যুদ্ধবিরতির পর ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করার পর ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেটি প্রতিহত করেছে। 

এ হামলার পর ইসরায়েলের জনগণকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।  

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এর জবাবে তেহরানের কেন্দ্রে ইরানের সরকারি স্থাপনায় জোরালো হামলা করতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। খবর আল জাজিরার

এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর জানানোর পর দেশটির কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ সামাজিক মাধ্যম এক্সে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘তেহরান কাঁপবে’।

এর আগে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে দাবি করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দেশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দয়া করে, কেউ এটা লঙ্ঘন করবেন না।’

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা লেখেন ট্রাম্প। এর আগে ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ইসরায়েল ও ইরান পুরোপুরি ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। খবর বিবিসির।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল য ক তর ষ ট র ইসর য় ল র

এছাড়াও পড়ুন:

জেলা প্রশাসকের সাথে ইসলামী আন্দোলন’র দায়িত্বশীলদের মতবিনিময়

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের দায়িত্বশীলবৃন্দ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়ার সাথে বিশেষ মতিবিনিময় করেন। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের সভাপতি যথাক্রমে মাও. দ্বীন ইসলাম ও মুফতি মাসুম বিল্লাহ।

মহানগর সহ-সভাপতি মুহা. নুর হোসেন, সেক্রেটারি মুহা. সুলতান মাহমুদ, জেলা সেক্রেটারি মুহা. জাহাঙ্গীর কবির, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. শামসুল আলম, অর্থ সম্পাদক মুহা. ইসমাইল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এসময় জেলা প্রশাসকের সাথে ৭টি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। 

বিষয়গুলো হলো-
১. মাদক এবং কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে শূন্য নীতি গ্রহণ করা এবং এগুলোর সাথে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা।

২. সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-দখলের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে রাজনৈতিক  পক্ষপাতহীন পদক্ষেপ নেওয়া।

৩. করোনা মোকাবিলায় আইসিইউ সেবা চালু। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত করোনা টেষ্টের কীট সরবরাহ করা।

৪. ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকারে জনসচেতনার উদ্যোগ গ্রহণ । ডেঙ্গু শনাক্তে পর্যাপ্ত  কীট ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

৫. যানজট নিরোসনে থ্রি হুইলার নিয়ন্ত্রণ  এবং ফুটপাতকে পথচারীদের চলাচলের উপযুক্ত করার ব্যবস্থা করা।

৬. দ্রুত রাস্তাঘাট মেরামত কাজ সম্পন্ন করে জনভোগান্তি দুর করা

৭. আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন আমলে সংগঠিত গুম-খুন হত্যাসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে আলোচনা হয়।

এছাড়াও এ সময় আগামী ২৮ জুলাই ইসলামী আন্দোলনের ঢাকায় মহাসমাবেশ এর প্রচারপত্র জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ