্রুটির কারণেই দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অনেক উইন্ডোজ ব্যবহারকারী কম্পিউটারে ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারছেন না।

শিশু-কিশোরদের অনুপযুক্ত ওয়েবসাইট থেকে দূরে রাখতে মাইক্রোসফটের কনটেন্ট ফিল্টারিং ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা সুবিধা ‘ফ্যামিলি সেফটি’ ব্যবহার করেন অনেক অভিভাবক। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে ফ্যামিলি সেফটি–সুবিধা ব্যবহার করা অনেক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, ফ্যামিলি সেফটি–সুবিধা চালু থাকলে ক্রোম ব্রাউজার চালু হচ্ছে না। এ বিষয়ে ক্রোম ব্রাউজারের সহায়তা বিভাগের ব্যবস্থাপক অ্যালেন টি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি দল সমস্যাটি তদন্ত করে দেখেছে যে মাইক্রোসফটের ফ্যামিলি সেফটি সক্রিয় থাকলে কিছু উইন্ডোজ ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে ক্রোম ব্রাউজার চালু হচ্ছে না।’

ফ্যামিলি সেফটি–সুবিধা চালু থাকলে ক্রোম ব্রাউজার চালু না হলেও অন্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি ব্রাউজার ব্যবহার করা যাচ্ছে। তবে মাইক্রোসফট কবে নাগাদ এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান দেবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ৩ জুন প্রথমবারের মতো এ নিয়ে অভিযোগ আসার পর থেকে দুই সপ্তাহের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা সমস্যাটির সমাধান করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের ক্রোম ব্রাউজার থেকে দূরে রাখতে মাইক্রোসফট এর আগেও নানা কৌশলের কারণে সমালোচিত হয়েছে। ব্রাউজার পছন্দে প্রভাব ফেলতে প্রতিষ্ঠানটি কখনো পপআপ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়েছে, কখনো গুগলের ক্রোম ডাউনলোড পেজে জরিপ পরিচালনা করেছে, আবার কখনো এআইভিত্তিক বিভ্রান্তিকর তথ্য দেখিয়েছে। এমনকি চলতি বছর বিং সার্চ ব্যবহার করে এমন ফলাফল দেখানো হয়েছে, যাতে ব্যবহারকারীদের মনে হয়, তাঁরা গুগলে রয়েছেন।

সূত্র: দ্য ভার্জ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর উইন ড জ সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

চীনের রণতরি উদ্বোধন, চাপে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রণতরিটি নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হয়।

ফুজিয়ান হলো চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরি, যা আধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমে সজ্জিত। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিমানগুলো আরও বেশি গতিতে উড্ডয়ন করতে পারবে।

এটি চীনের নৌ সক্ষমতায় এক বড় অগ্রগতি। কারণ, বর্তমানে জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে চীনের নৌবাহিনীই বিশ্বের সবচেয়ে বড়। সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবিশ্বাস্য গতিতে নৌবাহিনী সম্প্রসারণ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ফুজিয়ানের সমতল ডেকে থাকা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমের সাহায্যে তিন ধরনের যুদ্ধবিমান উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই রণতরি ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহনকারী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে পারবে, যা আরও দূরের শত্রু ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। ফলে এটি চীনের প্রথম দুটি রণতরি—রুশ নির্মিত ‘লিয়াওনিং’ ও ‘শানডং’-এর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফুজিয়ানকে চীনের নৌবাহিনীর বিকাশে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

বিশ্বে বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই এমন একটি বিমানবাহী রণতরি রয়েছে, যাতে ফুজিয়ানের মতো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ