আমরা ভাটির মানুষ স্বপ্নচাষা/হৃদয়জুড়ে নাম লিখেছি ধর্মপাশা/মনের ডানা মেলে দিয়ে উড়ে উড়ে/ইচ্ছে হলে যাই হারিয়ে দূর হাওরে– এমন পঙক্তি উচ্চারিত হচ্ছিল সুহৃদদের কণ্ঠে। বাইরে ঝরছিল রিমঝিম বৃষ্টি। এমন আবহে সুহৃদদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে সুনামগঞ্জের সমকাল কার্যালয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় ‘সুহৃদ সাহিত্য আড্ডা’। ২৯ জুন বিকেলে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে স্বরচিত গান, ছড়া-কবিতা পাঠ ও মুক্ত আলোচনায় উঠে আসে ধর্মপাশা ও সুনামগঞ্জের সাহিত্য ও সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
উপজেলায় সুহৃদ সমাবেশের নতুন কমিটি গঠিত হওয়ার পর সুহৃদদের প্রথম সাহিত্য আড্ডা এটি। এখন থেকে ধর্মপাশা সুহৃদ সমাবেশ প্রতি শনিবার বিকেলে সাহিত্য আড্ডায় মিলিত হওয়া বিষয়ে সদস্যদের একমত পোষণ করবে। এমন আড্ডা ভাটির প্রবেশদ্বার ধর্মপাশাকে শিল্প-সাহিত্যচর্চায় আরও একধাপ নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আলোচনা পর্বে মত দেন সুহৃদরা। ধর্মপাশা সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি মাহমুদুল হাসান সামরুলের সভাপতিত্বে আড্ডা পরিচালনা করেন সাহিত্য সম্পাদক কাজী বর্ণাঢ্য। সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, যুগ্ম সম্পাদক তানজিদা আজাদ শম্পা, দপ্তর সম্পাদক নাবিল আহম্মদ, পাঠচক্র সম্পাদক শৈবাল সরকার উৎস, স্থানীয় লেখক আরিফ বাঙ্গালী, নাঈম হাসান প্রমুখ অংশ নিয়ে আড্ডাকে জমজমাট করে তোলেন। একের পর এক মুক্ত আলোচনা, গান-কবিতা আর মৃদু হাততালির সঙ্গে চায়ের চুমুকে স্বপ্নের ডানা মেলেছিলেন সবাই। সংঘবদ্ধ হয়ে গান-কবিতা উচ্চারণের এ সুযোগ যেন ভাটির জলাভূমিতে স্বপ্নের বিস্ফোরণ ঘটানোর সমান। তাই সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডায় মুক্তমনা সব কবি-সাহিত্যিকের আমন্ত্রণ।
সভায় কর্মপরিকল্পনার আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। v
সাহিত্য সম্পাদক
সুহৃদ সমাবেশ, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ)
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ স ন মগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”
এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।
ঢাকা/এমআর/মেহেদী