শেয়ার ও ইক্যুইটি, বন্ড ও ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং কমার্শিয়াল পেপারে বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে নতুন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে (মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বর) শেয়ার ও ইক্যুয়িটি, বন্ড ও ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং কমার্শিয়াল পেপারে বিনিয়োগের বিপরীতে যথাযথ প্রভিশন সংরক্ষণ করবে। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলো নির্ধারিত ত্রৈমাসিক শেষ হওয়ার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রভিশন সংরক্ষণের বিবরণীর হার্ডকপি ও সফটকপি বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে পাঠাতে হবে। 

সোমবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। 

আরো পড়ুন:

পাঁচ বছরে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন বেড়েছে ২২৮ শতাংশ

এনসিসি ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম ৫ দিন বন্ধ

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর প্রস্তুত করা বিবরণীগুলো তাদের আর্থিক অবস্থার যথাযথ প্রতিফলন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ঋণ, লিজের পাশাপাশি শেয়ার ও ইক্যুয়িটি, বন্ড ও ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, কমার্শিয়াল পেপারে বিনিয়োগ ও তাদের সাবসিডিয়ারি, সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ইক্যুয়িটি বিনিয়োগে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথ প্রভিশন হিসাবের প্রয়োজন। এমতাবস্থায় ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর উল্লিখিত বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হলো।

তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ

তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইক্যুয়িটি, বন্ড ও ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বর্ণিত সিকিউরিটিজগুলোর বাজারমূল্য ক্রয়মূল্য অপেক্ষা কম হলে দুইয়ের পার্থক্যকে ‘বিনিয়োগজনিত ক্ষতি’ হিসেবে চিহ্নিত করে ভিত্তি তারিখে সমপরিমাণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক তহবিলের (শেয়ার ও ইক্যুয়িটি, বন্ড ও ডিবেঞ্চার) পৃথক গেইন বা লসনিট অব করে প্রভিশন সংরক্ষণ করা যাবে।

অ-তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এরূপ প্রতিষ্ঠানের ইক্যুয়িটি শেয়ার, প্রেফারেন্স শেয়ার এবং বন্ড ও ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের বিষয়ে অ-তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ইক্যুয়িটি শেয়ারে (সাবসিডিয়ারি ও সহযোগীসহ) বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভিত্তি তারিখে উক্ত ইক্যুয়িটি শেয়ারের (প্রেফারেন্স শেয়ার ব্যতীত) মূল্য তাদের সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী নীট সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। এই পদ্ধতিতে শেয়ারের নির্ধারিত মূল্য উক্ত শেয়ারের ক্রয়মূল্য অপেক্ষা কম হলে, দুইয়ের পার্থক্য ‘বিনিয়োগজনিত ক্ষতি’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সমপরিমাণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

এছাড়া, কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানি যদি এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের ইক্যুয়িটি শেয়ারে বিনিয়োগ করে থাকে, যাদের ধারাবাহিকভাবে ভিত্তি তারিখ পূর্ববর্তী ৩ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী নেই অথবা বিনিয়োগকৃত কোম্পানিটির কোনো অস্তিত্ব নেই অথবা ধারাবাহিকভাবে ৩ বছর কোনো মুনাফা প্রদান করেনি, এরূপ ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সমপরিমাণ সংস্থান সংরক্ষণ করতে হবে।

অ-তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নন-কনভার্টিবল প্রেফারেন্স শেয়ার, বন্ড ও ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো হিসাববর্ষ শেষে উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদেয় সুদ বা লভ্যাংশ (নগদ) ফাইন্যান্স কোম্পানি না পেয়ে থাকলে বর্ণিত সিকিউরিটিজগুলোর বিনিয়োগের বিপরীতে সুদ বা লভ্যাংশ (নগদ) অনাদায়ী হওয়ার পর বিনিয়োগ হিসাবে প্রদর্শিত মূল্যের উপর যেভাবে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

প্রথম হিসাববর্ষ শেষে ২৫ শতাংশ, দ্বিতীয় হিসাববর্ষ শেষে ৫০ শতাংশ, তৃতীয় হিসাববর্ষ শেষে ১০০ শতাংশ এবং স্বল্পমেয়াদি বন্ড বা ডিবেঞ্চারের ক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্তিতে সমুদয় অর্থ ফেরত পাওয়া না গেলে মেয়াদপূর্তির অব্যবহিত হিসাববর্ষ থেকে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

বিনিয়োগের বিপরীতে প্রাপ্য সুদের (বিনিয়োগের উপর ধার্যকৃত সুদ যা আদায় হয়নি) দফাগুলো সৃষ্টির তারিখ থেকে ৬ মাস বা তদূর্ধ্ব কিন্তু ১ বছরের কম সময়কাল পর্যন্ত অসমন্বিত থাকলে তা সন্দেহজনক মানে শ্রেণিকরণপূর্বক এর বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং ১ বছর বা তদূর্ধ্ব সময়কাল পর্যন্ত অসমন্বিত থাকলে মন্দ বা ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকরণপূর্বক এ সব দফার বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

তালিকাভুক্ত কিংবা অ-তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রাপ্য লভ্যাংশ নগদ আদায় ব্যতীত আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের বিষয়ে আগের জারি করা নির্দেশনা অনুসরন করতে হবে।

ঢাকা/নাজমুল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ইন য ন স ক ম প ন বন ড ও ড ব ঞ চ র ব ন য় গ র ব পর ত হ স ববর ষ শ ষ আর থ ক ব বরণ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রভিশন সংরক্ষণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন নির্দেশনা 

শেয়ার ও ইক্যুইটি, বন্ড ও ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং কমার্শিয়াল পেপারে বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে নতুন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে (মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বর) শেয়ার ও ইক্যুয়িটি, বন্ড ও ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং কমার্শিয়াল পেপারে বিনিয়োগের বিপরীতে যথাযথ প্রভিশন সংরক্ষণ করবে। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলো নির্ধারিত ত্রৈমাসিক শেষ হওয়ার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রভিশন সংরক্ষণের বিবরণীর হার্ডকপি ও সফটকপি বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে পাঠাতে হবে। 

সোমবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। 

আরো পড়ুন:

পাঁচ বছরে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন বেড়েছে ২২৮ শতাংশ

এনসিসি ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম ৫ দিন বন্ধ

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর প্রস্তুত করা বিবরণীগুলো তাদের আর্থিক অবস্থার যথাযথ প্রতিফলন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ঋণ, লিজের পাশাপাশি শেয়ার ও ইক্যুয়িটি, বন্ড ও ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, কমার্শিয়াল পেপারে বিনিয়োগ ও তাদের সাবসিডিয়ারি, সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ইক্যুয়িটি বিনিয়োগে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথ প্রভিশন হিসাবের প্রয়োজন। এমতাবস্থায় ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর উল্লিখিত বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হলো।

তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ

তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইক্যুয়িটি, বন্ড ও ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বর্ণিত সিকিউরিটিজগুলোর বাজারমূল্য ক্রয়মূল্য অপেক্ষা কম হলে দুইয়ের পার্থক্যকে ‘বিনিয়োগজনিত ক্ষতি’ হিসেবে চিহ্নিত করে ভিত্তি তারিখে সমপরিমাণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক তহবিলের (শেয়ার ও ইক্যুয়িটি, বন্ড ও ডিবেঞ্চার) পৃথক গেইন বা লসনিট অব করে প্রভিশন সংরক্ষণ করা যাবে।

অ-তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এরূপ প্রতিষ্ঠানের ইক্যুয়িটি শেয়ার, প্রেফারেন্স শেয়ার এবং বন্ড ও ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের বিষয়ে অ-তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ইক্যুয়িটি শেয়ারে (সাবসিডিয়ারি ও সহযোগীসহ) বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভিত্তি তারিখে উক্ত ইক্যুয়িটি শেয়ারের (প্রেফারেন্স শেয়ার ব্যতীত) মূল্য তাদের সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী নীট সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। এই পদ্ধতিতে শেয়ারের নির্ধারিত মূল্য উক্ত শেয়ারের ক্রয়মূল্য অপেক্ষা কম হলে, দুইয়ের পার্থক্য ‘বিনিয়োগজনিত ক্ষতি’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সমপরিমাণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

এছাড়া, কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানি যদি এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের ইক্যুয়িটি শেয়ারে বিনিয়োগ করে থাকে, যাদের ধারাবাহিকভাবে ভিত্তি তারিখ পূর্ববর্তী ৩ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী নেই অথবা বিনিয়োগকৃত কোম্পানিটির কোনো অস্তিত্ব নেই অথবা ধারাবাহিকভাবে ৩ বছর কোনো মুনাফা প্রদান করেনি, এরূপ ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সমপরিমাণ সংস্থান সংরক্ষণ করতে হবে।

অ-তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নন-কনভার্টিবল প্রেফারেন্স শেয়ার, বন্ড ও ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো হিসাববর্ষ শেষে উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদেয় সুদ বা লভ্যাংশ (নগদ) ফাইন্যান্স কোম্পানি না পেয়ে থাকলে বর্ণিত সিকিউরিটিজগুলোর বিনিয়োগের বিপরীতে সুদ বা লভ্যাংশ (নগদ) অনাদায়ী হওয়ার পর বিনিয়োগ হিসাবে প্রদর্শিত মূল্যের উপর যেভাবে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

প্রথম হিসাববর্ষ শেষে ২৫ শতাংশ, দ্বিতীয় হিসাববর্ষ শেষে ৫০ শতাংশ, তৃতীয় হিসাববর্ষ শেষে ১০০ শতাংশ এবং স্বল্পমেয়াদি বন্ড বা ডিবেঞ্চারের ক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্তিতে সমুদয় অর্থ ফেরত পাওয়া না গেলে মেয়াদপূর্তির অব্যবহিত হিসাববর্ষ থেকে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

বিনিয়োগের বিপরীতে প্রাপ্য সুদের (বিনিয়োগের উপর ধার্যকৃত সুদ যা আদায় হয়নি) দফাগুলো সৃষ্টির তারিখ থেকে ৬ মাস বা তদূর্ধ্ব কিন্তু ১ বছরের কম সময়কাল পর্যন্ত অসমন্বিত থাকলে তা সন্দেহজনক মানে শ্রেণিকরণপূর্বক এর বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং ১ বছর বা তদূর্ধ্ব সময়কাল পর্যন্ত অসমন্বিত থাকলে মন্দ বা ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকরণপূর্বক এ সব দফার বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

তালিকাভুক্ত কিংবা অ-তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রাপ্য লভ্যাংশ নগদ আদায় ব্যতীত আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের বিষয়ে আগের জারি করা নির্দেশনা অনুসরন করতে হবে।

ঢাকা/নাজমুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ