ইরানে অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩
Published: 23rd, June 2025 GMT
মধ্য ইরানে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলি ড্রোনের হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ’র বরাত দিয়ে সোমবার (২৩ জুন) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মধ্য ইসফাহান প্রদেশের নাজাফাবাদ কাউন্টির গভর্নর হামিদরেজা মোহাম্মদি ফেসহারাকির বরাতে আইএসএনএ জানিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সে একজন রোগীকে অন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। ড্রোন হামলায় অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফেসহারাকি জানান, অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চালক, রোগী ও রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজন নিহত হয়েছেন। ড্রোন হামলার পর অ্যাম্বুলেন্সটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরেকটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়।
আরো পড়ুন:
‘যে আলোচনার টেবিল ইরান কখনও ছাড়েনি, সেখানে কীভাবে ফিরবে?’
ইরানে মার্কিন হামলায় ওমান, কাতার-ইরাকের উদ্বেগ
আলজাজিরার তেহরান প্রতিনিধি তোহিদ আসাদি জানিয়েছেন, গত দুই ঘণ্টা ধরে ইরানের রাজধানী তেহরানের আকাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তেহরানের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত পারচিন শহরেও ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের কারজ, শিরাজ, তাবরিজ সহ অন্যান্য শহরেও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী ইরানের পূর্বাঞ্চল ও তেহরানে নতুন হামলা সম্পন্ন করেছে। সর্বশেষ হামলায় ইরানি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করার দাবি করেছে ইসরায়েল।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
রাতের পর সকালেও একজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে পাঁচ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলা সীমান্তের চরপাড়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরেক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত শ্রমিকের নাম মোহাম্মদ হারুন ওরফে হারেজ (২৯)। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ছৈয়দাবাদ পর্দার ডেবা এলাকার নুরুল ইসলাম ছেলে। এর আগে গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেকজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দুর্ঘটনাটিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
গত বুধবার ভোরে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামটিতে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ সময় আগুনে পুরো গুদাম পুড়ে যায়। দগ্ধ হন ১০ জন। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ওই দিনই অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় চারজনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে বাকি ছয়জনকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
মোহাম্মদ হারুনের মৃত্যুর বিষয়টি চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সোলাইমান ফারুকী নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাটির পর প্রথমে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে। পরে নিয়ে যাওয়া ছয়জনের মধ্যে একজন আজ মারা গেছেন। বাকি পাঁচজন সেখানে চিকিৎসাধীন, তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।