২ জুন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন। ২২ জুন বাজেটটি পাস হয়। এবারের বাজেটটি নেহাতই গতানুগতিক ধারা অনুসরণ করেছে। এরপরেও আমি অর্থ উপদেষ্টাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি হাসিনা সরকার ভুয়া পরিসংখ্যান উপস্থাপনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে যে ফোলানো-ফাঁপানো চিত্র উপস্থাপন করার ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছিল, সেটিকে সংশোধনের সাহসী প্রয়াসের জন্য।

২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত উপস্থাপিত প্রতিটি বাজেটে প্রায় প্রতিটি সামষ্টিক পরিসংখ্যানকে ‘অবিশ্বাস্য ডক্টরিং’–এর চরম দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিলেন হাসিনার ২০০৯-১৮ মেয়াদের পরিকল্পনামন্ত্রী ও ২০১৯-২৪ মেয়াদের অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল। ওই সব ভুয়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে পরবর্তী অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলীর উপস্থাপিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটও পরিত্রাণ পায়নি।

সে জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদকে অনেকগুলো তিক্ত বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। যেমন—১.

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের সময়ের তুলনায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির পরিমাণকে কমিয়ে দেখাতে হয়েছে। এই নতুন হিসাব অনুযায়ী ২০২৫ সালের জুনে দেশের মোট জিডিপি প্রাক্কলিত হয়েছে ৪৬২ বিলিয়ন ডলার।

২.

দেশের জনগণের মাথাপিছু জিএনআই নির্ধারিত হয়েছে ২ হাজার ৮২০ ডলার, অথচ হাসিনা সরকারের উপস্থাপিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তা বেশি দেখানো হয়েছিল। হাসিনা সরকার মাথাপিছু জিএনআই বাড়িয়ে দেখানোর জন্য মোট জিডিপির পরিমাণকে মারাত্মকভাবে ফাঁপিয়ে দেখাত এবং জনসংখ্যাকে কমিয়ে দেখাত। ফলে অর্থনীতির প্রকৃত স্বাস্থ্য সম্পর্কে দেশে-বিদেশে মারাত্মক ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল। বলা হচ্ছিল যে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম উচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশে পরিণত হয়েছে। এই কল্পকাহিনির মাধ্যমে স্বৈরশাসক হাসিনা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সফলতার মিথ্যা বয়ান সৃষ্টি করে গেছেন। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের তিন তিনটি একতরফা ভোটের প্রহসনকে জনগণের দৃষ্টির আড়ালে নিয়ে যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের এহেন ভুয়া দাবি অপব্যবহৃত হয়েছে হাসিনার স্বৈরশাসনের পুরো মেয়াদে।

৩.

গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলিত হয়েছে ৩.৯৭ শতাংশ, অথচ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের সময় বলা হয়েছিল ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৬ শতাংশ। বলা বাহুল্য, ওই উচ্চাশা বাস্তবসম্মত ছিল না। অবশ্য ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের টালমাটাল দিনগুলোতে এবং পরবর্তী ৯ মাসের বিপর্যস্ত অর্থনীতির পালা পরিবর্তনের ধকলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে ৩.৯৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি একেবারে ফেল্না বলা যাবে না। এই প্রবৃদ্ধির হারকে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৫.৫ শতাংশে উন্নীত করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়। এই ঘোষিত প্রবৃদ্ধির হারকে অনেক বিশ্লেষক অতি উচ্চাভিলাষী আখ্যা দিলেও আমি এর পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মন্তব্য করতে চাই না, আমি এই প্রস্তাবিত হার অর্জনে সরকারের সাফল্য কামনা করছি।

৪.

বিগত স্বৈরশাসনের শেষের দুবছর সরকারের ভাষ্য মোতাবেক দেশের মূল্যস্ফীতির হার মারাত্মকভাবে বেড়ে ১১ শতাংশ অতিক্রম করেছিল। প্রকৃতপক্ষে মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ১৪ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল বলে বেশ কয়েকজন অর্থনীতিবিদ মতপ্রকাশ করেছিলেন। সেখান থেকে ২০২৫ সালের জুনে মূল্যস্ফীতির হারকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৯.১৭ শতাংশে নামিয়ে ফেলেছে, যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আগামী বছরের জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতির হারকে ৬.৫ শতাংশে টেনে নামানোর লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়েছে বাজেট বক্তৃতায়। অনেক বিশ্লেষক এই লক্ষ্যকেও উচ্চাভিলাষী আখ্যা দিয়েছেন। আমি এটাকে অর্জনযোগ্য বিবেচনা করছি।

৫.

হাসিনা সরকার ঘোষিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেট বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। প্রকৃতপক্ষে ওই প্রস্তাবিত বাজেট বরাদ্দ অর্জিত হবে না বলে বাজেট ঘোষণার পর থেকেই ধারণা করা হয়েছিল। এবারের বাজেট বক্তৃতায় ঘোষিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত ও সম্পূরক বাজেটে ব্যয় বরাদ্দ প্রাক্কলিত হয়েছে ৭ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। আর ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বাজেট বরাদ্দ প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। অনেক বিশ্লেষক বলতে চান, এটা গত বছরের ঘোষিত বাজেট বরাদ্দ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা কম। এমনকি বলা হচ্ছে, পরবর্তী বছরের বাজেটকে আগের বছরের চেয়ে কমিয়ে ফেলা সংকোচনমূলক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক। আমি তা মনে করি না; বরং আমি মনে করি, পরিসংখ্যানের ‘ইচ্ছাকৃত ডক্টরিং’ পরিহার করার সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে এই পরিসংখ্যানগত সংশোধন প্রকাশের মাধ্যমে।

৬.

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার প্রাক্কলিত হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। মনে হতে পারে যে এখানেও সংকোচনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ব্যাপকভাবে অপব্যবহৃত হতো ক্ষমতাসীন দল বা জোটের নেতা-কর্মীদের লুটপাটের খাই মেটানোর জন্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় প্রাতিষ্ঠানিক লুটপাট খানিকটা কম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

৭.

বাজেটে ঘোষিত রাজস্ব আয়ের টার্গেটকে বরং আমার কাছে উচ্চাভিলাষী মনে হচ্ছে, বর্তমান বাস্তবতায় ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় আহরণ সত্যিকারভাবে অর্জনযোগ্য মনে হয়নি আমার কাছে। বিশেষত, এনবিআরকে যে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকার টার্গেট দেওয়া হয়েছে, সে টার্গেট পূরণ দুঃসাধ্য হবে। রাজস্ব আয়ের টার্গেট পূরণ না হলে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণ বাড়ানো ছাড়া সরকারের গত্যন্তর থাকবে না। এটাই বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে বোধকরি।

৮.

এবারের বাজেটে শিক্ষা খাত ও স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দকে বাজেটের শতাংশ হিসেবে কমিয়ে ফেলা হয়েছে। আমি এটাকে সমর্থনযোগ্য মনে করি না। এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের বাজেট বরাদ্দে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উল্লেখযোগ্য চারিত্রিক দিকের পরিবর্তন যে প্রতিফলিত হলো না, সেটিকে আমি হতাশাজনক বিবেচনা করছি।

৯.

এবারের বাজেটের সবচেয়ে বড় খাত ঋণের সুদ পরিশোধের জন্য ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ। হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে সরকারের ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকায়। বৈদেশিক ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৩ বিলিয়ন ডলারে। হাসিনার সবচেয়ে বড় অপরাধ উন্নয়নের মিথ্যা বয়ান সৃষ্টির পাশাপাশি লুটপাটতন্ত্র কায়েম করে জাতিকে বিশাল ঋণের এই দুষ্টচক্রে বন্দী করা। এর ফলে আগামী বেশ কয়েক বছর সরকারকে বিপর্যস্ত করতেই থাকবে এই বিপুল ঋণ পরিশোধের দায়ভার।

১০.

এবারের বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আয়কর অব্যাহতির কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। কিন্তু বাজেট বক্তৃতায় ২০২৬-২৭ অর্থবছর অব্যাহতিপ্রাপ্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় উন্নীত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এটা অর্থমন্ত্রীর ২০২৫-২৬ বাজেট বক্তৃতার এখতিয়ারে পড়ে না।

মইনুল ইসলাম অর্থনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক 

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব জ ট বক ত ত য় প রব দ ধ র হ র ব জ ট বর দ দ পর স খ য ন প রস ত ব সরক র র উপস থ প র হ রক মন ত র র জন য প রক ত হয় ছ ল কর ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নিরাপদ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য দায়বদ্ধ সিটি ব্যাংক

আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা শুধু আর্থিক প্রবৃদ্ধির অংশীদার নই, বরং একটি সবুজ, নিরাপদ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্যও দায়বদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক। এই দায়িত্ববোধ থেকেই সিটি ব্যাংক কয়েক বছর ধরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পরিবেশ সংরক্ষণ ও সামাজিক উন্নয়নের পথে একের পর এক সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। 

সিটি ব্যাংক নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে টেকসই অর্থায়নের মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি স্বল্প কার্বন নির্গমনকারী, পরিবেশগত ও সামাজিকভাবে টেকসই অর্থনীতিতে রূপান্তরের জন্য সিটি ব্যাংক পুঁজি সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত
অবক্ষয়ের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায়ও সহায়তা করবে।

আমরা গর্বের সঙ্গে জানাতে চাই, সিটি ব্যাংক দেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। পাশাপাশি ২০২৪ সালে আমরা ১৩০ মেগাওয়াটের বেশি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছি। পরিবেশবান্ধব প্রকল্প অর্থায়নে আমাদের কার্যক্রমের আরেকটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো যশোর পৌরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে অর্থায়ন, যেখানে বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদিত হচ্ছে। 

খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০২৪ সালে আমরা ১ হাজার ২৩৭ কোটি টাকার বেশি অর্থায়ন করেছি, যার মাধ্যমে সরাসরি ১ লাখ ৮ হাজার ৮৮ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন। কারখানার বর্জ্য থেকে পরিবেশদূষণ রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় আমরা কম খরচে গ্রিন ঋণ প্রদান করছি। এই অর্থায়ন দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন শিল্পকারখানায় আধুনিক বায়ু পরিশোধনব্যবস্থা এবং বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থাপনের জন্য। 

আমরা ২০২৪ সালে নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ১ হাজার ৯১২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছি, যা নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে। এ ছাড়া সিটি ব্যাংকে নারীদের জন্য নিবেদিত একটি বিশেষ ব্যাংকিং বিভাগ রয়েছে, যার নাম সিটি আলো। এই বিভাগ নারীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন অ-আর্থিক সুবিধাও দিয়ে থাকে। যেমন বিশেষ দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং পেশাগত ও ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ। 

সিটি ব্যাংকের ন্যানো-লোন (সম্পূর্ণ কাগজবিহীন, পরিবেশবান্ধব ডিজিটাল ঋণ) আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে এগিয়ে নিচ্ছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধার আওতায় মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার ১৬৭ জন গ্রাহকের মধ্যে ১ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

আমাদের সব গ্রাহককে বাধ্যতামূলকভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ নীতিমালা (ইসিআর-২০২৩), বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিবেশগত ও সামাজিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নির্দেশনা (ইএসআরএম) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) পরিবেশ ও সামাজিক নীতিমালা মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করি, ব্যাংকের অর্থায়ন করা প্রতিটি প্রকল্প পরিবেশবান্ধব ও সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল।

করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রমের মাধ্যমে গত বছর আমরা ৭৯ হাজার ৪৯ জন উপকারভোগীর কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। আমাদের উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে ছিল জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন উদ্যোগ এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা। টেকসই বিদ্যুৎ শক্তির প্রসারে আমরা সম্প্রতি আয়োজন করেছি দেশের প্রথম নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রদর্শনী। সিটি ব্যাংক তার জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশবিষয়ক অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে প্রথম দেশি ব্যাংক হিসেবে জাতিসংঘের নেতৃত্বে গঠিত বৈশ্বিক উদ্যোগ-নেট-জিরো ব্যাংকিং অ্যালায়েন্স এ যুক্ত হয়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রতি অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে সিটি ব্যাংক ২০২২ সাল থেকে নিয়মিত সাসটেইনেবিলিটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।

মোহাম্মদ ফিরোজ আলম
চীফ রিস্ক অফিসার (সিআরও), সিটি ব্যাংক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগস্টে ১৬ দিনে রেমিট্যান্স ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি 
  • ২ কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
  • শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না প্রিমিয়ার লিজিং
  • ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কের মুখেও বাড়ল ভারতের ঋণমান, আরও বাড়াতে পারে এসঅ্যান্ডপি
  • ঋণ ৭০০ কোটি টাকা, ফেরত সামান্যই
  • নিরাপদ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য দায়বদ্ধ সিটি ব্যাংক
  • গত অর্থবছরে আরও সাত দেশে ওয়ালটনের ব্যবসা সম্প্রসারণ
  • ১২ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি
  • ১৬০ কোটি টাকার গৃহকর নিয়ে দ্বন্দ্ব মেটাতে যৌথ কমিটি
  • যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি ক্রয়াদেশ অনেক পোশাক কারখানায়